শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পানিবদ্ধতা দূরীকরণে করণীয়
বর্ষা শেষে হেমন্তের শুরুতে প্রতিকূল আবহাওয়ার প্রভাবে নিম্নচাপের কারণে যে তিনদিনব্যাপী বৃষ্টিপাত হলো তাতে রাজধানী ঢাকার অনেক সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। সৃষ্টি হয় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হলেই নগরবাসীকে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। এবার যে বৃষ্টিপাত হলো তাতে ঢাকার মিরপুরের কালশী, ১০ নম্বর সড়ক, শেওড়াপাড়া, পাইকপাড়া, কাজীপাড়া, মাজার রোড, রামপুরা, বাড্ডা, মালিবাগ, শান্তিনগর, রাজারবাগ, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর, রাপা প্লাজা, হাজারীবাগ কোম্পানিঘাট এলাকার সড়ক, হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ এলাকার সড়ক, কামরাঙ্গীরচর, পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোড, আলাউদ্দিন রোড ও যাত্রাবাড়ি এলাকার কিছু সড়ক; এমনকি ঢাকার অনেক ইউনিয়ন পর্যন্ত পানির নিচে তলিয়ে যায়। মিরপুর ১০ নম্বরে নৌকা চলতে দেখা যায়। বলা চলে, এ এক ভয়াবহ ভোগান্তি। এই ভোগান্তির শেষ নেই। দুই সিটি কর্পোরেশন এই জলাবদ্ধতা দূরীকরণে হিমশিম খাচ্ছে। পাশাপাশি যোগ হয়েছে সড়কগুলোর বেহাল দশা। কিছুদিন পরপর রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ফলে সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানযটের। এই জলাবদ্ধতার জন্য সিটি কর্পোরেশন ও ওয়াসা পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করে। অপরিকল্পিত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং ক্রমাগত ঢাকার বুক চিরে বয়ে চলা খালগুলো বন্ধ করে দিয়ে বিপনিবিতান, ইমারত ও আবাসন প্রকল্প গড়ে উঠার দরুন একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায় ঢাকা। জমি দখলদারদের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে খালগুলোর উপর। বড় বড় নামী-দামী আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, খোদ রাজউক, রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা কেউ বাদ নেই। পানি নিকাশ ব্যবস্থায় উন্নয়ন ও খাল-জলাশয় উদ্ধার করা ছাড়া জলাবদ্ধতার অবসান হবে না। এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোহাম্মদ ইয়ামিন খান,
ফরিদপুর।

দ্য রিভাইভার অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গাঁজা, মদ, হেরোইন, ফেনসিডিল ও সর্বনাশা ইয়াবার আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। ঠিক তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এক জনসভায় ঘোষণা দিলেন-
: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমি থাকব, না হয় মাদক বিক্রেতারা থাকবে। মাদক থাকলে আমি থাকব না।
এসপি মিজানুর রহমানের এমন ঘোষণার পর জেলা-উপজেলার ৩ শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। অনেক মাদক ব্যবসায়ী ভয়ে মাদক ব্যবসা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।
সুযোগ্য পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের অক্লান্ত পরিশ্রম ও দায়িত্ববোধের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আজ ৯৯ ভাগ মাদকমুক্ত জেলা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সংবাদকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, ব্যবসায়ীসহ সচেতন নাগরিক সমাজ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানকে ‘শক্তের জম-নরমের ভক্ত’, ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইকন’ ইত্যাদি আখ্যা দিয়েছেন। আমি দায়িত্বনিষ্ঠ এই পুলিশ সুপারকে ‘দ্য রিভাইভার অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ বলে আমার লেখার শিরোনাম করেছি।
এম. মনসুর আলী
অরুয়াইল, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন