পাবনা জেলার ঈশ্বরদী স্টেশন ও নাটোর জেলার আজিমনগর স্টেশনের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ ঈশ্বরদী বাইপাস রেলস্টেশনটি বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত। এ স্টেশনের মাধ্যমে সরকারের প্রতি বছর অনেক রাজস্ব আয় হলেও ট্রেনের যাত্রীসেবার মান বাড়েনি। বর্তমানে জোড়াতালি দিয়ে চলছে রেলের কার্যক্রম। পাবনা, নাটোর, কুষ্টিয়া, লালপুর, ভেড়ামারা, ঈশ্বরদীসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ ঈশ্বরদী বাইপাস রেলওয়ে স্টেশন হয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে। স্টেশনে পর্যাপ্ত যাত্রী ছাউনি, বিশ্রামাগার, টয়লেট ও নিরাপত্তার অভাবে প্রতিদিন শত শত ট্রেনযাত্রী মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। পর্যাপ্ত যাত্রী ছাউনি না থাকায় বর্ষাকালে যাত্রীদের বৃষ্টির পানিতে ভিজে ট্রেনে উঠতে হয়। জনবল সংকটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রেলের স্টাফদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় এক হাজার ট্রেনযাত্রী এ স্টেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে থাকে।
ট্রেনের টিকিট বিক্রি করে এই স্টেশনের মাধ্যমে সরকারের প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা আয় হয়। বর্তমানে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি যাত্রীসংখ্যাও অনেক বেড়েছে। স্টেশনে উন্নয়নের ছোঁয়া না থাকায় সমস্যায় জর্জরিত এ স্টেশনের কারণে যাত্রীদের নানাবিধ সমস্যা লাঘবে আধুনিকায়নের জোর দাবি ভুক্তভোগী মানুষের। স্টেশনটিকে যত দ্রæত সম্ভব ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের প্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত আধুনিকায়ন এবং সংকট নিরসনের লক্ষ্যে তারা রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
এসএম সাইদুর রহমান উলু,
বিমানবন্দর সড়ক, ঈশ্বরদী, পাবনা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন