ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার বিপত্তি
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঢাকার স্কুলশিক্ষার্থী কিশোরদের ৭৭ শতাংশই পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। সমীক্ষাটা অবাক করার মতো হলেও বাস্তবতা এমনই। প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে অনেক ক্ষতিকর বিষয় ঢুকে যাচ্ছে আমাদের মধ্যে। এর অন্যতম হলো পর্নোগ্রাফি। যার কুফল তরুণদের নিয়ে যাচ্ছে ধ্বংসের পথে। পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হওয়ার জন্য তরুণদের খুব পরিশ্রম করতে হয় না। মোবাইলে ইন্টারনেট চালু করলে এমনিতেই চোখের সামনে একের পর এক ভেসে আসে বিভিন্ন পর্নের লিঙ্ক। তাতে শিরোনামও থাকে আকর্ষণীয়। তরুণদের পর্নোগ্রাফির আসক্তির জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করছে বিভিন্ন অনলাইন সংবাদমাধ্যম। নিয়ন্ত্রণহীন এই অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের প্রচার বাড়াতে আশ্রয় নিচ্ছে পর্নোগ্রাফি প্রচারে। বিভিন্নভাবে কৌশলী শিরোনামে তারা প্রচার করছে পর্নের সংবাদ।
সরকারকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। তরুণদের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে এক্ষুনি এর নিয়ন্ত্রণ আবশ্যক।
মুহাম্মদ শরীফ
শিক্ষার্থী, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা।
নিয়োগে গড়িমসি কেন?
দেশে ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিবন্ধন পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়। ১ থেকে ১১তম নিবন্ধন পরীক্ষার ধরন এক রকম ছিল।
২০১৫ সালে নতুন গেজেট প্রণয়ন করে পরীক্ষা পদ্ধতিকে পিএসসির আদলে চালু করা হয়। ১৩তম নিবন্ধন পরীক্ষা অন্য সব পরীক্ষার চেয়ে তুলনামূলক কঠিন করে নেওয়া হয় এবং বলা হয় ১৩তম নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ পেতে আর কোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ১৩তম নিবন্ধনধারীদের একজনকেও নিয়োগ না দিয়ে আবার ১৪তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় ১৩তম নিবন্ধনধারীরা তাঁদের একক নিয়োগের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামলেও কোনো ফল আসেনি। এভাবে পিএসসির আদলে নেওয়া পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও যদি বেকারত্বের গ্লানি ভোগ করতে হয়, তাহলে আমাদের দাঁড়ানোর জায়গা কোথায়? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এর যথাযথ প্রতিকার চাই।
জাহিদ হাসান
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন