নতুন বেতনস্কেলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দ্বিগুণ বেড়েছে এবং বাংলা নববর্ষভাতা বেতনের ২০% হারে কর্মরত অবসরপ্রাপ্ত সকলকে সমহারে দেয়া হবে। চিকিৎসাভাতা, বার্ষিক বর্ধিত বেতন দ্বিগুণের চেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে। এতে আগামী ১০ বছরেও পে-কমিশন গঠনের কোনো প্রয়োজন হবে না। কিন্তু কর্মরতদের বেতন বৃদ্ধির যে সুপারিশ করা হয়েছে, সেই একই সুপারিশ অবসরপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়া উচিত। কিন্তু তা না হয়ে পেনশনভাতা মাত্র ৪০% ও ৫০% বৃদ্ধি এবং সর্বনি¤œ পেনশনভাতা ৩০০ টাকা করায় অবসরপ্রাপ্তরা আর্থিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
৭ম জাতীয় বেতন স্কেলে (২০০৯) পেনশনভাতা ৪০% ও ৫০% বাড়ানো হয়েছিল, তা আবার ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে বহাল রাখার কোনো যুক্তি খুঁজে পাই না। সর্বক্ষেত্রে ৬০% ও ৭০% বেতনভাতা বাড়ানো হলে সরকারের হাজার কোটি টাকার রাজস্ব বেঁচে যেত। চিকিৎসাভাতা, উৎসবভাতা এবং বাংলা নববর্ষভাতা যদি একই নিয়মে, একই হারে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্তদের দেয়া যায়, তাহলে বেতন ও পেনশনভাতা দিয়ে জীবনের শেষ ভাগে তাদের চলতে হয়। নতুন পে-স্কেলে একজন অফিস পিয়ন বা অফিস সহকারী যে বেতনভাতা পাচ্ছেন তা একজন সিনিয়র অবসরপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা পান না। বৈষম্য অবসানের জন্য যারা যে বেতন স্কেলের অবসর গ্রহণ করেছেন, সেই গ্রেডের নতুন স্কেলে তাদের পেনশন পুনরায় নির্ধারণ করা উচিত বা নেট পেনশনের ৫% বর্ধিত বার্ষিক ভাতা প্রদান করে এ সমস্যা সমাধান করা যায়। পরিশেষে, অর্থ বিভাগের ১৫-২-২০১৫ তারিখের এসআরও নম্বর ৩৬৯ আইন ২০১৫-এর অনুচ্ছেদ ১০-এর খ, ঘ-এর উপধারা আংশিক সংশোধন করে পেনশনভোগীদের যাদের বয়স ৬৩ বছরের ওপরে তাদের নিট পেনশনের ৫০% এর স্থলে ৮০% ও অন্যদের ক্ষেত্রে নিট পেনশনের ৪০% এর স্থলে ৭০% বৃদ্ধি ও সর্বনি¤œ পেনশনভাতা ৫,০০০ টাকা করার জন্য সরকারের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
মো. নজরুল ইসলাম,
সিনিয়র সহকারী সচিব (অব).
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন