শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

শিশুদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নার’

| প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। তাই বাংলাদেশের কথা শুরু করতে গেলেই অনিবার্যভাবে এসে যায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম। বাংলাদেশের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বাধীন বাংলাদেশকে জানতে হলে প্রথমে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিকশিত হলেই শিক্ষার্থীরা মানসিক দিক দিয়ে শক্তিশালী হয়ে দেশপ্রেমিক, নীতিবান ও আত্মত্যাগী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। আর বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নার’।
স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিশোর বয়স থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর ও প্রতিবাদী ছিলেন। ন্যায় ও সত্যের পথে তিনি ছিলেন অবিচল। সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পথে চলে হয়ে উঠেছেন স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীক। শত অত্যাচার তাকে ন্যায়ের পথ থেকে দূরে সরাতে পারেনি। শোষিত মানুষের অধিকার আদায়ে আজীবন সংগ্রাম করেছেন। দেশ ও মানুষকে তিনি ভালোবাসতেন মায়ের মতো। একজন মা যেমন তার সন্তানকে মমতা দিয়ে আগলে রাখে, বঙ্গবন্ধুও বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষকে সেভাবে আগলে রেখেছেন, অকৃত্রিমভাবে ভালোবেসেছেন। নীতি-নৈতিকতায় বলীয়ান বঙ্গবন্ধু কখনও মাথা নিচু করে কথা বলেননি। নীতি-নৈতিকতার দিক থেকে তিনি ছিলেন অনন্য উচ্চতার একজন মানুষ। তারই নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে এবং আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সততা, নীতি-আদর্শ, দেশপ্রেম এবং নেতৃত্ব সম্পর্কে শিশুরা জানতে পারলে এবং বঙ্গবন্ধুর মতো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করলেই প্রত্যেকে দেশপ্রেমিক সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। আর এসব বিষয় শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরার অনন্য মাধ্যম হতে পারে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নার। প্রতিটি বিদ্যালয়ে এ ধরনের কর্নার প্রতিষ্ঠা করে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত একটি ফটো গ্যালারি স্থাপন করা যায়। বিদ্যালয়ের সিঁড়ি রুমে কিংবা একটি স্বতন্ত্র স্থানে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নার স্থাপন করে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
আমি বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার পৌরসভা ক্লাস্টারের সব বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নার’-এর কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফটো গ্যালারি স্থাপন করেছি। শিক্ষার্থীরা বেশ আগ্রহ নিয়ে ফটো গ্যালারি দেখছে এবং উদ্বুদ্ধ হচ্ছে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
মোহাম্মদ রিয়াজ আলম
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিস, মুলাদী, বরিশাল

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন