জেলা মেধা তালিকায় প্রথম হয়েও
১২তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হয় ৯ নভেম্বর ২০১৫। শতকরা ৮০ নম্বর পেয়ে সহকারী শিক্ষক (কৃষি) পদে চাঁদপুর জেলার মধ্যে আমি প্রথম স্থান অধিকার করি; অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্মারক নং ৩৭.০০.০০০০.০৭১.০৮.০০৮.০৫ (অংশ)-১০৮১, তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ অনুসরণে সরাসরি বিদ্যালয়ে (পূর্বের নিয়মে) নিয়োগের জন্য আবেদন করার কোন সুযোগ পাইনি। পরবর্তীতে চঁনষরপ ঈরৎপঁষধৎ: ২০১৬-০৬-০৬ অনুযায়ী ২০ জুলাই ২০১৬ এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে আমি দেশের ১১টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (কৃষি) পদে আবেদন করি। ৯ অক্টোবর ২০১৬ এনটিআরসিএ প্রার্থীদের নিজ উপজেলা ভিত্তিক মেধা তালিকা প্রকাশ করে এবং আমাকে মতলব দক্ষিণ উপজেলাস্থ বরদিয়া কাজী সুলতান আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ে উক্ত পদে নির্বাচিত করা হয়েছে মর্মে অবহিত করে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৫ অক্টোবর ২০১৬ এনটিআরসিএ বিদ্যালয়ে নিয়োগের লক্ষ্যে জবপড়সসবহফধঃরড়হ খবঃঃবৎ প্রেরণ করে। ১৬ অক্টোবর ২০১৬ আমি উক্ত বিদ্যালয়ে নিয়োগের জন্য আবেদন করলে ৩০ অক্টোবর ২০১৬ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে নিয়োগাদেশ দেয়।
কিন্তু যোগদান করার সময় আমাকে জানানো হয়, এনটিআরসিএ স্মারক নং বেশিনিক/শিশি/বে.শি.প্রতিষ্ঠানে শি.নিয়োগ/৫৭৪/২০১৬/১৮৮, তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৬ অনুসারে, ‘পুরুষ কোন প্রার্থী মহিলা কোটায় সুপারিশ হলে সংশ্লিষ্ট যোগদানপত্র গ্রহণ স্থগিত রেখে বিদ্যালয়কে অবিলম্বে সিদ্ধান্তের জন্য এনটিআরসিএ-কে জানাতে হবে’! স্ব-বিরোধী এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে এনটিআরসিএ সূত্র জানায়, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঊ-জবয়ঁরংরঃরড়হ দেওয়ার সময় ‘মহিলা কোটা’ উল্লেখ করেনি। বিদ্যালয় সূত্র বলছে, ইতিপূর্বে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় আবশ্যক ১ম ও ২য় বার মহিলা কোটা উল্লেখ করে (পূর্বের নিয়মে) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেও কাঙ্খিত প্রার্থী না পেয়ে ২৬ অক্টোবর ২০১৫ আবশ্যক ৩য় বার, পুরুষ ও মহিলা- উভয় প্রার্থীর জন্যই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র বলছে, উক্ত বিদ্যালয়ের মহিলা শিক্ষক কোটা পূরণ না হওয়ায় পুরুষ কোন প্রার্থী যোগদান করলে পরবর্তীতে তার গচঙ ভুক্তির আবেদন অগ্রাহ্য হবে। সমস্যা সমাধানে সর্বশেষ আমি ৩১ অক্টোবর ২০১৬ এনটিআরসিএ-এর মাননীয় চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করি।
এনটিআরসিএ-এর সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আজ প্রায় ১০ মাসের অধিক হয়ে গেল। মেধা তালিকায় আমার পরবর্তী ২য়, ৩য় স্থান অধিকারী প্রার্থীরা হয়ত শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে গচঙ ভুক্ত হয়ে গেছেন; অথচ প্রথম স্থান অধিকার করেও আমি শিক্ষক হতে পারছি না। এর দায় কার?
এম. নজরুল ইসলাম,
চাঁদপুর।
অপহরণ রুখতে হবে
শহরে-বন্দরে মাইকিংয়ে শোনা যায় নিখোঁজ সংবাদের কথা। দৃশ্যমান দেওয়ালে সাঁটানো হারানো বিজ্ঞপ্তি। আর পত্রপত্রিকা খুললেই চোখে পড়ে নিখোঁজ সংবাদ, হারানো বিজ্ঞপ্তির বহু খবর। ইদানীং যেন বেড়ে চলছে দুস্কৃতকারীদের নখঁর থাবা। শিশু-কিশোর, নবীন-প্রবীণসহ বিভিন্ন বয়সের ব্যক্তি শিকার হন এসব দুস্কৃতকারীদের হাতে অপহরণের। তবে শিশু-কিশোরের সংখ্যাটাই বেশি। স্কুল কিংবা খেলার মাঠ থেকে চকলেট, চানাচুর, চিপস অথবা কোন খেলনা দেখিয়ে শিশুদের আড়ালে নিয়ে সুযোগ বুঝেই গাড়িতে তুলে আস্তানায় নিয়ে গিয়ে দুস্কৃতকারীরা বন্দি করে রাখে এদেরকে। মুঠোফোনে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে বন্দিদের পিতা-মাতা বা স্বজনদের কাছ থেকে। তাই এ ব্যাপার সচেতন হতে হবে অভিভাবকদের, সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ প্রশাসনের এবং কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সরকারকে।
মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান,
পিরোজপুর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন