রোববার, ২৩ জুন ২০২৪, ০৯ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

রাজাপুরে কাঠিপাড়া ব্রিজ এখন মরণ ফাঁদ

মোঃ এনামুল হোসেন খান, রাজাপুর (ঝালকাঠি) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 ঝালকাঠির রাজাপুরে শুক্তাগড় ইউনিয়নে কাঠিপাড়া-শুক্তাগড় সংযোগ দোয়ারিয়া খালের উপর লোহার ব্রিজটি দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর ধরে চলাচলে মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে ওই এলাকার মাদ্রাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থীসহ সহস্রাধিক নারী-পুরুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ওই এলাকার ৮০ বছরের চান্দে আলী ফরাজী ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছর ধরে এ ব্রিজটির সিøপার ও লোহার এ্যাঙ্গেল ভেঙ্গে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। কাঠিপাড়ার বাসিন্দা সমীরন জানায়, রাজাপুর উপজেলা সদরসহ নৈকাঠি পিরোজপুর বরিশাল যেতে মহাসড়কে উঠতে এ ঝুঁকিপুর্ণ ব্রিজটি অতিক্রম করতে হয়। এ ব্রিজ দিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও শিশু শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করছে। বিশেষ করে ব্রিজটি অকেজো থাকায় অসুস্থ রোগী নিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীর। ঐতিহ্যবাহী কাঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ জানায়, স্কুলে যাতায়াতের জন্য এ ব্রিজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুক্তগড় মাহামুদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওঃ মাহাবুবুর রহমান জানায়, এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি দোয়ারিয়া খালের উপর ব্রিজটি নির্মাণের। এলাকার আনোয়ার হোসেন মিলন জানায়, এ ব্রিজটি নিয়ে বহুবার স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা সমূহে প্রকাশিত হলেও ব্রিজটির কোন উন্নয়ন হয়নি। শুক্তাগড় ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক জানায়, ব্রীজটির উন্নয়নের জন্য মাসিক উন্নয়ন সভায় উপস্থাপিত হয়েছে বহুবার। এলাকাবাসীকে ব্রীজটি করে দেয়ার জন্য ওয়াদা করেছি। রাজাপুর উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী মোঃ লুৎফর রহমান জানান, চীফ ইঞ্জিনিয়ার বরাবরে স্থানীয় এমপি ডিউ লেটার পেলে ব্রিজটি নির্মাণ হত। উপজেলা পিআইও অফিসের বিজন জানায়, আগামী অর্থ বছরে অর্থ বরাদ্দ পেলে ব্রিজটি নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হবে। এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে ব্রিজটি নির্মাণে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন