শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

যুদ্ধের তীব্রতা ক্রমেই বৃদ্ধি পায়

ফিরে দেখা বিজয়ের মাস

হোসেন মাহমুদ : | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আজ ৫ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের সকল সীমান্তে এবং দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধের প্রচন্ডতা ক্রমেই পেতে থাকে। মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা বুকের রক্ত, আর পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ললাটে ক্রমাগত লেখা হচ্ছিল পরাজয়ের কলঙ্করেখা। তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের সেনা অধিনায়ক নিয়াজীর কাছে চারদিক থেকে শুধুই পরাজয়-বিপর্যয়ের সংবাদ আসছিল। ১৯৭১ সালের এদিনে ভারতীয় জঙ্গী বিমানবহর আক্রমণ চালায়। ঢাকার আকাশে সংঘটিত হয় ভারতীয় ও পাকিস্তানি জঙ্গী বিমানের ডগফাইট। কার্যত এদিন পূর্ব-পাকিস্তানের পাকিস্তানি বিমান শক্তি পঙ্গু হয়ে পড়ে। ৫ ডিসেম্বরের পরে পূর্ব-পাকিস্তানের আকাশে আর কোন পাকিস্তানি জঙ্গী বিমান ওড়েনি।
এদিনে পূর্ব-পাকিস্তানের গভর্নর ডা. এ.এম মালিক ভারতীয় হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা তহবিলে মুক্ত হস্তে অর্থদানের জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। ওদিকে ইসলামাবাদে এক ব্যর্থ ও নিষ্ফল চেষ্টার অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পিডিপি নেতা নুরুল আমিনকে প্রধানমন্ত্রী ও পিপিপি নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করেন। জানা যায়, এদিনে আখাউড়া, কোর্ট চাঁদপুরসহ কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকা মুক্তিবাহিনী দখল করে নেয়। সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন ফ্রন্টেও মিত্র ও মুক্তিবাহিনী ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাথে কুমিল্লা সেনানিবাসের সংযোগ তারা বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ওদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশ ছিল আলোচিত বিষয়। আগের দিন নিরাপত্তা পরিষদের মার্কিন উদ্যোগে আনীত পাক-ভারত যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাবে ভেটোর পর এদিন নিরাপত্তা পরিষদে নতুন প্রস্তাব উত্থাপন করে সোভিয়েত ইউনিয়ন। এ প্রস্তাবে বলা হয়, পূর্ব-পাকিস্তানে এমন এক রাজনৈতিক নিষ্পত্তি প্রয়োজন যার অবশ্যম্ভাবী ফল হিসেবে বর্তমান সংঘর্ষের অবসান ঘটবে। কিন্তু চীন এ প্রস্তাবে ভেটো দেয়। এদিনে চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই ভারতীয় হামলার মুখে পাকিস্তানকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর সান, নিউইয়র্ক টাইমস, অষ্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা টাইমস প্রভৃতি পত্রিকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন ভূমিকার সমালোচনা করা হয়। ১৯৭১ সালের এদিনে কুড়িগ্রাম, ফেনী, বিলোনিয়া, মতলব, কোর্ট চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, জুড়ি প্রভৃতি স্থান শত্রুমুক্ত হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন