ভালুকা (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা
শাশুড়িকে মারধর করে তালাকনামায় স্ত্রী সেলিনা খাতুনের স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে স্বামী সোহেল মিয়া ও তার লোকজন। আহত শাশুড়ি মিনারা খাতুনকে (৫৫) ভালুকা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নের জোয়াধরা গ্রামে। ওই ঘটনায় সেলিনা খাতুন বাদি হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, আট-দশ বছর আগে উপজলার পাঁচগাও গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র সোহেল মিয়া একই উপজেলার মল্লিকবাড়ি জোয়াধরা গ্রামের হানিফ মিয়ার কন্যা সেলিনা খাতুনকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সুখে শান্তিতেই বসবাস করে আসছিল ওই দম্পতি। বিয়ের দুই বছর পর স্বামী সোহেল মিয়া বিদেশ যেতে চাইলে সেলিনা খাতুন বাপের বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা এনে দেন। পরে ওই টাকায় ওমানে পাড়ি জমান সোহেল মিয়া। বিদেশ যাওয়ার পর কিছুদিন ভরণ-পোষণের খরচ দিলেও পরে স্ত্রী সেলিনার সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেন স্বামী সোহেল মিয়া। এ অবস্থায় পিত্রালয়ে চলে আসেন সেলিনা খাতুন। এদিকে মাসখানেক আগে ওমান থেকে দেশে ফিরে সোহেল মিয়া তার স্ত্রীকে নানা অভিযোগে তালাক দেয়ার ষড়যন্ত্র করতে থাকে এবং ওই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় সোহেল ও তার পরিবারের লোকজন সেলিনাকে মল্লিকবাড়ি গ্রামের সিদ্দিকের বাড়িতে ডেকে এনে তালাকনামায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় শাশুড়ি মিনারা খাতুন বাধা দিলে সোহেল ও গৃহকর্তা সিদ্দিক তাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে এলাকার লোকজন টের পেয়ে মিনারাকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন