এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী : (১২) হযরত মুলায়মান (আ:) আশুরার দিনেই সিংহাসন লাভ করেন এবং মানববসতীপূর্ণ গোটা বিশ্বের সম্রাটপদে বরিত হন। হযরত সুলায়মান (আ:) হাতের আংটি হারিয়ে সাময়িকভাবে সাম্রাজ্য হারা হলে মহান রাব্বুল ইজ্জত পুনরায় আশুরার দিনেই তাঁর রাজ্য ফিরিয়ে দেন। (সূরা) নামল : ক্রমিক নং ২৭, আয়াত ১৫-৪৪, পারা-১৯, রুকু-২,৩)
(১৩) আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত সাগর, পাহাড়, প্রাণীকুল, আসমান, জমীন, তন্মমধ্যস্থ সকল বস্তু আশুরার দিনেই সৃষ্টি করেছেন। (সূরা নামল : ক্রমিক নং ২৭, আয়াত ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, পারা ২০, রুকু-৫)
(১৪) হযরত ঈসা (আ:) কে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত বহু অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী করে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছিলেন। হযরত ঈসা (আ:) জন্মলাভের পর হতে দীর্ঘ তেত্রিশটি বছর ধরে দুনিয়ার মানুষকে হেদায়েতের পথে আহ্বান করে ছিলেন। কিন্তুু দুনিয়ার মানুষ তাঁর আহ্বানে সাড়া দেয়নি। শেষ পর্যন্ত তাঁকে হত্যা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। মহান রাব্বুল আলামীন তাঁকে আশুরার দিনেই আসমানে তুলে নেন। (সূরা আলে ইমরান : ক্রমিক নং ৩, আয়াত ৫৫, ৫৬, পারা ৩, রুকু-৬)।
(১৫) মহররমের দশ তারিখ আশুরার দিনেই কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। সৃষ্ট জগতের সব কিছু ভেঙ্গে চুড়ে একাকার হয়ে যাবে। এক আল্লাহ ছাড়া সকল বস্তুুর বিলুপ্তি সার্ধিত হবে। (সূরা ইয়াসীন, ক্রমিক নং ৩৬, আয়াত ৫১, ৫২, ৫৩, পারা ২৩, রুকু-৪)
উপর্যুক্ত আলোচনার নিরিখে একথা স্পষ্টত:ই বলা যায় যে, মহররম মাসের দশ তারিখ আশুরার দিবসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মহিমা মন্ডিত। এই দিন বিশ্বাসী বান্দাহদের উচিত বেশী বেশী করে নফল নামাজ আদায় করা, আশুরার রোজা রাখা, এবং ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে বাস্তব জীবনের সর্বত্র তা আমলে পরিণত করা। কেননা, সময়ের পরিবর্তনে অনেক কিছু পরিবর্তিত হয়ে গেলেও এমন বহু বিষয় আছে, যা কালের খাতায়, ইতিহাসের পাতায় চিরকাল ভাস্বর হয়ে ফুটতে থাকে। মহররম ও আশুরা এরই একটি আবীচ্ছেদ্য অংশ। এর ব্যত্যয় হওয়ার জো নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন