উজিরপুর (বরিশার) থেকে সৈয়দ নাজমুল ইসলাম: আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দক্ষল করে গৃহ নির্মাণ করে ভূমিলোভী এক মহুরি। এই দখলকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের সংঘাত ঘটতে পারে বলে এলাকা বাসি জানায়।
উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের খোলনা গ্রামের মৃত আঃ খালেক ফরাজীর পুত্র ভুমি মালিক মোঃ সামাউন ফরাজী ও মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, মোঃ সামাউন ফরাজী ও একই গ্রামের মৃত হাতেম রাড়ীর পুত্র মোঃ আনোআরসহ ৪ জনে একত্রিত হয়ে ১ একর ২৮ শতক জমি ক্রয় করে। দলিল নং-৫৭৭। পরবর্তীতে ১৫০ ধারা মোতাবেক ৭উঃ/৮-৯ নং বিবিধ মোকাদ্দমায় ৭/১২/০৮ খ্রিঃ এর হুকুম মতে ২১৯ খতিয়ানের নামজারীকৃত বিক্রেতার অংশ হতে আংশিক সংশোধন করে ৪ জনের নামে রেকর্ড হয়। রেকর্ডকৃত ৮৬ শতক জমি ভাগ-বন্টন করে বাদী বিরোধীয় দাগে ২২ শতক জমি ভোগ-দখল করে আসছে। এবং বর্তমান জরিপে ৩০ ধারা অনুযাই বাদীর নামে ২২ শতক জমি রেকর্ড হয়। ভ‚মি লোভী বিবাদী মহুরী আনোয়ার রাঢ়ী উল্লিখিত বাদীর ২২ শতক জমি ভোগ দখলের চেষ্টা অনুভব করে বাদী মোঃ সামাউন ফরাজী উজিরপুর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অফিসার ইনর্চাজ মোঃ গোলাম সরোয়ার স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বরসহ কাগজ-পত্র বুঝেন এমন ৮ জন দ্বারা বিরোধ মীমাংসা করে দেন। পরবর্তীতে বিবাদী আনোয়ার মহুরী গ্রাম্য এই মীমাংসা অমান্য করে পুনরায় জমিটি দখলের পরিকল্পনা যেনে বাদী মোঃ সামাউন গত ৩১ আগস্ট বরিশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ আদালত পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত পক্ষ দ্বয়কে স্ব-স্ব ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে থাকার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ অমান্য করে ভূমিলোভী আনোয়ার মহুরী তার বাহীনি নিয়ে ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর জোর পূর্বক বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলতে গেলে উজিরপুর থানা এএসআই আল আমিন ও জাকারীয়া তাদের র্ফোস নিয়ে ঘর তোলা পন্ড করে দিলেও পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে জমি দখলিয় একটি ঘর তোলেন। এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকেও গ্রেপ্তার করতে পারে নাই। বিজ্ঞ আদালতের আইন অমান্য করে জমি দখলের কারনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানালেন জমির মালিক মোঃ সামাউন ফরাজী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন