স্টাফ রিপোর্টার : চলতি বছরে ৮১৮ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১৭ ঃ আসক’র পর্যবেক্ষণ’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয় ২০১৭ সালে ধর্ষণের ঘটনার সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি এর ধরনে নিষ্ঠুরতা এবং ভয়াবহতা লক্ষ্য করা গেছে। এ ধরনের ঘটনার সাথে ধনবান, ক্ষমতাশালী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, পরিবহন শ্রমিকদের যুক্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। শিশু কিংবা বৃদ্ধ কেউই রেহাই পায়নি এ পাশবিকতার হাত থেকে। এ বছর সারাদেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮১৮ নারী।
উল্লেখ্য গত ২০১৬ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬৫৯। এ বছর ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৪৭ নারী এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ১১ নারী। মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় বিচার না পেয়ে গত ২৯ এপ্রিল গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন হযরত আলী ও তাঁর মেয়ে আয়েশা আক্তার। ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে পরিবহন শ্রমিকরা চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে আইডিয়াল ল› কলেজের শিক্ষার্থী রূপা হককে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় তাঁকে। ১৭ জুলাই এক শিক্ষার্থীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহŸায়ক তুফান সরকার। এরপর ২৮ জুলাই ক্যাডার বাহিনী দিয়ে তুলে নিয়ে ঐ শিক্ষার্থী ও তার মাকে বেধড়ক পেটানোর পর চুল কেটে দেয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে পুলিশের এসআইসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন