রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের একটি পথ নির্দেশ দিয়েছেন বিডিআরের সাবেক মহা পরিচালক অবসর প্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ.ল.ম ফজলুর রহমান। গত রবিবার দৈনিক ‘ইনকিলাবের’ প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত সংবাদটির শিরোনাম, “দুই লাখ রোহিঙ্গাকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার/ মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান”। এই সংবাদের এক জায়গায় বলা হয়, ‘জেনারেল ফজলুর রহমান বলেন, ৫০’এর দশক থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরু করেছে মিয়ানমারের সরকার। এই দুঃখ-দুর্দশা ১৯৭৮ থেকে দেখে আসছি। এটা আর কত দিন চলবে? মিয়ানমার এমন ফাজলামি করবে আর আমরা এটা মেনে নেব তা হতে পারে না। যদি মিয়ানমার সংযত না হয় তাহলে আমরা কি করব? আমরা সারাজীবন তাদেরকে খাওয়াতে থাকব? আর নানা ধরনের ক্রাইম শুরু হবে? এটা আমরা করতে পারি না। আমি মনে করি, শরণার্থী রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় রেখে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে অস্ত্র দিয়ে অন্তত ২ লাখ ফোর্স তৈরি করা দরকার। অতঃপর ব্যাকড বাই আর্মি মিয়ানমারে পাঠিয়ে রাখাইন প্রদেশটাকে বাংলাদেশের অংশ করে নিয়ে নিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই রোহিঙ্গাদের দিয়ে আমরা কি করব? এটা একটা মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। মনে হয় না মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে আর ফেরত নেবে। তাহলে তাদেরকে দিয়ে আমরা কি করব? মিয়ানমার থেকে যখন রোহিঙ্গাদের বের করে দেওয়া হচ্ছিল তখন সীমান্তে আমাদের সেনাবাহিনীর একটা ডিভিশন মুভ করা উচিৎ ছিল। যেমন যথেষ্ট হেলিকপ্টার, ফাইটার এয়ার কক্সবাজারে প্লেস করা যেত। যুদ্ধের জন্য নয়। ঠিক একটা তাৎক্ষণিক তৎপরতা আমাদের সীমান্তের মধ্যে নেয়া। তাহলে মিয়ানমার একটা ম্যাসেজ পেতো। বাংলাদেশ সহজে ছেড়ে দিবে না। এই যে মিয়ানমার থেকে যে রোহিঙ্গাদের ঢুকানো হচ্ছে, বাংলাদেশ মেনে নিচ্ছে না।’
মেজর জেনারেল ফজলুর রহমানের উদ্বেগ এবং সুপারিশকে আমি তাৎক্ষণিকভাবে উড়িয়ে দিচ্ছি না। কারণ, রোহিঙ্গা সমস্যা একটি বিরাট সমস্যা। এটি একটি বিরাট বোঝা। এই বোঝা আমরা অর্থাৎ বাংলাদেশ ঘাড় থেকে নামাতেও পারছি না। আবার সেই ভার বহনও করতে পারছি না। বর্মী সামরিক জান্তা একবার যাদেরকে বাংলাদেশের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে তাদের তারা আর ফেরৎ নেবে না। হিসাবে বলে যে, বার্মার রাখাইন প্রদেশে মোট রোহিঙ্গা মুসলমানের সংখ্যা ১১ লক্ষ। এদের মধ্যে ৬ লক্ষ ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। এই ৬ লক্ষের মধ্যে ৩ লক্ষ ঢুকেছে চলতি সালের আগে। আর এবার ঢুকেছে ৩ লাখ। অর্থাৎ রোহিঙ্গা মুসলমানদের সংখ্যা গরিষ্ঠ অংশই বাংলাদেশে। আর সংখ্যা লঘিষ্ঠ অংশ রাখাইন তথা মিয়ানমারে। রোহিঙ্গারা আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। তাই তারা আমাদের ভাই। তারা মুসলমান। সেই হিসাবেও তারা আমাদের ভাই। সুতরাং তাদেরকে আমরা কোনো অবস্থাতেই ফেলতে পারি না। এই লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর ব্যাপারে এখনই বাংলাদেশকে স্থির সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়াটা বড় কঠিন। ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষ দাবি করছেন, বার্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করো। ইসলামী দলগুলো বলছে যে, যুদ্ধ ঘোষণা করো। আমরাও বাংলাদেশের লাখ লাখ মুসলিম সেই যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করবো। অনেকে তো আবেগের বশবর্তী হয়ে বলছেন, বার্মার বিরুদ্ধে জিহাদ শুরু করো।
যারা এই দাবি তুলছেন, তাদের আন্তরিকতাকে, তাদের আবেগকে, তাদের সেন্টিমেন্টকে আমরা অস্বীকার করতে পারি না। বার্মার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যুদ্ধ ঘোষণা করবে কিনা সেটি পরের ব্যাপার। কিন্তু এব্যাপারে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের যা যা করা উচিত ছিল তার অনেক কিছুই বাংলাদেশ করেনি। এই দেশ, বিশেষ করে বর্তমান সরকার, উঠতে বসতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। যদি মুক্তিযুদ্ধের কথাই ওঠে তাহলে একাত্তরে বাংলাদেশ সমস্যা ভারত কীভাবে হ্যান্ডেল করেছিল সেই উদাহরণও আমাদের বিবেচনা করতে হবে।
দুই
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান আর্মি যখন ক্র্যাক ডাউন শুরু করে তখন ভারত সর্বাগ্রে যেটি করে সেটি হলো সীমান্ত খুলে দেওয়া। শুধু সীমান্ত খুলে দেওয়াই নয়, ‘আকাশ বাণী কলকাতা’ থেকে বার বার বাংলাদেশীদের প্রতি আহবান জানানো হচ্ছিলো যে সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। পরোক্ষভাবে বলা হচ্ছিলো যে, নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশীরা সীমান্তের ওপারে অর্থাৎ ভারতে চলে যেতে পারেন। সেই সময় আকাশ বাণী কলকাতার একটি কণ্ঠ বাংলাদেশীদের কাছে খুবই পরিচিত হয়ে উঠেছিল। তিনি হলেন দেব দুলাল বন্দোপধ্যায়। বাংলাদেশীদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা সেদিন সীমান্তের ওপারে চলে গিয়েছিলেন। যারা গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে এই কলাম লেখক আমিও ছিলাম। আমি কুমিল্লার নবীনগর দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্রিজ পার হয়ে আগরতলা গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর আমাদের বলা হলো, নিকটেই কলেজ টিলা নামক স্থানে একটি শরণার্থী শিবির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমি সেখানেই অবস্থান করেছিলাম। এই শিবিরেই আমার সাথে দেখা হয়েছিল আ.স.ম আব্দুর রব এবং মরহুম আব্দুল কুদ্দুস মাখনের।
তারপর আগরতলা থেকে মাঝে মাঝে কলকাতা যেতাম। কলকাতার থিয়েটার রোডে আওয়ামী লীগ নেতাদের অবস্থান ছিল। আমি দেখেছি, শরণার্থীদের মধ্য থেকে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের জন্য বাংলাদেশী তরুণদেরকে রিক্রুট করা হতো। আমি আরো দেখেছি, কীভাবে তাদেরকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অফিসারদের নেতৃত্বে ট্রেনিং দেওয়া হতো। আমি আরো দেখেছি, ট্রেনিং শেষ হলে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাঠানো হতো।
রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবস্থা কি সেদিনের বাংলাদেশী শরণার্থীদের থেকে কিছু আলাদা? বরং বলা যায়, তাদের অবস্থান বাংলাদেশীদের চেয়েও করুণ। সেদিন আমরাতো ছিলাম পাকিস্তানের নাগরিক। অন্তত একটি দেশের বৈধ নাগরিক। কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলমানরা? তারা তো স্টেটলেস। তাদের কোনো রাষ্ট্র নেই। তাদের কোনো নাগরিকত্ব নেই। অথচ, তারা শত বছর ধরে এই রাখাইন বা আরাকান বা আকিয়াবেই বাস করছে। ২০১২ সালে যখন রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে বর্মী সেনাবাহিনী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস শুরু করে, সেদিনও যখন গণহত্যা শুরু হয় তখন বার্মার প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন যে, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি। মিয়ানমারে তাদের কোনো স্থান হবে না। তিনি অত্যন্ত রুঢ়ভাবে বলেছিলেন যে, রোহিঙ্গারা যেখানে ইচ্ছা সেখানে চলে যাক। পৃথিবীর যে কোনো দেশ তাদেরকে গ্রহণ করলে তাদের কোনো আপত্তি নেই (ডেইলি স্টার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭)।
পাকিস্তান আর্মি যখন বাংলাদেশীদের ওপর ক্র্যাক ডাউন শুরু করে তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সমস্যাটির মোকাবেলা শুরু করেন এই ভাবে: তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমস্যাটি একটি রাজনৈতিক সমস্যা। সামরিক পথে এর কোনো সমাধান নেই। রাজনৈতিকভাবেই এই সমস্যার সমাধান বা মোকাবেলা করতে হবে। রাজনৈতিক সমাধান যখন দৃশ্যমান হলো না তখন ভারত বিশেষ করে ইন্দিরা গান্ধী বললেন যে, এত বিপুল সংখ্যক শরণার্থী তার দেশে আসায় তার দেশের ওপর বিরাট অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক ও সশস্ত্র তৎপরতা শুরু হলে ইন্দিরা বলেন, প্রতিবেশী দেশে যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে তার ফলে ভারত নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারে না। তিনি বিশ্বের বৃহৎ শক্তিগুলোকে এই সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার আহবান জানান। এভাবে তিনি ধাপে ধাপে অগ্রসর হন।
বাংলাদেশ সংকটের সময় বিশ্বের দুটি বড় শক্তি অর্থাৎ চীন ও আমেরিকা পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো। চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণের আগে ভারত এই দুটি বৃহৎ শক্তিকে নিউট্রালাইজ করার চেষ্টা করে। অন্যদিকে তৎকালীন সোভিয়েট ইউনিয়নের সাথে (বর্তমান রাশিয়া) শান্তি চুক্তির নামে ২০ বছর মেয়াদী প্রতিরক্ষা চুক্তি করে। এর অনেক আগেই প্রবাসে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আগে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের মধ্যে, অন্য কথায় ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তি বাহিনীর মধ্যে একটি সমঝোতা হয়। অতঃপর ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর একদিকে পাকিস্তান ও অন্যদিকে ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তি বাহিনীর মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
তিন
ওপরে সংক্ষেপে যে কাহিনী বললাম, সেটি আপনারা সকলেই জানেন। তার পরেও বর্তমান রোহিঙ্গা সমস্যাটি সামনে রেখে আমাদেরকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা স্মরণ করতে হচ্ছে। আমি আগেই বলেছি যে, রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবস্থা আমাদের চেয়েও করুণ। আমরা তো তবু একটি রাষ্ট্রের বৈধ নাগরিক ছিলাম। রোহিঙ্গা মুসলমানরা স্টেট লেস। নিজ ঘরে তারা পরবাসী। তাদের এই ভয়াবহ অবস্থা দেখার পরেও বিজিবি প্রথমে সঙ্গীন উঁচিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা দিয়েছিলো। দু’ তিন দিন ধরে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানকে নাফ নদীর ওপারে খোলা আকাশের নিচে অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাদের অবস্থা হয়েছিল অনেকটা সেই পানিতে কুমির আর ডাঙ্গায় বাঘের মতো। রাখাইনে থাকলে মগ হানাদাররা আকাশ থেকে গুলি চালায়, মাটিতে গুলি করে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয় এবং তাদের নারীদেরকে ধর্ষণ করে। আর নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে আসতে গেলে বিজিবি বাধা দেয়। কোন দিকে যাবে তারা? তারপর বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের মতো রোহিঙ্গা মুসলমানরা যখন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে তখন কবিতার ভাষায়, সেই বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ার বালির বাঁধ দিয়ে ঠেকানো সম্ভব হয়নি। এখন তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ ঢুকে পড়েছে। অথচ এখনও বাংলাদেশ সরকারের কর্তাব্যক্তিরা রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা এবং তাদের ওপর মগ হার্মাদ-লুটেরাদের জুলুম নিয়ে বিশ্বে ছুটাছটি করছেন না। এমনকি অফিসিয়ালি কোনো বিবৃতি দিতেও তারা কুণ্ঠিত।
৭১-এ ইন্দিরা গান্ধী যে রকম বলেছিলেন, আজ ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকারও তো বলতে পারে যে রোহিঙ্গা সমস্যা একটি রাজনৈতিক সমস্যা। অং সান সুচির হানাদার বাহিনীর বুলেট দিয়ে এর সমাধান হবে না। রাজনৈতিকভাবেই এই সমস্যা সমাধান করতে হবে। এসব কোনো কথাই বাংলাদেশ সরকার বলছে না। বাংলাদেশ সরকার তো ইন্দিরা গান্ধীর মতো বলতে পারে যে, লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা আমাদের সীমান্তে আসায় বাংলাদেশের একটি অংশ অশান্ত হয়ে উঠছে এবং আমাদের নিরাপত্তা বিঘিœত হচ্ছে। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান না হলে, রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে বাংলাদেশকে বিকল্প পথ দেখতে হবে। সেই বিকল্প পথ কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী ৪৬ বছর আগেই আমাদেরকে দেখিয়ে গেছেন।
চার
বর্মী সরকার বলছে, রোহিঙ্গাদের কোনো নাগরিকত্ব নেই। আমরা আগেই বলেছি যে, ঐ কথাটি সত্য নয়। তার পরেও তর্কের ছলে বলা যায় যে, হিটলারের অভিযানের পর ইহুদিরা স্টেট লেস হয়ে পড়ে। সারাবিশ্বে তারা ছড়িয়ে-ছিটকে পড়ে। তখন এই আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং সোভিয়েট ইউনিয়ন মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিনের বুক চিরে শুধু মাত্র ইহুদিদের একটি রাষ্ট্র দেওয়ার জন্য ইসরাইল নামক একটি রাষ্ট্র সৃষ্টি করে। ইসরাইল একটি অবৈধ রাষ্ট্র। ফিলিস্তিন তথা মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম রাষ্ট্রগুলির হৃদযন্ত্রে এটি একটি ক্যান্সার। সেই ক্যান্সারকেই রাশিয়া এবং পশ্চিমারা পেলে পুষে বড় করছে। তাহলে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য বার্মার অভ্যন্তরে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না কেন? সেই রাষ্ট্রের এলাকা হতে পারে বর্তমানের রাখাইন রাজ্য।
সেই রাখাইন রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য ১৬ কোটি লোকের দেশ বাংলাদেশ সারাবিশ্বে ক‚টনৈতিক অভিযান শুরু করতে পারে। রোহিঙ্গাদের যদি নাগরিকত্ব না দেওয়া হয়, যদি তাদের বার্মাতে শান্তি ও মর্যাদার সাথে বসবাস করতে দেওয়া না হয়, তাহলে ভারত ও পশ্চিমাদের দেখিয়ে দেওয়া পথ অনুসরণ করে রোহিঙ্গাদের জন্য স্বতন্ত্র আবাসভ‚মি প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প থাকবে না।
সেই কাজে অগ্রণী হতে হবে বাংলাদেশকেই। তবে দুর্বলের পক্ষে সেই কাজ সুসম্পন্ন করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ মিয়ানমারের সামনে কতখানি সবল? অথবা কতখানি দুর্বল? সেই প্রশ্নটি ভেবে দেখার সময় এসেছে। যদি দুর্বল হয় তাহলে সবল হওয়ার জন্য অতি দ্রুত গতিতে যা যা করার প্রয়োজন তার সব কিছুই করতে হবে।
journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন