বর্ষণে কৃষি এবং কৃষকের ক্ষতিই বেশি
কৃষি প্রধান দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। কৃষক সমাজ আমাদের নিত্য দিনের খাদ্যের যোগান দেয়। হার ভাঙ্গা পরিশ্রম করে ফসল উৎপাদন করে। দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে কৃষকের ভূমিকা লক্ষ করার মত। কৃষির উৎপাদন ব্যহত হলে এর প্রভাব সারা দেশেই পড়ে। আমরা কৃষকের ক্ষতি কখনোই আশা করি না। কৃষকের ক্ষতি মানে কৃষির ক্ষতি। আর কৃষির ক্ষতি মানে দেশের খাদ্য ঘাটতি। কিন্তু প্রকৃতিক দূর্যোগে দেশের বিভিন্ন খাতে ক্ষতি হলেও কৃষি অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। বিশেষ করে ভারী বর্ষণে কৃষি ও কৃষকের অপূরনীয় ক্ষতি হয়। কৃষকের এই অপূরণীয় ক্ষতিতে দেশের মারাত্বক খাদ্য ঘাতটি দেখা দেয়। যার ফলে নিত্য দিনের সবজি বাজারের দাম মাত্রারিক্ত হারে বেড়ে যায়। প্রাকৃতিক দূর্যোগ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই ঘন ঘন দূর্যোগ হয়। এজন্য প্রাকৃতিক দূর্যোগকে দায়ী না করে কৃষি অঙ্গনে কৃষককে ফসল ফলানোর প্রতি উদ্ভুদ্ধ করতে হবে। শাক সবজি উৎপাদনের জন্য প্রতিটি মানুষকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারের কৃষি মন্ত্রানালয় এ ব্যাপারে জোরালো ভূমিকা পালন করবে এবং কৃষকের দিকে সুনজর দিবে। তাহলে প্রাকৃতিক দূর্যোগেও আমরা খাদ্যে পরিপূর্ণ থাকবো।
আজিনুর রহমান লিমন
ডিমলা, নীলফামারী।
ছাত্রাবাস থাকার পরও মেসে থাকতে হচ্ছে
উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ রংপুরের কারমাইকেল কলেজ, যেখানে অধ্যয়ন করছে প্রায় ৩৪ হাজার শিক্ষার্থী। লেখাপড়ার মান অনেক ভালো হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ে ৩য় স্থান অধিকার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আবাসন ব্যবস্থা হিসেবে এখানে রয়েছে ৩টি ছাত্রীনিবাস ও ৪টি ছাত্রাবাস। ছাত্রীনিবাসগুলো চালু থাকলেও কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ছাত্রাবাসগুলো। হোস্টেলের সিট দখল এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই সংঘর্ষ লাগত ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে। এ কারণে ২০১১ সালের ১৫ মার্চ থেকে আজ অবধি বন্ধ রয়েছে ছাত্রাবাসগুলো।
বস্তুত প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির শিকারে পরিণত হয়েছে কারমাইকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছাত্রাবাসে আমরা স্বল্প খরচে থাকতে পারতাম কিন্তু রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘদিন ধরে তা বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে আমাদের বাইরে থাকতে হচ্ছে। শহরে মেস বা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকার খরচ অনেক বেশি। অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে এ ব্যয় নির্বাহ করা বেশ কঠিন। বন্ধ থাকা ছাত্রাবাসগুলো দ্রæত চালু করা উচিত।
হাসিব মোশারফ
অর্থনীতি বিভাগ, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর।
হৃদযন্ত্র বন্ধ হওয়ার উপক্রম...
জকিগঞ্জের মানুষের হৃদযন্ত্র বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সড়কে চলাচলের সময় গাড়ি যখন গর্তে পড়ে, তখন মনে হয় জীবিত অবস্থায় হয়তো বাড়িতে আর ফেরা যাবে না! আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, ৩ বছর ধরে এভাবে জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে জকিগঞ্জবাসী দিবা-রাত্র সড়ক-যাত্রা সম্পন্ন করছে। অথচ আজ পর্যন্ত সমস্যার কোনো সুরাহা হল না। নেতা-নেত্রীরা শুধু আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তাদের আশ্বাস শুনতে শুনতে আজ আমরা ক্লান্ত। সত্যিই খুব ক্লান্ত। ভুক্তভোগী হিসেবে আমার প্রত্যাশা, সড়কটি দ্রæত সংস্কারের পদক্ষেপ নেয়া হোক।
কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল
সমাজকল্যাণ সম্পাদক, জকিগঞ্জ একতা ফোরাম, সিলেট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন