সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কাজিপুরে সবজি বাজারে আগুন ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

| প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজসহ সকল প্রকার সবজির দাম অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শ্রমজীবী ও সাধরণ মানুষের নাভিশ্বাস শুরু হয়েছে। তবে পেঁয়াজের ঝাজে নাকাল এখন কাজিপুরবাসী।
জানা যায়, কাজিপুর উপজেলার খুচরা বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুন আর সব ধরণের সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় গত তিন সপ্তাহ আগে কাজিপুর উপজেলার বাজার গুলোতে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম রকমভেদে ১৫ টাকা থেকে ১৮ টাকা কেজি ও কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৮০ টাকা কেজি। বৃহসাপতিবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে দেশী পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ ও কাচা মরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি, বেগুন ২০ টাকা কেজি বর্তমানে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, পটল ২০ টাকা কেজি বর্তমানে ৪০ টাকা কেজি, শসা ২০ টাকা বর্তমানে ৪০ টাকা কেজি, কাকরোল ১৬ টাকা বর্তমানে ৩২ টাকা কেজি, ঝিঙ্গা ১৮ টাকা বর্তমানে ৩৬ টাকা কেজি, মিষ্টি লাউ ১০ টাকা কেজি বর্তমানে ৩০ টাকা, কুমড়া প্রতিপিচ ১০ টাকা বর্তমানে ৩০ টাকা, করলা ৪০ টাকা বর্তমানে ৮০ টাকা কেজি, বরবটি ৩০ টাকা বর্তমানে ৬০ টাকা কেজি, ঁেঢরশ ২০ টাকা বর্তমানে ৪০ টাকা, শশা প্রতি কেজি বর্তমানে ৬০ টাকা কেজি, মুলার শাক ২০ টাকা কেজি, পুঁই শাক ২০ টাকা, কচু লতা ৪০ টাকা, লাল শাক ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু মাত্র আলুর দাম ছাড়া সকল প্রকার সবজির দাম অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধ্রাণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। সরকারি ভাবে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন সময় বাজারে এ ধরনের অস্থিরতার সৃস্টি হয়। ব্যবসায়িরা অধিক মুনাফার আশায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনেক সময় পণ্যর দাম বেশি নেয়।
রিক্সাওয়ালা আবুল কাশেম, দিন মজুর হোসেন আলী সহ একাধিক খেটে খাওয়া মনুষের সাথে কথা বললে তারা জানান, যেভাবে জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আমাদের মত খেটে খাওয়া মানুষদের জীবন চলা দায় হয়ে পরেছে। দিনে যে রোজগার করি তাতে কোন রকমে খেয়ে পড়ে বেঁচে ছিলাম। এতদিন শুধু চালেম দাম বেশি ছিল কিন্ত এখন সব জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। কিন্ত আমাদের রোজগার সেই আগের মতই আছে। এখন আমরা দুচোখে অন্ধকার দেখছি। সাধারন মানুষের দাবি নিয়মিত বাজারে মনিটরিং থাকলে এ সিন্ডিকেটের অবস্থা থাকবেনা। কাঁচামাল ব্যবসায়ি শাহীন মজিদ সহ সবজি ব্যবসায়ীর জানান, এ বছর ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসার কারণে আমাদের দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশীয় বাজারে ঘাটতি পূরণ করতে ভারতের উপর নিরভর্শীল হতে হয়। সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, বন্যা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ প্রসঙ্গে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন- বাজার মনিটরিং করার হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন