শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চি ঠি প ত্র

| প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শিশু শিক্ষায় মুক্ত পরিবেশ চাই

প্রথম পৃথিবীর আলো দর্শন থেকে শিশুর শিক্ষা শুরু হয়, মায়ের মুখের মিষ্টি-মধুর সম্বোধন তাকে উদ্দীপ্ত করে। মাতৃভাষার মাধ্যমে শিশুদের মনের আকাঙ্ক্ষাগুলো ধীরে ধীরে বিকশিত হতে থাকে। প্রথম আলোর স্পর্শে বিকশিত পদ্মের মতো বিস্তার লাভ করে। সমগ্র জীবনের শক্ত ভিত্তি স্থাপনে খোলামেলা পরিবেশে মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন প্রয়োজন, তেমনি শিশুর শারীরিক দক্ষতা বিকাশে বিদ্যালয় আঙিনায় দরকার সুপ্রশস্থ খেলার মাঠ। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে খেলার মাঠ থাকলেও মাঠের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ এবং সীমানা প্রাচীর না থাকায় মফস্বল অঞ্চলে স্কুল মাঠগুলো বাচ্চাদের খেলার বদলে সারা বছর গোচারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। কিন্ডারগার্ডেন এবং প্রি-ক্যাডেট স্কুলগুলোতে নেই কোনো খেলার মাঠ। প্রকৃতির সজীব-সবুজ তৃণতরু এবং মুক্ত প্রশান্ত আলো-হাওয়ায় সৃষ্টির কথাকাকলি শুনে শিশুর মনে সঞ্চারিত হবে আনন্দ ও বিস্ময়, জেগে উঠবে নানাবিধ প্রতিভার সম্ভাবনা, উদ্বুদ্ধ করবে জগৎ ও জীবনকে জানতে। অথচ কোমলমতি মুক্তমনের বাচ্ছাদের প্রকৃতি থেকে আলাদা করে একটি বিল্ডিং কিংবা লম্বা একটি ঘরে জেলখানার কয়েদির মতো আবদ্ধ রেখে শিখন
শেখানোর কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। খেলাধুলা শিক্ষার অংশ- এ কথা মুখে বলা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন, বছরে একবার কোনো বিনোদন কেন্দ্র বা পিকনিক স্পটে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুদের। কোনো নিয়মনীতির তুয়াক্কা না করে শিশুদের খেলার মাঠ বা সহপাঠ্যক্রমিক শিক্ষার কোনো সুব্যবস্থা না করেই খেয়ালখুশিমতো যেখানে-সেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে কিন্ডারগার্ডেন এবং প্রি-ক্যাডেট স্কুল; যা শিশুর মধ্যে লুকিয়ে থাকা শারীরিক ক্রিয়াকলাপের প্রতিভাকে গুপ্তঘাতকের মতো ধ্বংস করছে। শারীরিক সুস্থতা, মানসিক বিকাশ এবং চারিত্রিক গুণাবলি অর্জনে খেলাধুলার প্রয়োজন। তাই সরকারি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো কিন্ডারগার্ডেন এবং প্রি-ক্যাডেট স্কুলে যাতে খেলার মাঠ হয়, এ ব্যাপারে সরকারের নীতিমালা এবং কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করছি।
আবুল কালাম আজাদ
শ্রীপুর, গাজীপুর।

নিয়োগের নামে ধোঁকাবাজি বন্ধ হোক
আমাদের দেশে জনসংখ্যার তুলনায় কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। একটি সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলেই চাকরিপ্রার্থীর অভাব হয় না। বাবা-মা আশায় বুক বেঁধে বসে থাকেন সন্তান টাকা-পয়সা দিয়ে সংসারে সাহায্য-সহযোগিতা করবে। এই বেকার যুবকরা বুকভরে আশা নিয়ে বসে থাকে। প্রতি শুক্রবার সাপ্তাহিক চাকরির পত্রিকা বের হয়। সেখানে সরকারি-বেসরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া থাকে। অনেক ক্ষেত্রে চাকরির পত্রিকায় কিছু ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থাকে; অনেকেই তা বুঝতে পারে না। এসব ভুয়া নিয়োগ কর্তৃপক্ষ দরখাস্ত পাঠাতে বলে। অনেকেই দরখাস্ত পাঠায়। কিন্তু দরখাস্ত পাঠানো, সেখানে পরীক্ষা, ভাইভা সবই হয়। এরপর তারা জানায়, নিয়োগ দেওয়ার সময় কিছু জামানত লাগবে। অনেকেই জামানতের টাকা দেয়। পরে দেখা যায়, জামানতের টাকা নিয়ে অফিসের লোকজন উধাও। তাদের আর খোঁজে পাওয়া যায় না। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, সেসব ভুয়া প্রতিষ্ঠানে চাকরিপ্রত্যাশীরা গেলে তাদের কাছ থেকে মোবাইল, টাকা-পয়সা রেখে দেয়। এই প্রতারকদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করার আবেদন জানাচ্ছি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে।
মাহফুজুর রহমান খান
চিনিতোলা, মেলান্দহ, জামালপুর

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন