স্বামী-স্ত্রী দুইজন দুই ধর্মের অনুসারী। বিয়ের পর স্বামী স্ত্রীর ধর্মগ্রহণ করেন। কিন্তু স্বামীর পরিবার বিয়ে মেনে নেয়নি। এর মধ্যে তাদের কোলজুড়ে আসে একটি সন্তান যার নাম রাখা হয় মৌসুম গাইন নীল। নিজ পরিবারকে দেখানোর কথা বলে শিশুটিকে স্বামী নিয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন দেখা পায়নি স্ত্রী। এরপর বিভিন্ন স্থানে ধর্ণা দিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন শিশুটির মা ফরিদা ইয়াসমিন। গতকাল বুধবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ আগামী ৭ জানুয়ারি শিশুটিকে আদালতে হাজির করতে আদেশ দেন। এই আদেশ পালন করতে হবে শিশুটির বাবা ও দাদিকে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।
আদেশের পর নীলের মা ফরিদা ইয়াসমিন মনি বলেন, আমার সন্তানের নাম মৌসুম গাইন নীল। তার বাবা নিউটন গাইন ওরফে লিটন হোসেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। বিয়ের পর সে ধর্মান্তরিত হয়। কিন্তু তার পরিবার আমাদের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। বাচ্চা হওয়ার পর প্রায়ই ওর বাবা নীলকে দাদির বাড়ি নিয়ে যেত। একপর্যায়ে নেয়ার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও বাচ্চাকে আর ফেরত দেয়নি। এমনকি স্বামীও আমার সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি। এ ঘটনার সুরাহা করতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার কাছে দারস্থ হয়ে কোনো প্রতিকার পাইনি। পরে আমি হাইকোর্ট রিট করেছি। আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, খুলনার পুলিশ কমিশনার, সোনাডাঙ্গা থানার ওসি, দাকোপ থানার ওসি, শিশুর চাচা রিপন, রিপনের মা সুষমা গাইনকে বিবাদী করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন