শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাল্টিমিডিয়ায় পাঠদান
শিক্ষাকে আকর্ষণীয় করতে ডিজিটাল শিক্ষা কনটেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কনটেন্টসমূহ শ্রেণিকক্ষে ব্যবহারের মাধ্যমে পাঠ্য বিষয় সহজ, আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক হয়েছে। সরকার শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস তৈরির ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। আইসিটি শিক্ষা শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের জন্য উপযুক্ত করে তুলবে। অথচ দক্ষ শিক্ষক না থাকার কারণে মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে ক্লাস সঠিকভাবে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে অনিয়ম ও দুর্নীতি শিক্ষাকে গ্রাস করছে। প্রতিদিন অন্তত ছয়টি বিষয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস বাধ্যতামূলক হলেও বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ পদ্ধতিতে ক্লাস হচ্ছে না। অথচ মাল্টিমিডিয়া ক্লাস হচ্ছে এই মর্মে উপজেলা শিক্ষা অফিসে ভুয়া প্রতিবেদন ঠিকই পাঠানো হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসও প্রধানমন্ত্রীর অফিসে একইভাবে রিপোর্ট পাঠাচ্ছে। এতে কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ ব্যাহত হবে।
জয়নুল আবেদীন
শ্রীপুর, গাজীপুর।

শিক্ষার সুযোগ
আমাদের দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ আর্থিক দুর্বলতা, নারী শিক্ষার্থীদের বিয়ে, অসুস্থতা, কর্মে যোগদান, দু-এক বিষয়ে ফেল, মান উন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ইত্যাদি কারণে অনিয়মিত হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে অনেক মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষার্থীও রয়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্য এদের একমাত্র ভরসা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত দেশের কলেজগুলো। কিন্তু এ বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসব কলেজে তিন বছর আগের মাধ্যমিক ও এক বছর আগের উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রতিবছর হাজার হাজার এবং কয়েক বছরের বিচারে লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে পত্রিকায় এসেছে, এবারও অধিকাংশ কলেজের আসন পূর্ণ হবে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অদূরদর্শী ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্তে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবার হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। উচ্চশিক্ষার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেলে মাধ্যমিক পর্যায়েও শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাবে। ফলে সমাজে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এই অবস্থায় আমাদের সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা অথবা আমাদের ভিন্ন সুযোগ দেওয়া হোক।
শামসুল আরেফিন চৌধুরী
ঢাকা।

ঢাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
রাজধানী ঢাকাকে এখন শুধু মসজিদ বা রিকশার শহর নয়, বরং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহরও বলা যেতে পারে। ঢাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো প্রতিটি স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অগণিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিদিনই অগণিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্ম হচ্ছে। শিক্ষার মান খারাপ হওয়ার পেছনে এই অপরিকল্পিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই বেশি দায়ী।
ঢাকায় কয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে তার সঠিক তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় দিতে পারবে কি না, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আর এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ হয় একেবারে অপরিকল্পিতভাবে। অনেকে যোগ্যতা ছাড়াই শিক্ষক হচ্ছে। শিক্ষার মান কমে যাওয়ার এটাও অন্যতম কারণ। এরাই আবার ছাত্রদের কাছ থেকে প্রচুর টিউশন ফি নিচ্ছে। যাহোক, সরকারের প্রতি অনুরোধ, প্রতিটি জেলা–উপজেলায় চাহিদা ও প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। কুশিক্ষা নয়, আমরা সুশিক্ষা চাই।

মো. নিজাম গাজী
ঢাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন