শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : জিগাতলার রাস্তা

প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আজ প্রায় চার মাস ধরে জিগাতলার রাস্তা খনন করে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ কাজ করছে। আজ ওয়াসা তো কাল অন্য বিভাগের কাজ। রাস্তা আর ঠিক হয় না। সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাড়ির সামনে থেকে গাবতলা মসজিদের সামনে পর্যন্ত রাস্তাটির কাজও হচ্ছে না, আবার সেটা ঠিকও করা হচ্ছে না। সামনেই আসছে বর্ষা। সম্প্রতি দু-এক দিনের বৃষ্টিতেই মানুষের হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিন এই রাস্তায় বহু মানুষ চলাফেরা করে। তাদের দুর্ভোগ নিয়ে প্রথম আলোয় প্রতিবেদনও হয়েছে। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। ফলে এ এলাকার লোকজন না পারে গাড়ি বের করতে, না পারে হেঁটে চলাচল করতে। কারণ, রাস্তা ভাঙা থাকায় যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আবার রাস্তার এক পাশ বন্ধ থাকায় সকালে প্রচ- ভিড় লেগে যায়। রিকশা, সাইকেল ও মোটরসাইকেলের জন্য হাঁটারও উপায় নেই। বর্ষার দিনে মানুষ কীভাবে হাঁটাচলা করবে, তা ভাবতেও শিউরে উঠতে হয়।
মোহাম্মদ সাদেক
ঢাকা।

শিক্ষক সংকট দূর করা হোক
বস্ত্র শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রি (বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং) অর্জনের লক্ষ্যে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৯ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বিটেক)। বর্তমানে এখানে চারটি ব্যাচে মোট ৩৪০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। নিয়মানুযায়ী যেখানে ৩০ জন শিক্ষক থাকার কথা, সেখানে রয়েছেন মাত্র আটজন।
তাই শিক্ষক সংকটের কারণে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে এর শিক্ষা কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠানটিতে পর্যাপ্ত ল্যাব থাকা সত্ত্বেও দক্ষ অপারেটর ও শিক্ষকের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে টেক্সটাইল মেশিনারি চালু করা যাচ্ছে না। বছরের বেশির ভাগ সময়ই তালাবদ্ধ থাকছে ল্যাবগুলো। ফলে পরীক্ষাগার ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। চালু না করায় অকেজো হওয়ার উপক্রম হচ্ছে কোটি কোটি টাকার ইঞ্জিনিয়ারিং যন্ত্রপাতি। চলমান এমন অবস্থায় ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের বিনীত আবেদন, প্রতিষ্ঠানটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করুন।
আবীর বসাক
বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, কলেজ (বিটেক)
কালিহাতী, টাঙ্গাইল।

হা-ডু-ডু
হা-ডু-ডু খেলা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। জাতীয় খেলা নামে পরিচিত এই হা-ডু-ডু একসময় তুমুল জনপ্রিয় ছিল, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে। বর্তমান প্রজন্ম ক্রিকেট ও ফুটবল খেলায় উৎসাহ পেলেও হা-ডু-ডু খেলায় উৎসাহ পায় না বললেই চলে। আর শহরের শিশু-কিশোরেরা তো এই খেলা সরাসরি দেখেইনি, তারা শুধু বইয়েই হা-ডু-ডুর কথা পড়েছি।
ক্রিকেটের জোয়ারে দেশের অন্যান্য খেলা হারিয়ে যেতে বসেছে। অবশ্যই আমি ক্রিকেটের বিপক্ষে নই। এই খেলার আরও উন্নতি হোক, সেটাই আমার প্রত্যাশা। কিন্তু তাই বলে অন্য খেলা তো হারিয়ে যেতে পারে না।
হা-ডু-ডু খেলার জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন। তা না হলে আগামী কয়েক বছর পর আমরা আর দাবি করতে পারব না, হা-ডু-ডু বাংলাদেশের জাতীয় খেলা। আমরা কি সেই লজ্জায় পড়তে চাই?
মো. আজিনুর রহমান
নীলফামারী।

রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় নজর দিন
রেলওয়ে কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়। সরকারের অন্যান্য সেবা খাত যেমন- শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো রেলও একটি সেবা খাত। কাজেই শুধু অর্থকে রেলের লাভ-ক্ষতির মানদ- হিসেবে বিবেচনা করলে চলবে না। জনগণকে কী পরিমাণ সেবা প্রদান করতে পারছে, তাই রেলের লাভ-ক্ষতির মানদ- হওয়া উচিত। জনগণের চেয়ে লাভ রেলের মূল উদ্দেশ্য নয় বরং যোগাযোগ, নিরাপত্তা ও জনগণের সেবা প্রদানই রেলের মূল দায়িত্ব। রেলের বরাদ্দ হচ্ছে দেশের উন্নয়নে এক ধরনের বিনিয়োগ। রেল একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। জনগণের যাতায়াত নিশ্চিত করা ও সেবা প্রদান করাই এ প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টির মূল লক্ষ্য। মনে রাখতে হবে, রাজস্ব বা বিদেশি ঋণ যেভাবেই রেলে অর্থ বরাদ্দ করা হোক না কেন, পরিশোধ জনগণকেই করতে হয়। তাই জনগণের অর্থে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি জনগণকে কী পরিমাণ সেবা প্রদান করতে পারছে তা হওয়া উচিত রেলের লাভ-ক্ষতির মানদ-। রেলের ভাড়া বৃদ্ধি করা হলে দরিদ্র মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে, রেলওয়ের জনপ্রিয়তা হ্রাস পাবে এবং এই সেবা খাতের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। রেল যখন ভালো চলছে, মানুষের যখন রেলে আস্থা ফিরতে শুরু করেছে, সে সময় হঠাৎ ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক, অন্যায়।
ভাড়া বৃদ্ধির এ প্রস্তাব আত্মঘাতী। ভাড়া বাড়ানো কোনো সমাধান নয়। হিসাব-নিকাশে কিছুটা আয় বৃদ্ধি হলেও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় সাধন করতে না পারলে এর কোনো সুফলই জনগণ পাবে না।
আতিকুর রহমান
গড়পাড়া, মানিকগঞ্জ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন