ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক নিজ মেয়াদের সর্বশেষ সিন্ডিকেটেও গুরুতর অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ লঙ্ঘন করেই শর্ত পূরণ না করতে পারা প্রার্থীদের নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে তারা বিরুদ্ধে।
গত ১৬ আগস্ট তৎকালীন ভিসি আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউটের দু’টি সিলেকশন বোর্ডের সুপারিশে ২ সহকারী অধ্যাপক ও ৯ প্রভাষক নিয়োগের সুপারিশ গ্রহণ করে।
২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে লেদার ইনস্টিটিউটের জন্য মোট ৪টি বিষয়ে ৬ জন প্রভাষক ও একজন সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ১৫ মে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত সিলেকশন বোর্ডের সভা থেকে ৭ জনকেই প্রভাষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। সে সুপারিশ অনুযায়ী নিয়োগ চুড়ান্ত হওয়া ৭ জনের মধ্যে ৫ জনেরই যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাদ পড়া প্রার্থীরা দাবি করছেন, তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা প্রার্থীরা নিয়োগ পেয়েছেন যেখানে যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীদের আবেদন অগ্রাহ্য করা হয়েছে। অনেকের আবেদন করারই যোগ্যতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সুপারিশকৃতদের মাঝে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে দুই জন লেকচারারের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দুইজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন এস. এম. তানভীর আহমেদ অন্যজন মো. রাশেদ-উল-ইসলাম। এদের মধ্যে মো. রাশেদুল ইসলাম এর নিয়োগের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাশেদুল ইসলাম ¯œাতকে ১২তম স্থান এবং ¯œাতকোত্তরে ৩৫তম স্থান অধিকারী ছিলেন। অন্যদিকে ¯œাতকোত্তরে সিজিপিএ ৩.৪২ থাকায় বাদ দেয়া হয়েছে এ বি এম ওয়াহিদ মুরাদ নামের অন্য আরেক প্রার্থীকে। তিনি ২০১১ সাল থেকে ইনিস্টিটিউটে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও কর্মরত আছেন। ¯œাতকে ২য় স্থান ছাড়াও তার রয়েছে এমফিল ডিগ্রি। অন্যজন তানভীর আহমেদ ¯œাতক এবং ¯œাতকোত্তরের কোনটিতেই শর্ত পূরণ করেননি। বিজ্ঞপ্তিতে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং/ টেকনোলজি বিষয়ে ¯œাতক চাওয়া হলেও তানভীর ¯œাতক করেছেন ফুটওয়্যার টেকনোলজি বিষয়ে। আর ¯œাতকোত্তরেও সিজিপিএ ৩.৫০ চাওয়া হলেও তার ছিল ৩.৩৩। এছাড়াও তার নেই কোন প্রবন্ধ।
গণিত বিষয়ে একজন সহকারী অধ্যাপক ও একজন প্রভাষক পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও এক্ষেত্রে দুইজনই প্রভাষক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তদের মাঝে একজন তুষার সরদার ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তরে ৮ম ও ৫ম স্থান অধিকারী, এর পূর্বে তার কোন প্রকাশিত প্রবন্ধ বা অভিজ্ঞতাও নেই। অন্যজন মাহবুবুর রহমান খান, যিনি ¯œাতক-এ ১৩ তম এবং ¯œাতকোত্তরে ৫ম স্থান অধিকারী। তিনি ২০১৩ সাল থেকে কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। অথচ সহকারী অধ্যাপকের জন্য আবেদন করে যোগ্য হয়েও বাদ পড়েছেন মো. আবু হানিফ সরকার নামে এক প্রার্থী। তিনিও ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর উভয়টিতে ২য় স্থান অধিকারী ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন জার্নালে তার ৯টি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে অধ্যাপনা করছেন। আর আশেক আহমদ নামে একজন ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তরে যথাক্রমে ২য় ও ৪র্থ তম স্থান অধিকারী হয়েও বাদ পড়েছেন। তিনি বর্তমানে একটি প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যাপনাও করছেন।
পদার্থবিদ্যা বিষয়ে দুইজন লেকচারার পদে জন্য বিজ্ঞপ্তি চেয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সালাউদ্দিন হাওলাদার ও ইতি কণা রায় নামে দুইজনকে। এদের মধ্যে ইতি কণা রায় আবেদনের শর্ত পূরণ করেননি। বিজ্ঞপ্তিতে পদার্থ বিদ্যা বিভাগ থেকে ¯œাতক এবং ¯œাতকোত্তর চাওয়া হলেও তিনি ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে ¯œাতক করেছেন। এক্ষেত্রেও ফলিত পদার্থ থাকায় অন্য প্রার্থীদের বাদ দেয়া হয়েছে।
কম্পিউটার বিষয়ের জন্য একজন লেকচারারের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে মো. রায়হানুল ইসলাম নামে এক প্রার্থীকে। তিনি আবেদনের শর্ত পূর্ণ করেছেন।
এর আগে ২৪ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে অনুষ্ঠিত সিলেকশন বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী ২জন সহকারী অধ্যাপক ও ২জন প্রভাষক নিয়োগের সুপারিশ চুড়ান্ত করে সিন্ডিকেট। অথচ এ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে মাত্র দুইজন সহকারী অধ্যাপক জন্য প্রার্থীদের আবেদন আহŸান করা হয়েছে। এখানে শুধুমাত্র বিজ্ঞপ্তির বাহিরেই নয় বরং পদ না থাকা সত্তে¡ও অতিরিক্ত দুইজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এটি নিয়ে সিন্ডিকেটের এক সদস্য প্রশ্ন তুললেও বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছিলেন তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন- দুই সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আশরাফুল ইসলাম। আর প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া দুইজন হলেন- মঞ্জু শ্রী শাহা ও মো. ইলিয়াস উদ্দিন।
তবে এ ব্যাপারে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ বলেন, এখানে নিয়োগের ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই। নিয়োগ তো দিয়েছে তৎকালীন ভিসি উনার কাছেই এর সঠিক জবাব পাওয়া যাবে। আর নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগ্যতার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন সিলেকশন বোর্ড এটা ভালো বলতে পারবে। সিলেকশন তো করেছেন প্রো-ভিসি (শিক্ষা) উনিই এ ব্যাপারে জানবেন, আমারা কয়েকজন তো সাথে ছিলাম মাত্র। আর নিয়োগপ্রাপ্তদের মাঝে দুজন চাকুরীতে যোগদান করেননি। কে কে যোগদান করেননি জানতে চাইলে তিনি তানভীর আহমেদের নাম বলেন এবং আরেকজনের নাম সঠিক স্মরণ করতে পারছেন না বলে জানান।
অধ্যাদেশের আইন লঙ্ঘন করে নিয়োগ
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় অধ্যাদেশ ৭৩ অনুযায়ী ইনস্টিটিউট সমূহে নিয়োগের কোন ক্ষমতাই রাখে না সিন্ডিকেট। কিন্তু লেদার ইনস্টিটিউটে নিয়োগের ক্ষেত্রে খোদ বিশ^বিদ্যালয় অধ্যাদেশের আইন লঙ্ঘন করেছেন সদ্য বিদায়ী অধ্যাপক ড. ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
ইনস্টিটিউট হিসেবে যাত্রা শুরুর পাঁচ বছরেও একান্ত নিজের ইচ্ছেতে বোর্ড অব গর্ভনরস (বিজি) গঠন করেননি বলে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তার সময়ে বিশ^বিদ্যালয় আইনের ১৭তম বিধির লঙ্গন করে সিন্ডিকেটে চুড়ান্ত করা হয়েছে বিজির ক্ষমতায় থাকা ৯ প্রভাষক ও দুই সহকারী অধ্যাপকের পদ।
২০১২ সালের ২৭ জুন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় সিনেট ইনস্টিটিউটটি পরিচালনার জন্য ১৭তম বিধি অনুমোদন করে। সে বিধি অনুযায়ী ইনস্টিটিউট পরিচলানায় সর্বোচ্চ ফোরাম ইনস্টিটিউটের জন্য গঠিত ‘বোর্ড অব গর্ভনরস (বিজি)’কে দেয়া হয়। ১৭তম বিধি-র ৪ নম্বর ধারায় ‘পাওয়ার অব দ্য বোর্ড অব গর্ভনরস’ শিরোনামে ৪(বি) তে উল্লেখ করা হয়, ‘বিজি ৮ এবং ১১ নম্বর বিধান অনুযায়ী শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী নিয়োগ দিবে’।
সাধারণত সিন্ডিকেটে পাশ হওয়া বিশ^বিদ্যালয়ের বিভাগ সমূহের নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেন রেজিস্ট্রার। আর বিজিতে পাশ হওয়া ইনস্টিটিউটের নিয়োগে স্বাক্ষর করেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটে পাশ হওয়ার পর ইনস্টিটিউটটির নিয়োগ পত্রে স্বাক্ষরকারী কে হবেন? তা নিয়েও তৈরী হয় সমস্যা। পরে ইনিস্টিটিউটের পরিচালকই এইসব নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেন। যদিও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেন বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।
অন্যদিকে সিন্ডিকেটে নিয়োগের ফাইলটি উপস্থাপন করা হয়েছিল টেবিল এজেন্ডায়। উপরন্তু সিন্ডিকেট সদস্যদের কাছে প্রার্থীদের যোগ্যতাও উপস্থাপন করা হয়নি। নিয়োগের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সিন্ডিকেটের টেবিল এজেন্ডা হিসেবে উপস্থাপন করাও ছিল বিশ^বিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর ক্যালেন্ডার ২ এর ৫ নম্বর চ্যাপ্টারের সরাসরি লঙ্ঘন।
এদিকে ১৭তম বিধির ৩(এ) অনুযায়ী বোর্ড অব গর্ভনরস গঠন করা হয়নি কেন তা জানতে চাইলে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ বলেন, বিজি গঠনের মূল দায়িত্ব হচ্ছে ভিসি, প্রো-ভিসিদের। আমি ডিরেক্টর হিসেবে এসেছি বছর দেড়েক হলো। বিজি গঠনের জন্য আমরা প্রস্তাব দিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু বিশ^বিদ্যালয় যদি তা গঠন না করে তাহলে আমার কিছুই করার নেই।
সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, আরেফিন সিদ্দিক নিজের একান্ত ইচ্ছেতেই গত পাঁচ বছর যাবৎ বিজি গঠন থেকে বিরত ছিলেন। নিজ মেয়াদের শেষ সময়ে তড়িগড়ি করে গুরুতর অনিয়মের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ তাদের।
বিশ^বিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী ইনিস্টিটিউটে কোন ধরনের নিয়োগের ব্যাপারে বোর্ড অব গভর্ণরস (বিজি) ই চুড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী এবং বিজি কোন কিছু অগ্রাহ্য করলে সেখানে কেবল মাত্র আচার্য তথা রাষ্ট্রপতি হস্তক্ষেপ করতে পারবেন বিষয়টি সমাধানের জন্য। সেক্ষেত্রে সিন্ডিকেট কোন হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই।
বিশ^বিদ্যালয় অধ্যাদেশের ১৭তম বিধির ৮(৫) নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি বিজি সিলেকশন বোর্ডের সুপারিশ গ্রহণ না করে তাহলে সিলেকশন বোর্ড সুপারিশটি বিশ^বিদ্যালয় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরাসরি আচার্যের কাছে পাঠাবে তখন আচার্য ঠিক করবেন কাকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হবে।’
সাধারণত কোন নিয়োগ পাশ হওয়ার আগে সিন্ডিকেট সদস্যদের কাছে প্রার্থীদের পূর্ণ প্রোফাইল দেয়া হয়। ইনিস্টিটিউটের এই নিয়োগটি সিন্ডিকেটে চুড়ান্ত করা হলেও সিন্ডিকেটের সদস্যদের কাছে নিয়োগ প্রত্যাশী প্রার্থীদের কোন প্রোফাইল দেয়া হয়নি। একই দিন নিয়োগ চুড়ান্ত করা অন্যসব নিয়োগে প্রার্থীদের প্রোফাইল দেয়া হয়েছে। কিন্তু লেদারের ক্ষেত্রে সেটি করা হয়নি। আবার নিয়োগের ফাইলটি দেয়া হয়েছে, টেবিল এজেন্ডা হিসেবে।
বিশ^বিদ্যালয় অধ্যাদেশের ক্যালেন্ডার ২ এর ৫ নম্বর চ্যাপ্টার অনুযায়ী নিয়োগ সুপারিশ টেবিল এজেন্ডা হিসেবে উপস্থাপন করার সুযোগ নেই। ক্যালেন্ডার ২ এর ৫ নম্বর চ্যাপ্টার অনুযায়ী, ‘যে বিষয়ে দ্বিমতের সম্ভবনা নেই শুধু সেসব বিষয় তাৎক্ষণিকভাবে যথাযথ নোটিশ ছাড়া সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করা যায়। সেটি দুইভাবে করা যায়- ১. আর্জেন্ট ম্যাটার, ২, রুটিন ম্যাটার। কিন্তু যেসব বিষয়ে দ্বি-মতের সম্ভবনা আছে সে সব বিষয়ে যথাযথ নোটিশ এবং ফাইল আগে থেকেই সদস্যদের কাছে পৌঁছাতে হবে।’ কিন্তু নিয়োগের মতো একটি জটিল বিষয় টেবিল এজেন্ডা হিসেবে উপস্থাপন করায় সিন্ডিকেট সদস্যরা দ্বি-মত পোষণ করেছেন বলেও একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট সভায় নোট অব ডিসেন্টও (অনাস্থা প্রস্তাব) দিয়েছিলেন সিন্ডিকেটের এক সদস্য। এরপরও বিষয়টি আমলে নেননি তৎকালিন উপাচার্য।
এবিষয়ে জানার জন্য সাবেক ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মুঠোফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।
বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি (যিনি ওই নিয়োগের সময় প্রো-ভিসি (প্রশাসন) এর দায়িত্বে ছিলেন) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঐদিনের নিয়োগের ফাইলটি টেবিল এজন্ডা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল তাতে মনে হয় সম্পূর্ণ তথ্য ছিলনা তাই আমি আর কিছু বলতে পারিনি। আর যেহেতু গত সিন্ডিকেটে এটি নিয়োগ হয়ে গেছে তাই উপাচার্য হিসেবে না জেনে এখনই কিছু বলতে পারছিনা, আমি খোজ নিয়ে দেখছি। তবে যতদূর মনে পড়ে আমি প্রশ্ন তুলেছিলাম যেহেতু ইনিস্টিটিউটের নিয়োগ তাই বিজি কমিটি থাকার তো কথা তখন বলা হয়েছে বিজি কমিটি নেই তাই সিন্ডিকেটে এটা এসেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন