শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিলো পুলিশ

সেনবাগ (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নোয়াখালীর সেনবাগে ওমর কাউয়ুম (২৮) নামের এক পরিবহন ব্যবসায়ীকে নিজ বাড়ি থেকে রাতের আধারে মোবাইল ফোনে ঢেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছে একদল সন্ত্রাসী। পরে পরিবহন ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজন, এলাকাবাসী ও থানা পুলিশের তৎপরতার মুখে সন্ত্রাসীরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্র জানায়, নোয়াখালীর সোনাপুর-ফেনী মহাসড়কের চলাচলকারী বেশ কয়েকটি সুগন্ধা পরিবহনের মালিক কাজী ওমর কাউয়ুম (২৮) স্থানীয় সেবারহাট বাজার থেকে সোমবার রাত ১০টার দিকে উত্তর রাজারামপুর গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার পূর্ব পরিচিত মো. সোহাগ (৪৫) নামে একব্যক্তি তাকে মোবাইল ফোনে ঘর থেকে কৌশলে ঢেকে আনেন। সোহাগ ফেনী জেলার সদর থানার মহিপাল গ্রামের সাদেক ড্রাইভারের পুত্র। পরিবহন ব্যবসায়ী কাজী ওমর কাউয়ুমদের বাড়ি সোহাগের নানার বাড়ি বলে জানা গেছে। এরপর মুখোশ পরা অপর ৫/৬জন কাউয়ুমকে জোরপূর্বক অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী একটি সুপারি বাগানে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে মুক্তিপণ বাবত এক লক্ষ টাকা দিতে বলে। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি থানা এবং এলাকাবাসীকে কৌশলে জানায়। খবর পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন অর রশিদেও নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এসময় তাদের তৎপরতার মুখে সন্ত্রাসীরা ব্যবসায়ীকে ফেলে পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ ওই ব্যাবসাীকে একটি সুপারি বাগান থেকে তাকে হাত-পা বাাঁধা এবং গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। রাতেই পুলিশের মাধ্যমে তাকে সেনবাগ সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন অর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মঙ্গলবার বিকেলে জানান, পুলিশের তৎপরতার কারনে ব্যবসায়ীকে দ্রæত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন