শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ভাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন - প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে

প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ওবায়দুল আলম স¤্রাট, ভাঙ্গা (ফরিদপুর) থেকে
আগামী ২০ মার্চ ২০১৬ তারিখ রোববার ২৪ হাজার ৬৬২ ভোটার অধ্যুষিত ভাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে ভীষণভাবে জমে উঠেছে মেয়র নির্বাচনের লড়াই। রাস্তায়, হাটে, মাঠে বাজারে সমানে মাইকে বেজে চলেছে প্রার্থীদের গুণগান করে জারি-সারি ও নির্বাচনী প্যারোডি গান। বাজারে রাস্তার পাশের মোড়ের চায়ের দোকানগুলো সরগরম হয়ে উঠেছে গরমা গরম আলোচনা-সমালোচনায়। বিচিত্র হ্যান্ডবিল, ব্যানার, ফেস্টুনে সয়লাব গোটা এলাকা। কিছুক্ষণ পর পরই দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে বিভিন্ন ধরনের মিছিল শোভাযাত্রা। গোটা এলাকার সাধারণ মানুষ ও ভোটাররা ভাসছে নির্বাচনী আনন্দ উন্মাদনায়। প্রার্থীরা ছুটে চলেছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। বিভিন্ন কায়দায় দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করে চলেছেন নিরলসভাবে। ভাঙ্গা পৌরসভায় মেয়র পদে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন মোট ৫ জন প্রার্থী। এরা হলেন যথাক্রমে এএফএমডি রেজা (ফয়েজ মিয়া)। তিনি একাধিকবার ভাঙ্গা পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত নির্বাচনেও ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। এলাকায় তিনি সৎ নিরহঙ্কার ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আমাকে মেয়র হিসেবে সদয় মনোনয়ন দেয়ায় ও প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচন করায় ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত ও উদ্বেলিত আমি। এই পৌরসভার জন্মলগ্ন থেকে মেয়রের দায়িত্বে আছি। ভাঙ্গা পৌরসভাকে সি গ্রেড থেকে এ গ্রেডে উন্নীত করেছি। ইউজিপ-২ ও ইউজিপ-৩ এর মতো উচ্চাবিলাসী প্রকল্পের মাধ্যমে ভাঙ্গা পৌরসভাকে একটি সর্বাধুনিক পৌরসভায় রূপান্তরিত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নগরবাসীর দোর গোড়ায় সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেবার জন্যে সর্বদা সচেষ্ট রয়েছি। এবার নির্বাচনে পৌরবাসী আমাকে পুনরায় জয়যুক্ত করলে ভাঙ্গা পৌরসভাকে বাংলাদেশের মধ্যে একটি অন্যতম আধুনিক মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলবো ইনসাআল্লাহ। যেহেতু ভাঙ্গা পৌরসভা একটি দ্রুত বর্ধনশীল নগর এলাকা-ভাঙ্গাকে অনেকেই দক্ষিণ অঞ্চলের প্রবেশদার হিসেবে দেখে থাকেন তাই বিশেষ করে পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মত বিষয়গুলি এখানে বিশেষ গুরুত্ব পাবে। তিনি উল্লেখ করেন আমার সময়কালে নগর বাসীর উপরে কোন অতিরিক্ত কর বা শুল্ক আরোপ করা হয়নি, পৌর প্রশাসনকে সব সময় দুর্নীতিমুক্ত রেখেছি। নগরবাসীর সমস্যাগুলিকে সব সময় সর্বাধিক গুরুত্ব ও সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করেছি। এএফএমডি রেজা (ফয়েজ মিয়া) লড়ছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। ভাঙা পৌর এলাকাটি আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এবং রেজা দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে লড়ায় নির্বাচনী দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। এর পরে আছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত প্রার্থী ওহিদুজ্জামান। তিনি লড়ছেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। তরুণ প্রার্থী হিসেবে তিনিও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে বিভিন্ন নির্বাচনী আশ্বাস দিয়ে চলেছেন। তিনি ভাঙ্গার এক সময়ের ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান মন্নু মিয়ার ছেলে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আরও রয়েছেন সদ্য বিএনপি ত্যাগকারী এক সময়কার বিএনপি পৌর কমিটির সভাপতি আবু জাফর মুন্সী, তিনিও ভোটারদের বিভিন্ন নির্বাচনী আশ্বাস ও অঙ্গীকারের মাধ্যমে একটি আধুনিক পৌরসভা গঠনের বিভিন্ন আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সদ্য বিএনপি থেকে পদত্যাগ করায় ও বিএনপির নিজস্ব প্রার্থী থাকায় তার পুরানো মিত্রদের সহানুভূতি তিনি পাচ্ছেন না বলেই অভিজ্ঞমহল মনে করছেন। তার পক্ষে রয়েছেন ফরিদপুর-০৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। আবু জাফর মুন্সী লড়ছেন জগ প্রতীক নিয়ে। এছাড়া তরুণ প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আবুল ফজল প্রিন্স তিনি লড়ছেন নারিকেল গাছ মার্কা নিয়ে। আরও রয়েছেন, ইসলামী শাষণতন্ত্র আন্দোলনের মো. আসাদুজ্জামান। তিনি লড়ছেন হাত পাখা প্রতীক নিয়ে। অভিজ্ঞমহল ও বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের সাথে আলাপের মাধ্যমে অনুমান করা যাচ্ছে যে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হলে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এএফএমডি রেজা (ফয়েজ মিয়া) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মুন্সীর মধ্যেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন