স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা থেকে
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আ.লীগ ও আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় ১০-১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কুলিয়া ব্রিজ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে মেম্বার মোশারফ হোসেন, সোহেল গাজী, আক্তারুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, শরীফ হোসেন, মিঠু, আরিফ বিল্লাহ ও ওমর ফারুক মুকুলের নাম জানা গেছে। তাদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আ.লীগের প্রার্থী আসাদুল হক জানান, আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমাদুলের লোকজন মিছিল নিয়ে পুষ্পকাটির দিকে যাচ্ছিল। এ সময় আমার ছেলে আশু মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ করছিল। হঠাৎ ইমাদুলের লোকজন আমার ছেলে শরীফসহ কর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে ৫ জন আহত হয়। তারপর আমার লোকজন ইমাদুলের লোকজনকে ধাওয়া করে। আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমাদুল ইসলাম জানান, তার নেতা-কর্মীরা কুলিয়া বাজারে গণসংযোগ করছিল। এ সময় আসাদুল হকের ছেলে শরীফের নেতৃত্বে তার কর্মীদের ওপর হকিস্টিক, রড ও রাম দা নিয়ে হামলা করে। এতে তার ৫ জন সমর্থক আহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে তার ব্যক্তিগত ড্রাইভার সোহেল। দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আ.লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা দেয়ার অভিযোগ
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে প্রচার-প্রচারণা চালাতে দিচ্ছে না আ.লীগের প্রার্থীসহ তার কর্মী-সমর্থকরা। এমনকি তাদের পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। এলাকায় লিফলেট দিতে গেলে হামলাসহ ছিনতাইরের শিকার হচ্ছে বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন এই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের বাধার মুখে পড়ে তিনি ২২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। পরে উচ্চ আদালতে আপিল করে তিনি তফশীলের সময়-সীমার বাইরেও গত ১১ মার্চ মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সুযোগ পান। কিন্তু মাঠে নামতে দেয়া হচ্ছে না তিনিসহ তার কর্মী-সমর্থকদের। ছিড়ে ফেলা হচ্ছে তার পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার। এলাকায় লিফলেট দিতে গিয়ে গত ১৪ মার্চ হামলাসহ ছিনতাইরের শিকার হয়েছে তার কর্মী-সমর্থকরা। ভেঙে ফেলা হয়েছে প্রচার মাইক। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, এসব ঘটনা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে কিন্তু দৃশ্যত এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি সুষ্ঠুভাবে প্রচার-প্রচারণা চালানোর সুযোগ পাওয়ার দাবিতে এবং অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের মারপিটের ঘটনায় প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার
শিক্ষার্থীদের বেদম মারপিটের ঘটনায় অভিভাবকদের দাবি মুখে সাতক্ষীরা শহরের কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিভাবকরা জানান, গত সোমবার গণিতের সূত্র না পারায় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিমলা ইয়াসমিন, সোহানা পারভীন, তাসমিয়া খাতুন, কামরুল ইসলাম, নার্গিস পারভীন, মামুনসহ ১০/১৫ জন শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে বেদম মারপিট করেন প্রধান শিক্ষক আবু তাহের। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ অভিভাবকরা সোমবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দেয়। গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ জানান, অভিভাবকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগেও তিনি সহিংসতার মামলায় কারাগারে ছিলেন।
নাশকতা মামলায় ৬০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা
দুপচাঁচিয়া থানায় দায়েরকৃত নাশকতা মামলায় পুলিশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ বিএনপি-জামায়াতের ৬০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। প্রকাশ, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দিবাগত রাতে দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে গানপাউডার দিয়ে অগ্নিসংযোগ এর অভিযোগে পরের দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি আ.লীগ নেতা আবু সাঈদ ফকির বাদি হয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৭ জনকে আসামি করে দুপচাঁচিয়া থানায় নাশকতা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো: জাহিদ হোসেন ওই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এজাহারভুক্ত ২৭ জনসহ তদন্তপ্রাপ্ত আরো আসামি ৩৩ জন মোট ৬০ জনের বিরুদ্ধে গত ৩ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন। আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গনি ম-ল, ভাইস চেয়ারম্যান মোত্তালেব হোসেন মিন্টু, সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আবু নাছের, উপজেলা জামায়াতের আমীর মনছুর আলী, সেক্রেটারি জেনারেল মতিউর রহমান। এ ব্যাপারে গতকাল (মঙ্গলবার) থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম নাশকতা মামলায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩)/২০-খ, তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরণ দ্রব্য আইনে ৩/৪ ধারায় আদালতে চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন