মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) থেকে : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা ইউনিয়নের দৈয়ারা-বরৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠার ১০ বছরেও সরকারিভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ফলে পুরাতন দুইটি টিনশেড ঘরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিদ্যালয়টিতে সরকারিভাবে অবকাঠামাগত কোন উন্নয়ন না হওয়ায় এলাকার শিক্ষিত মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১ ডিসেম্বর ওই এলাকার নাছির উদ্দিন, ওয়ালিউল আজম, ইসরাফিল, সফিউল আজম স্বপন, সাইফ উদ্দিন, ইসমাইল, সামছুল করিম ও আবদুর রাজ্জাক যৌথভাবে ৩৩ শতক জায়গা দিয়ে দৈয়ারা-বরৈয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। স্থানীয়দের অনুদানে বিদ্যালয়ে দুইটি টিনসেড ঘর তৈরি করা হয়। বর্তমানে সেগুলোর অবস্থাও বেহাল। ২০১৩ সালের জুন মাসে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ (সরকারি) করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ১৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক রয়েছেন ৫ জন। দুইটি টিনসেড ঘরে পাঁচটি কক্ষে ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রয়েছে। একটি কক্ষ শিক্ষকরা অফিস হিসেবে ব্যবহার করছেন। প্রতি বছরের ন্যায় ২০১৫ সালেও বিদ্যালয়টি থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাস করেছে। স্থানীয়রা ক্ষোভ করে জানান, ‘সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারি উদ্যোগে পাকা ভবন রয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়টি নামেই সরকারি হয়েছে। সরকারিভাবে অবকাঠামোগত কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। তারা অবিলম্বে বিদ্যালয়ে একটি পাকাভবন নির্মাণ করার জন্য স্থানীয় সাংসদ ও রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন’। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘প্রতি বছরই শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল অর্জন করছে। কিন্তু অবকাঠামোগত ভালো ব্যবস্থা না থাকায় অভিভাবকরা তাদের ছেলে-মেয়েদের ভর্তি করাতে চায় না। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট শিগগিরই একটি নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানান’।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন