বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

লাখো মানুষ চরম খাদ্য সঙ্কটে

রাখাইনে প্রবেশাধিকার চায় মানবাধিকার সংগঠনগুলো

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৮:৫৮ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

রোহিঙ্গা সঙ্কট অগ্রহণযোগ্য ট্র্যাজেডি : যুক্তরাজ্য

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো মিয়ানমার সরকারের কাছে রাখাইন রাজ্যের সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোতে নির্বিঘেœ প্রবেশাধিকার দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এসব এলাকা থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিলেও আরো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা আক্রান্ত এলাকাগুলোতে থেকে যাওয়ায় খাবার, আশ্রয় এবং স্বাস্থ্য সেবার তীব্র সঙ্কটে ভুগছে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, অক্সফাম এবং সেভ দ্যা চিলড্রেনসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের একটি গ্রুপের বরাত দিয়ে জানায়, অভ্যন্তরীণভাবে ঠিক কত লোক স্থানচ্যুত হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। তবে তাদের মধ্যে লাখো মানুষ এখনো খাবার, আশ্রয় ও স্বাস্থ্য সেবার চরম সঙ্কটে ভুগছে। সংগঠনগুলো আরো জানায়, আমরা সরকার এবং মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষকে রাখাইন রাজ্যে যেসব লোকদের সাহায্য প্রয়োজন, তাদের কাছে মানবিক সহায়তাদানকারী সংগঠনগুলোর পৌঁছানোর সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানাই। প্রসঙ্গত, সংঘাতের পর থেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয় মিয়ানমার সরকার। মিয়ানমারের দাবি, গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা দেশটির পুলিশ চৌকি ও সেনা ক্যাম্পে হামলা চালায়। তার পর থেকে বিদ্রোহ দমনের অজুহাতে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনারা নৃশংস অভিযান শুরু করে জাতিসংঘ যাকে জাতিগত নির্মূল বলে আখ্যায়িত করেছে। অপর এক খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে যুক্তরাজ্য বলেছে, রোহিঙ্গা সঙ্কট অগ্রহণযোগ্য ট্র্যাজেডি। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ ও তাদের জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বিরুদ্ধে অবরোধ প্রত্যাহার করতে অং সান সু চির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও এশিয়াবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড এ আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাখাইন রাজ্যে আমরা যা কিছু দেখছি, তা অগ্রহণযোগ্য ট্র্যাজেডি। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ২৫ আগস্ট নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর কোনো বিদেশি মন্ত্রী হিসেবে তিনিই প্রথম রাখাইন রাজ্য সফর করেছেন। মিয়ানমার সফরের সময় রাজধানী নেপিদোতে সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। মার্ক ফিল্ড বলেছেন, আমরা এই সহিংসতার সমাপ্তি চাই এবং যারা পালিয়ে গেছে দ্রুত ও নিরাপদে তাদের নিজেদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে হবে। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে বার্মা (মিয়ানমার) অনেক এগিয়েছে। কিন্তু রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতা ও মানবাধিকার সঙ্কট অগ্রগতির পথ থেকে মিয়ানমারকে ছিটকে ফেলতে পারে। যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা লেবার পার্টির জেরেমি করবিন গত বুধবার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধে সু চির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের চ্যাম্পিয়ন সু চিকে সহিংসতা বন্ধে এখনই কাজ করতে হবে। ২৫ আগস্ট সহিংসতা শুরুর পর এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়েছে। নিহত হয়েছে সহস্রাধিক মানুষ। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নকে জাতিগত নিধন অভিযান বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে রোহিঙ্গা ইস্যু। রয়টার্স, বিবিসি, গার্ডিয়ান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন