শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জেরুজালেম নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ

সউদী যুবরাজকে ইসরাইল সফরের আমন্ত্রণ

দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি দানের প্রেক্ষিতে বিশ^জুড়ে যখন নিন্দা-বিক্ষোভ চলছে সে সময় ইসরাইলের গোয়েন্দা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটয সউদী ক্ষমতাশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ইসরাইল সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
ইসরাইলি মন্ত্রীর মুখপাত্র বৃহস্পতিবার বলেন, সউদী মালিকানাধীন আরবি ভাষী সংবাদ ওয়েবসাইট এলাফের সাথে এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন। তবে অজ্ঞাত কারণে প্রকাশিত সাক্ষাতকারে এ সফরের আহবান নেই। প্রতিনিধি আরি শালিকার বলেন, তিনি (মন্ত্রী) বলেন, বাদশাহ সালমান প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে সরকারীভাবে রিয়াদ সফরের আমন্ত্রণের আহবান জানান এবং ইসরাইলি মন্ত্রী বাদশাহর পুত্র এমবিএস বা মোহাম্মদ বিন সালমানকে ইসরাইল সফরের আমন্ত্রণ জানান।
কাটযের অফিস জানায়, আঞ্চলিক শান্তির জন্য তিনি এ আমন্ত্রণ জানান।
সউদী আরব ও ইসরাইলের মধ্যে কোনো ক‚টনৈতিক সম্পর্ক নেই। অভিন্ন শত্রæ ইরানের কারণে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক উষ্ণ হয়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে।
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরুর ক্ষেত্রে রিয়াদ এক গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী।
গতমাসে সাবেক ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াকভ নাগাল দাবি করেন যে সউদী আরব যে কোনো ধরনের ইসরাইল-ফিলিস্তিন চুক্তি মেনে নিতে আগ্রহী এবং ইরানের বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট না করা পর্যন্ত তারা ফিলিস্তিন স্বার্থের ব্যাপারে অপ্রীতিকর কিছু করা বন্ধ রেখেছে।
জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতি প্রদানের পর আরব-ইসরাইল বিরোধের কোনো সম্ভাব্য অগ্রগতি এখনো টেবিলের বাইরে।
গাজার জঙ্গি হামাসসহ বিভিন্ন ফিলিস্তিনি গ্রæপের আহূত ক্রোধ দিবসের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার ফিলিস্তিন জুড়ে বিক্ষোভকারীরা ইসরাইলি বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ২ ্জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
রামাল্লাহয় এক ফিলিস্তিনি এক ইসরাইলি পুলিশকে ছুরি নিয়ে হামলা করার পর সে গুলিতে আহত হয়। সে একটি সুইসাইড ভেস্ট পরিহিত ছিল।
পশ্চিম তীর ও গাজার বিভিন্ন স্থানে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলি সৈন্যদের লক্ষ করে পাথর ছোঁড়ে ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরাইলি পুলিশের গুলিতে ৫ জন আহত হয়েছে।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকে ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা ৬-এ পৌঁছেছে।
১৯৬৭ সালের ৬ দিনের যুদ্ধে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম অধিকার করে তার অন্তর্ভুক্ত করে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ভাবে তা স্বীকৃত হয়নি। জেরুজালেম নিয়ন্ত্রণ সমস্যাটি ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা।
পূর্ববর্তী আরো প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের মত ট্রাম্পও জেরজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দান ও সেখানে দূতাবাস স্থানান্তরের অঙ্গীকার করেন।
৬ ডিসেম্বর ট্রাম্পের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের নীতির পরিবর্তন। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী নীতি ছিল ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তি অনুযায়ী চ‚ড়ান্ত শান্তি চুক্তিতে জেরুজালেমের মর্যাদা সুস্পষ্ট করা হবে।
ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত মুসলিম বিশ^ ও পশ্চিমা মিত্রদের নিন্দার সম্মুখীন হয়েছে। এমনকি সউদী বাদশাহও এর নিন্দা করেছেন যা এক বিরল ঘটনা। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী করার অধিকার আছে।
ফিলিস্তিনিরা ঘোষণা করেছে যে যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো পক্ষপাতহীন উদ্যোক্তা নয় তাই তারা ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাখ্যান করছে।
সম্প্রতিক মাসগুলোতে অনুক‚ল নয় এমন শর্তে শান্তি চুক্তি মেনে নিতে ফিলিস্তিনের উপর রিয়াদ ও ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে চাপ বাড়ছিল। নীল নকশায় দু’রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের বিষয় রয়েছে, কিন্তু ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বা পূর্ণ সার্বভৌমত্বের বিষয় নেই।
মার্কিন সিদ্ধান্তকে ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাখ্যানের প্রেক্ষিতে ইরানের বিরুদ্ধে সউদী আরব ও অন্য আরব দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সাথে ঐক্যবদ্ধ করার ওয়াশিংটনের উদ্যোগকে জটিল করে তুলেছে।
বহু দেশই ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো অগ্রগতি ছাড়া ইসরাইলের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে অনাগ্রহী ছিল। এখন তাদের রাজি করানো আরো কঠিন হবে।
ট্রাম্প বলেছেন, ইতোমধ্যেই জেরুজালেম ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার বাস্তবতার ভিত্তিতেই তিনি জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শহরটিকে নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য বিষয় দু’পক্ষের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
শাফিউন ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৩:৩৯ এএম says : 0
ইসরায়েলের সময় শেষ হয়ে আসছে
Total Reply(0)
Abid Ali ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১০:২২ এএম says : 0
ইজরাইল হলো আমিরিকার দালাল আর আমিরিকা ইজরাঈল কে ব্যাবহার করিতেছে আর বর্তমানে সাউদি যাহা করিতেছে তাহা মুসলিমদের জন্য অপমানজনক
Total Reply(0)
Naeem Ahmed Chowdhury ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:২৯ পিএম says : 0
OIC এর সেনাবাহিনী নেই কেন? আমাদের সাধারণ মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য থাকলেই খালি হবে না, রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনী সমূহের মধ্যে ঐক্য না থাকলে কিছুই হবে না। মুসলিম দেশসমূহের প্রধান সমস্যাই হল সেনা অভ্যুত্তান।
Total Reply(0)
Eddris Ali ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:৩৩ পিএম says : 0
এখনই সময় হয়েছে আমাদের মুসলিম বিশ্বের সকল দেশ একত্র হয়ে যে কোন মুল্যে জেরুজালেম কে রক্ষা করতে হবে। যদি আমরা তা করতে না পারি তবে আমরা আজ ইহুদীদের নিকট চরমভাবে অপমানিত,নির্যাতিত এবং পরাজিত।
Total Reply(0)
Ayub Khan ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:৩৫ পিএম says : 0
Bisso muslim ek hou Jerujalem mukti pak.
Total Reply(0)
Johirul Islam ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:৩৬ পিএম says : 0
should be remove the name of israel from the world map
Total Reply(0)
Faysal Khan ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:৪১ পিএম says : 0
Allah tome tader rokha kro amin
Total Reply(0)
Md,Afzal Hussain ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:৫৩ পিএম says : 0
পৃথিবীতে সৃষ্ট মানব জাতির পার্থিব শান্তিপূর্ণ আনন্দময় জীবন যাপন ও মৃত্যুর পর বিচার পরবর্তী অনন্ত জীবন লাভের নিমিত্তে সর্বশেষে প্রেরিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসারীরা মানব রচিত বিধি বিধানের শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও ঐ ভিত্তিক জীবন যাপনে কঠিন সংগ্রামে অবতীর্ণ । মুসলিম শাসকরা দ্বীনের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ না হয়ে ক্ষমতার লড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে । অমুসলিমদের সঙ্গে মানবিকআচরণ করা ছাড়া বন্ধু্ত্ব করারও তাদের আদর্শ অনুসরণের বিধান রহিত করা হয়েছে । মুশরিকরা অপবিত্র মহান সম্মানীত কুরআনে ঘোষিত ও সর্বদা পঠিত হচ্ছে । ইহুদী খৃষ্টান আদর্শ পালন করা থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে মুসলমানরা আদিষ্ট আর এসব বিধান মুসলিম বিশ্বে পঠিত হয় । কিন্তু তার কোন প্রয়োগ নাই । মানব জাতির পার্থিব জীবন যাপনের সর্বশেষ পথ প্রদর্শক নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট পূর্বের সকল নবী আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট প্রেরিত দ্বীনের পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ দ্বীন ইসলাম প্রচারকের জন্মের মাস শেষ হওয়ার পথে কিন্তু মুসলিম বিশ্বে এই মহান মাসে দ্বীনের প্রচার মুসলিম বিশ্বে প্রায় অনুপস্থিত । ২০০ কোটি মুসলিম উম্মার সদস্যকে দ্বীনে প্রতিষ্ঠিত করার শিক্ষা প্রশিক্ষণ দেয়া ফরয থাকা সত্বেও অমুসলিমদের শিক্ষা প্রশিক্ষণের প্রভাবে মুসলিম দেশে দ্বীনি শিক্ষা স্বয়ংক্রীয়ও অঘোষিতভাবে মুসলিম বিশ্বে প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আর আমরা পার্থিব শাস্তি বিভিন্ন ভাবে উপভোগ করছি ।
Total Reply(0)
Sheik Afjal ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৩:৫৭ পিএম says : 0
ইয়া আল্লাহ্‌ তুমি তু অনেক যালিমদের পৃথিবিতে ধ্বংস করে দিয়েছ এখন তুমি ইজরাইলকে ধ্বংস করে দাও।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন