বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে বর্ণনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এই ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে এক কাতারে দাঁড় করিয়েছিলেন।
নিরস্ত্র বাঙালি জাতি সশস্ত্র জাতিতে পরিণত হয়েছিল। ২০ লাখেরও বেশি মানুষ সেদিন রেসকোর্স ময়দানে জড়ো হয়েছিল। সেদিন তিনি কোনো লিখিত বক্তব্য দেননি। তার মনের কথাগুলোই সেখানে উচ্চারিত হয়েছিল। গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ/ বজ্রকণ্ঠ : মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন করতে গিয়ে তাকে বার বার কারাগারে যেতে হয়েছে। তিনি অত্যন্ত দূরদর্শী রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ভেবে-চিন্তে কথা বলতেন এবং কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করতেন না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় আমাদের স্বাধীনতার একটি ঐতিহাসিক দলিল সম্পর্কে জানার সুযোগ পেল।
উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একে আজাদ চৌধুরী প্রমুখ। আলোচনা পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান। ###
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন