যশোর জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন ইমনকে (২৯) শনিবার রাতে গুলি করেছে সন্ত্রাসীরা। তিনি শহরের বেজপাড়ার গোলগোল্লার মোড়ের আজিমাবাদ কলোনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। খুনিদের দ্রুত আটক দাবিতে রোববার বিকালে শহরের দড়াটানা থেকে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ।
নিহতের পিতা আনোয়ার হোসেন জানান, গোলগোল্লার মোড়ের সালাম ফার্নিচারের সামনে বসে বন্ধুদের লুডু খেলা দেখছিলেন ইমন। রাত ১১টার পরপরই কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে ইমনের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। হাসপাতালে আনা হলে রাত ১১টা ১৩ মিনিটে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কাজল মল্লিক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ইমনের বুকে গুলী লাগে।
যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে দুইটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। কারা কী কারণে তাকে হত্যা করেছে তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। আর রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় কোন মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আজমল হুদা। খুনিদের কেউ আটক হয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করে জানান, তবে পুলিশ আটকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে এবং কী কারণে হত্যাকান্ড ঘটেছে সেটা জানার চেষ্টা করছে।
তবে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, বেজপাড়া গোলগোল্লা ও আজিমাবাদ কলোনি মাদক প্রবণ এলাকা। রাজনীতির হাতেখড়ি হওয়ার পর থেকেই তিনি মাদক বেচাকেনা ও সেবনকারীদের বিপক্ষে ছিলেন। স্থানীয় মাদক বিক্রেতাদের সাথে তার বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জের ধরে মাদকের সাথে জড়িতরা নিজে বা ভাড়াটে খুনি দিয়ে ইমনকে হত্যা করতে পারে।
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল দলীয় প্রতিপক্ষকে দায়ী করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন