ওসমানী উদ্যানে নিমগাছ রোপণ করুন
ঢাকা সিটি দক্ষিণের বর্তমান মেয়রের আমলে পর পর তিনটি বৃক্ষরোপণ মৌসুম শেষ হয়ে গেল। কিন্তু অতীব আফসোসের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, সুযোগ থাকা সত্তে¡ও ওসমানী উদ্যানে একটি গাছের চারাও রোপণ করা হয়নি। অথচ প্রতি বর্ষায় ঝড়-বৃষ্টিতে কিছু গাছ গোড়া থেকে উপড়ে পড়ে আর কিছু গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদের জায়গায় নতুন করে গাছ না লাগালে উদ্যানটি একদিন বৃক্ষশূন্য হয়ে পড়বে। তবে এখনো ওসমানী উদ্যানে বৃক্ষ রোপণের একটি উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। আর নিমগাছের চারা রোপণ করা যেতে পারে। নিমগাছের চারা রোপণের নির্দিষ্ট সময়সীমা নাই। সারা বছরই এটি রোপণ করার জন্য আমাদের আছে অনুকূল আবহাওয়া। ওসমানী উদ্যানের ফাঁকা জায়গা, খালপাড়ের দু’পাশে এবং কামান বরাবর আইল্যান্ডে কয়েক শ নিমগাছের চারা রোপণের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ইউক্যালিপটাস গাছগুলো কেটে ফেলে সেখানেও নিমগাছ লাগানো যেতে পারে। কারণ এসব বিদেশি গাছ উদ্যানের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। নিমগাছের হাওয়া জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। উপরন্তু এতে মশা এবং পোকামাকড়ের উপদ্রব কমে। ফলে প্রাতঃকাল ও বৈকালিক ভ্রমণকারী এবং অবসর বিনোদনের জন্য উদ্যানে আসা লোকেরা উপকৃত হবেন। বিষয়টির প্রতি মেয়র মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
হাজী মো. আলী বশির,
৮৮/৮৯ আগাসাদেক রোড, বংশাল, ঢাকা
সত্তোর্ধ পেনশনারদের আবেদন
২০০০ সালের আগে যে সব কর্মকর্তা এবং কর্মচারী অবসরে যান, তাঁদের পেনশন নির্ধারণ করা হয় ১৯৯৮ সালের জাতীয় বেতন স্কেলে। তখন পেনশন ধার্য করা হতো আনুতোষিক ও পেনশন বাবদ মূল বেতনের ৮০%। এর ৪০% পেনশন এবং ৪০% আনুতোষিকের জন্য। যাঁরা এককালীন পেনশন গ্রহণ করেন, তাঁদের জন্য ছিল ধার্যকৃত পেনশনের ৫০% এবং বাকি ৫০% কেটে রাখা হতো। ২০০০ সালের পর সরকার যথাক্রমে ২০০৯ সালে এবং ২০১৫ সালে আরো দুটো বেতন স্কেল অনুমোদন করেন। পেনশন প্রদানের ক্ষেত্রে দুই হাজার সালের আগে ও পরে বেতন স্কেলে বিস্তর ফারাক সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায়, আমার মতো যাদের বয়স ৭০ বছরের ওপরে এবং যাদের এককালীন পেনশন গ্রহণের ফলে ৫০% পেনশনের অর্থ কেটে রাখা হয়েছে, তাদের কেটে রাখা অর্থের ওপর অবসর গ্রহণের পর থেকে বকেয়া এবং হাল পেনশন মঞ্জুুর করতে এবং সেইসঙ্গে দলীয় বিমা ও কল্যাণ তহবিল থেকে আজীবন চিকিত্সা অনুদান দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
মো. কোবাদ হোসেন,
১৮/১ সোবহানবাদ কলোনি, মিরপুর রোড, ঢাকা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন