বিনোদন রিপোর্ট: পরিবারের অনুমতি ছাড়া কেউ যেন নায়করাজ রাজ্জাকের জীবনীগ্রন্থ প্রকাশ করতে না পারে, সে জন্য গুলশান থানায় জিডি করেছেন বাপ্পারাজ। বাপ্পারাজ জানান, থানায় জিডি করা হয়েছে। তার পরিবার চায় সঠিক তথ্য নিয়ে জীবনী প্রকাশ হোক। চলচ্চিত্র নির্মাতা ছটকু আহমেদ ‘নায়করাজ রাজ্জাক : টালিগঞ্জ থেকে ঢালিউড’ শিরোনামে জীবনী গ্রন্থ লিখতে শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে নায়করাজের স্ত্রী ল²ীর অনুরোধে তিনি লেখা স্থগিত করেছেন। তবে খুব শিগগিরই জীবনী গ্রন্থ প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হবে নায়করাজের পরিবার থেকে। আর সে সময় পরিবারের পাশাপাশি ছটুক আহমেদও থাকবেন। বাপ্পারাজ বলেন, বাবা জাতীয় স¤পদ, তার জীবনীগ্রন্থ হুট করে প্রকাশ হয়ে গেলে অনেক ভুল-ভ্রান্তি থাকতে পারে। তাছাড়া ছটকু কাকা আমাদের পারিবারিক বন্ধু, উনিও বিষয়টি বুঝেছেন। আপাতত অন্য কেউ যাতে এ উদ্যোগ না নেয় তার জন্য এ জিডি করা হয়েছে। আশা করি, কেউ আর এখন লিখবেন না। রাজ্জাকের ছোট ছেলে সম্রাট বলেন, জীবনী গ্রন্থটি লেখা স্থগিত করার জন্য ছটকু আহমেদকে ধন্যবাদ। কিছুদিন আগে আমরা ছটকু আহমেদকে বললাম, আম্মা চাচ্ছেন না আব্বার পুরো জীবন নিয়ে এখনই লেখালেখি হোক। একেকজন একেক কথা বলছিল। বিষয়টি তাকে বুঝিয়ে বলেছি। এদিকে নায়করাজ জীবিত থাকাকালে ছটকু আহমেদ একটি চিঠি লিখেছিলেন। নায়করাজকে লেখেন, তার জীবন নিয়ে একটি গ্রন্থ রচনা করতে চান। ছটকু আহমেদ অনুমতিও পেয়েছিলেন। কিন্তু নায়করাজের জীবদ্দশায় কাজ শেষ করতে পারেননি। এ কথাও জানান সম্রাট। তিনি বলেন, এখন তো আব্বা নেই। সে বইতে কী থাকবে কী থাকবে না, সেটাও তো একটা বিষয়। এজন্য বলেছি, আমরা একসাথে বসে কমপ্লিট একটা কিছু করি। এরই মধ্যে জীবনীগ্রন্থের জন্য তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে নায়করাজের পরিবার। সম্রাট জানান, বাবার জীবনের বেশিরভাগ তথ্য তো আমাদের কাছেই রয়েছে। আর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা রয়েছে যা পরিবারের সদস্যরা ছাড়া কেউ জানেন না। আর যেগুলো বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে ছড়িয়ে রয়েছে সেগুলোকে একত্রীভ‚ত করে তারপর কাজ শুরু করব। আর এ ধরনের কাজ তো একজনের পক্ষে করা সম্ভব নয়। এ জন্য একজন স¤পাদক নিয়োজিত করব। তিনি বিষয়টি দেখবেন। তার সাথে আরো বেশ কয়েকজন থাকবেন। এর পাশাপাশি আব্বাকে যারা খুব কাছ থেকে জানতেন তাদের কথাও থাকবে এতে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন