শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

দুই লাখ রোহিঙ্গাকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া দরকার -মেজর জেনারেল (অব) ফজলুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিজিবি’র সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব) আ ল ম ফজলুর রহমান মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে অবিলম্বে জাতিসংঘ শান্তি মিশন পাঠানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, বাংলাদেশের ডিপ্লোমেটিক লাইনটা হওয়া উচিৎ যাতে ইউএন (জাতিসংঘ) থেকে ফোর্স পাটানো হয় রাখাইনে। এতে একটা লাইন ড্র হবে যাতে মিয়ানমার আলাদা হয়ে যাবে আর বাংলাদেশ আলাদা হয়ে যাবে। বাংলাদেশে যে সকল রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি মনে করি অতিদ্রæত বাংলাদেশের উচিৎ ইউএন মিশন করা, যাতে শান্তি মিশন ইনভলভ হয়। গতকাল চ্যানেল আই এ তৃতীয় মাত্রা নামের এক টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন। জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় ওই টকশোতে জাতীয় পার্টির নেতা তাজুল ইসলাম চৌধুরীও অংশ গ্রহণ করেন। মেজর জেনারেল (অব) আ ল ম ফজলুর রহমান নব্বই দশকের শেষের দিকে কুড়িগ্রামের বরই বাড়ি সীমান্তে বিএসএফের সঙ্গে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় তাকে বীরের মর্যাদা দেয়ার দাবি উঠেছিল।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যেতে না পারে সেদিকে কঠোর নজর রাখা উচিত। বিশেষ করে তারা যেন ভবিষ্যতে সন্ত্রাসী কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে না পারে। রোহিঙ্গারা এধরনের সম্পর্ক গড়ে তুললে বাংলাদেশকে বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে। তিন আরো বলেন, একই সঙ্গে কক্সবাজারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ডিভিশন ফুল ইকুইভমেন্ট অ্যাটাক হেলিকপ্টারসহ ইমিডিয়েটলি সেখানে মুভ করা উচিৎ। এধরনের উদ্যোগ নেওয়া দরকার আমাদের প্রস্তুতির জন্যে। এছাড়া বিজিবির চারটি ব্যাটিলিয়ন সেখানে রাখা উচিৎ জরুরী প্রস্তুতির জন্যে।
জেনারেল ফজলুর রহমান বলেন, ৫০’এর দশক থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরু করেছে মিয়ানমারের সরকার। এই দুঃখ দুর্দশা ১৯৭৮ থেকে দেখে আসছি। এটা আর কত দিন চলবে? মিয়ানমার এমন ফাজলামি করবে আর আমরা এটা মেনে নেব তা হতে পারে না। যদি মিয়ানমার সংযত না হয় তাহলে আমরা কি করবো? আমরা সারাজীবন তাদেরকে খাওয়াতে থাকব? আর নানা ধরনের ক্রাইম শুরু হবে? এটা আমরা করতে পারি না। আমি মনে করি শরণার্থী রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় রেখে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে অস্ত্র দিয়ে অন্তত ২ লাখ ফোর্স তৈরি করা দরকার। অতপর ব্যাক বাই আর্মি মিয়ানমারে পাঠিয়ে রাখাইন প্রদেশটাকে বাংলাদেশের অংশ করে নিয়ে নিতে হবে।
ফজলুর রহমান বলেন, এই রোহিঙ্গাদের দিয়ে আমরা কি করব? এটা একটা মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। মনে হয়না মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে আর ফেরত নেবে। তাহলে তাদেরকে দিয়ে আমরা কি করব? মিয়ানমার থেকে যখন রোহিঙ্গাদের বের করে দেওয়া হচ্ছিল তখন সীমান্তে আমাদের সেনাবাহিনীর একটা ডিভিশন মুভ করা উচিৎ ছিল। যেমন যথেষ্ট হেলিকপ্টার, ফাইটার এয়ার কক্সবাজারে প্লেস করা হত। যুদ্ধের জন্য নয়। ঠিক একটা তাৎক্ষণিক তৎপরতা আমাদের সীমান্তের মধ্যে নেয়া। তাহলে মিয়ানমার একটা ম্যাসেজ পেতো। বাংলাদেশ সহজে ছেড়ে দিবে না। এই যে মিয়ানমার থেকে যে রোহিঙ্গাদের ঢুকানো হচ্ছে, বাংলাদেশ মেনে নিচ্ছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Add
১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৯:১৫ এএম says : 0
I thinking that is right option
Total Reply(0)
Add
tushar ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ৯:৪১ এএম says : 0
এর মতো সেনা প্রধান আমাদের এখন খুবই প্রয়োজন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ