শনিবার, ২২ জুন ২০২৪, ০৮ আষাঢ় ১৪৩১, ১৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ‘মিনি ডাক্ হাউজ’

| প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সেলিম আহমেদ, সাভার থেকে
ঢাকার সাভারে একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে ভিতর গড়ে উঠেছে ‘মিনি ডাক্ হাউজ’ নামে রাজহাঁস এর খামার। পুকুরের উপর রাজাহাঁসের খামার হওয়ায় হাঁসের বিষ্ঠা মাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহার হওয়ায় পুকুরে বাড়তি মাছের খাবার দিতে হচ্ছে না। ২০১০ সালে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) তৎকালীন রেক্টর এ জেড এম শফিকুল ইসলাম পুকুরের উপর মাচা বসিয়ে ছাউনি দিয়ে একটি হাঁসের খামার গড়ে তোলেন। তিনি খামারটির নামকরন করেন ‘মিনি ডাক্ হাউজ’ নামে। শুরুতেই চারটি রাজহাঁস দিয়ে খামারটির যাত্রা শুরু হয়। পরে ওই চারটি রাজহাঁস ডিম দিলে সে গুলো ফুটিয়ে বাচ্চা বের করা হয়। এভাবে বর্তমানে খামারে রাজহাঁসের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৮ টি হয়েছে। বছরে হাঁসগুলো দুই বার ডিম দেয়। এর একেকটা ডিম ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের মাঝে ১০ টাকা করে বিক্রি করে দেওয়ায় হয়। বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক (লজিষ্টিকস) মীর মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে রাজহাঁস এর খামার করা বেশ লাভজনক। রাজহাঁসের ডিম প্রাকৃতিক ও ইনকিউবেটর দু‘ভাবেই ফুটানো যায়। এছাড়া ওই খামারের হাঁসের বিষ্ঠা খেয়ে মাছও তাড়ি তাড়ি বড় হয়ে উঠছে। তিনি আরো জানান, আমাদের আরও ইচ্ছে আছে বড় খামার গড়ে তোলার। এক সঙ্গে যখন হাঁস গুলো পুকুরে সাঁতার কাটে তখন অনেকেই এর আনন্দ উপভোগ করেন।
হাঁসের এ খামারটি দেখাশুনার দায়িত্বে রয়েছেন পাঞ্জু মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, হাঁসগুলোর খাবার হচ্ছে ভুট্রা ও সাধা ভাত। ২০১০ সাল থেকে তিনি হাঁস গুলোকে লালন পালন করে আসছেন। একসাথে যখন হাসের পাল হাটে, পুকুরে সাঁতার কাটে তখন দেখতে খুবই সুন্দর লাগে বলেন তিনি। সাভার উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ভেটিরিনারী ফিল্ড অফিসার শহিদুল্লাহ কাউসার জানান, বিপিএটিসিতে রাজহাঁস পালনে সাফল্য এসেছে। তাদের খামার দেখে সাভারে রাজহাঁস পালনের অনেকেই উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া রাজহাঁসগুলোর অসুস্থ হলে আমরা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। সাভার ও আশুলিয়ায় এরকম আরো কয়েকটি খামার রয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন