চলনবিলে অবাধে শামুক নিধন করা হচ্ছে। এখন চলনবিলের পানি কমতে শুরু করেছে। শামুক আহরণকারীরা সকাল থেকেই শামুক আহরণে নেমে পড়ছে। শামুক ধরে বস্তাবন্দী করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। মোটা অংকে বিক্রি করা হচ্ছে। পুকুরে মৎসচাষীরা ও চুন ব্যবসায়ীরা এগুলো কিনে নিচ্ছে। এতে অচিরেই চলনবিলের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ে যেতে পারে।
শামুক চলনবিলের জলজ প্রাণীর জীবনচক্রের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। এভাবে অধিকহারে শামুক আহরণ করা হলে চলনবিলের জীববৈচিত্য নিশ্চিতরূপে নষ্ট হবে। আর শামুকের সংকট দেখা দিলে মাছেরও আকাল হবে। এমনিতেই চলনবিলের কৃষিক্ষেতে কীটনাশকের অধিক ব্যবহারের ফলে শামুক, কাঁকড়া ও ব্যাঙ উৎপাদন কমে গিয়েছে।
মৎস্য সংরক্ষণ আইনে শামুক নিধন সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু উলেখ না থাকায় মৎস্য অধিদপ্তরের এ বিষয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই বললেই চলে। জনগণও তাই অবাধে শামুক নিধন করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় চলনবিলের জীববৈচিত্য রক্ষাকল্পে শামুক নিধনরোধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমি একজন প্রৃতিপ্রেমী মানুষ হয়ে উদাত্ত আহ্বান করছি।
মোহাম্মদ অংকন
শিক্ষার্থী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ঢাকা।
মন্তব্য করুন