বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

শরীয়তপুরে ডাকাতি চার স্বর্ণের দোকানসহ ৭ দোকানের কোটি

প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শরীয়তপুর জেলা সংবাদদাতা
জেলার গোসাইরহাট উপজেলা সদরের দাসেরজঙ্গল বাজারে সোমবার রাতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতরা ১৫-২০ জন দোকানদার ও দুই টহল পুলিশকে বেঁধে রেখে ৪টি স্বর্ণের দোকানসহ ৭টি দোকানে ডাকাতি করে। ব্যবসায়ীদের দাবি নগদ টাকাসহ প্রায় কোটি টাকার মালামাল নিয়ে গেছে ডাকাতরা। জানা গেছে, সোমবার গভীর রাতে গোসাইরহাটের দাসের জঙ্গলবাজারে ৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুধুর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। প্রায় ৫০/৬০ জন ডাকাত দল অস্ত্রসহ বাজারের ১০টি প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়ে ডাকাতি শুরু করে। ডাকাত দল জনক অলংকার স্বর্ণের দোকানে সাটার ভেঙে শুধাংশ মালোকে আহত করে তার দোকান থেকে প্রায় ১৮ ভরি স্বর্ণ ও ১৫০ ভরি রুপা এবং নগদ একলক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের চিৎকারে জনক র্স্বণের দোকানের কর্মচারী সুকমল দোকান থেকে বের হলে ডাকাতরা তাকে গুলি করে আহত করে। এরপর ডাকাতরা দাসের জঙ্গল বাজারের অলংকার নিকেতন, আর কে গিনি হাউস, অনুক স্টোর, ভাই ভাই মোবাইল হাউস, আজম স্টোরে হানা দিয়ে ডাকাতি করে। ডাকাতদের হামলায় আলমগীর হোসেন, শুধাংশ মালো, আজম আহম্মদ ও কৃষ্ণ দাসকে গুরুতর আহত হয়। বাজার ব্যবসায়ীদের হিসেব মতে ডাকাত দল ৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৬০ ভরি স্বর্ণ, ৪শ’ ভরি রুপা এবং নগদ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে। শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল্লাহ আল মামুন, গোসাইরহাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সগীর হোসেন মঙ্গবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। গোসাইরহাট থানার ওসি মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন জানান, আমাদের দুইটি টহল টীম বাজারে পাহারারত ছিল। এ ছাড়াও এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে তিনজন পুলিশ বাজারে পাহারা দিচ্ছিল। ডাকাতরা আমাদের দুই পুলিশ সদস্যকে আটকে রাখে। এ সময় এস আই মিজান পালিয়ে গিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় জনতার সহায়তায় ডাকাতদের প্রতিরোধ করলে ডাকাতরা দ্রুত পালিয়ে যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন