সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

পূজা কমিটি নিয়ে বিপাকে পূজার্থীরা

| প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার উৎপত্তিস্থল চট্টগ্রামের বোয়ালখালী। কিন্তু এ পূজা উদযাপনকে কেন্দ্র করে তৃ-ধারায় বিভক্ত উপজেলা কমিটি নিয়ে বিপাকে পড়েছে প্রশাসনসহ সাধারণ পূজার্থীরা। নতুন আর পুরাতন কমিটি নিয়ে তাদের মধ্যে চলছে নানা বিতর্ক ও ক্ষোভ। এ নিয়ে দুর্গাপূজার সময় সংঘাত সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে বলে জানান সাধারণ পূজার্থীরা।
জানা যায়, হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্টান দুর্গাপূজাকে সুন্দরভাবে পরচালনার লক্ষ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে (২০১৫-১৬) দুই বছর মেয়াদে স্থানীয় অজিত বিশ্বাসকে সভাপতি ও লিটন শীলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছিল। তবে এ কমিটি নিয়ে নানা অভিযোগ উঠলেও ২০১৬ সালের পুজা অনুষ্টান কোন ধরণের সহিংসতা ছাড়াই সম্পন্ন হয়। এ কমিটি নতুন ভাবে ১৭-১৮ অর্থ বছরের কমিটি বা সম্মেলন না করায় নেতৃবৃন্ধের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত কমিটির উপর অনাস্থা এনে এক গ্রæপ স্থানীয় শ্যামল বিশ্বাসকে সভাপতি ও কমল সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে (২০১৭-১৮ বর্ষের) নতুন পুজা কমিটি ঘোষনা করা হয়। অপর দিকে নতুন-পুরাতন ২ কমিটির সদস্যদের উপর ক্ষোভ ও অনিহা প্রকাশ করে তৃতীয় পক্ষ মিলে আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন আরেকটি গ্রæপ। এর মধ্যে কাজল দে কে আহবায়ক ও মিন্টু সিকদারকে সদস্য সচিব করা হয়। এ ৩ গ্রæপই সম্পুর্ণ আলাদা ভাবে ৩ টি কমিটির তালিকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রশাসন ও থানায় জমা দিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে ৩ কমিটির তালিকা নিয়ে দেখা দিয়ে সংসয়।
পুরাতন কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন শীল জানান, কমিটির মেয়াদ আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত রয়েছে। এ বৎসর পূজা উদযাপনের পর সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হবে।
এ দিকে নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সরকার কমল দাশ বলেন, পূর্বের কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নতুন কমিটি গঠনের ব্যবস্থা না করায় নেতৃবৃন্দ বসে (২০১৭-১৮) বোয়ালখালী পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অপর কমিটির আহবায়ক কাজল দে জানান, উপদেষ্টারা বসেই আহবায়ক কমিটি গঠন করেছে। যেহেতু আগের কমিটির মেয়াদ শেষ, সেহেতু আহবায়ক কমিটির মাধ্যমেই এবার দুর্গাপূজার আনুষ্টানিক কার্যক্রম সম্পন্নের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. সালা উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমার জানা মতে উপজেলা পুজা কমিটিকে জেলা কমিটিই অনুমোদন দিয়ে থাকেন। এ অনুযায়ী জেলার অনুমোদিত কমিটি নিয়েই পুজায় আইনশৃংখলা সহ অন্যান্য বিষয়ে সমন্বয় করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন