শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

জাতির পিতার স্বদেশ ফেরা : ফিরে দেখা সেই দিনটি

অধ্যাপক ড. এম এ মাননান | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বছর-তারিখ মনে আছে, দিনটির নাম স্পষ্ট মনে নেই, সম্ভবত সোমবার। পৌষের শীতের টনটনে পরশ। সূর্য তখন মধ্য গগনে। বলাকা সিনেমা হলের দক্ষিণ পাশের একটি রেস্তোরাঁয় তিন বন্ধু মিলে দুপুরের আহার সেরে ছুটলাম রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দিকে। দ্রুত যেতে হবে, নইলে সামনে জায়গা পাওয়া যাবে না। ভাগ্য ভালো, রেসকোর্সের পশ্চিম-উত্তর দিকের রেসের ঘোড়া রাখার জিমখানা পার হয়ে একটু পূর্ব দিকে যেতেই বাঁশের ঘেরের কিনারেই জায়গা পেয়ে গেলাম। বসে গেলাম সবুজ ঘাসের বিছানায়। ডানে-বাঁয়ে অগণিত লোকজন আসছে, বসছে। যেন লাখো মানুষের ঢল নেমেছে রেসকোর্স ময়দানে। এতো মানুষ অথচ তেমন কোন হৈ-হল্লা নেই। সবার চেহারায় এক রকম উদ্বেগ। পাশের একজন মধ্য-বয়সী খোঁচাখোঁচা দাড়িবিশিষ্ট শান্তশিষ্ট মানুষ জিজ্ঞেস করলেন, বঙ্গবন্ধু আসবেন তো? কোন ঝামেলা হবে না তো? জানেন কিছু, ভাই? তাকে কী জবাব দিবো, আমিই তো জানি না কিছু। উৎকণ্ঠা তো আমার মধ্যেও।
যে দিনের কথা বলছি সে দিনটি ছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধু পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বিজয়দৃপ্ত পা রাখবেন আজ লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত পরাজিত হানাদার বাহিনীর ছেড়ে যাওয়া মুক্ত-স্বাধীন বাংলাদেশে, নিজের প্রিয় মাতৃভূমিতে। রেডিওর খবরে জেনেছি, তার সঙ্গে থাকবেন ব্যারিস্টার ড. কামাল হোসেন যিনি নিজেও সে দেশের কারাগারে ছিলেন বন্দি। বিবিসির খবর থেকে জেনেছি, ৮ জানুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তির পর প্রথমে তিনি লন্ডন যাবেন এবং পরে দিল্লী হয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে পা রাখবেন।
১৯৭১ এর ২৫ মার্চ গভীর রাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পরপরই পাকিস্তানি শাসকরা তাঁকে ধানমন্ডির বাড়ি থেকে বন্দি করে পাকিস্তানে নিয়ে জেনারেল নিয়াজীর এলাকায় মিয়ানওয়ালী কারাগারে নয় মাস আটকে রাখে। সেই কারাগারে তাঁর উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। জেলখানার কুঠুরির সামনে তাকে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়ার জন্য সামরিক জান্তা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে পরাজিত শাসকগোষ্ঠী কবরও খুঁড়ে রেখেছিল। বিশ্ব জনমতের চাপে তাকে ২৯০ দিনের বন্দি জীবন থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল তখনকার পাকিস্তানি শাসকরা। সারা জগতের বিস্ময় অদম্য এই নেতার আগে থেকে দেয়া নির্দেশের ভিত্তিতেই সারা বাংলার মানুষ দেশকে হানাদারমুক্ত করার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধে।
পাকিস্তানের হরিপুর জেলখানা থেকে মুক্তি পাওয়া ব্যারিস্টার ড. কামাল হোসেনসহ লন্ডনে নেমেই তিনি প্রথমে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের সাথে দেখা করেন, ইনি সেই ব্যক্তি যিনি মহা প্রতাপশালী ব্রিটেনের সরকার-প্রধান হয়েও বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে তাঁর অফিসের বাইরে এসে নিজ হাতে গাড়ির দরজা খুলে দাঁড়িয়ে থেকে বঙ্গবন্ধুকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। লন্ডনের বিখ্যাত ক্লারিজেস হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে কান্নাভেজা কণ্ঠে বর্ণনা দেন কীভাবে পাকিস্তানি শাসকরা তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য ঘৃণ্য চক্রান্ত করেছিল। তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে তারা তাঁকে বাঁচতে দেবে না। কিন্তু দীর্ঘ ১৬ বছরের বেশি পরাধীন বাংলার কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে থাকা ভয়লেশহীন বাংলাদেশের মুক্তির অগ্রদূত তাতে একটুও ভীত হননি। মনেপ্রাণে তিনি চেয়েছিলেন বাংলাদেশ মুক্ত হোক, এদেশের নির্যাতিত মানুষগুলো শান্তিতে থাকুক। এরপর তিনি দিল্লিতে যান এবং দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে জনতার উদ্দেশে এক মোহনীয় ভাষণ দেন। পাশে ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী, যিনি মুক্তিযুদ্ধকালে এক কোটি বাংলাদেশিকে শুধু আশ্রয়ই দেননি, যুদ্ধক্ষেত্রে মুক্তিবাহিনীকে ভারতীয় সেনাবাহিনী দিয়ে সাহায্য করেছেন এবং সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য তৎপরতা চালিয়েছেন। পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য তিনিই ৬৭ দেশের সরকার প্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানকে চিঠি দিয়েছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও পাঁচটি ইউরোপীয় দেশ সফর করে বিশ্ব জনমত বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের পক্ষে এনেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতই ছিল বাংলাদেশের একমাত্র অকৃত্রিম বন্ধু। এ বন্ধুত্বের পেছনে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছেন সমসাময়িক বিশ্বের লৌহমানবী মিসেস ইন্ধিরা গান্ধী।
ঢাকা কুর্মিটোলা বিমান বন্দরে নেমে স্বাধীনতার ঘোষক ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখলেন পাগলপারা দেশবাসী বন্দর চত্বরে উপচে পড়েছে। তাঁর চোখের পানি কপোল বেয়ে ঝরছে আর তিনি প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদকে সাথে নিয়ে উদ্বেলিত হৃদয়ে হাত নেড়ে নেড়ে বিশাল জনতাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর লাল-নীল রঙের উদাম ট্রাকে চড়ে পেছনে আর পাশে লাখো জনতার ভেতর দিয়ে বিমান বন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দানে পৌঁছলেন যেখানে কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলো লাখো মানুষ, মুখে গগনবিদারী শ্লোগান ‘জয় বাংলা’, সে-ই আবেগমাখা শ্লোগান যা বুকে ধারণ করে দীর্ঘ নয় মাস নিরস্ত্র বাঙালি অসম যুদ্ধে লিপ্ত ছিল বিশ্বের অন্যতম দক্ষ চৌকস সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে অভিষিক্ত বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরা বাঙালি জাতির জন্য ছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ আর প্রেরণাদায়ক। দেশ তখন পুরোপুরি বিধ্বস্ত। রাস্তাঘাট, রেলপথ, বন্দর, হাট-বাজার, পুল-কালভার্ট ইত্যাদি প্রায় সবকিছু হানাদার বাহিনী পরাজয়ের শেষ মুহুর্তে ধ্বংস করে দিয়েছে। পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করে তারা অর্থনীতি, শিল্প-কারখানা, কৃষি, বাণিজ্যকেন্দ্র, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামো নির্বিচারে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বাণিজ্যিক ব্যংকগুলোতে রক্ষিত কারেন্সি নোট পুড়িয়ে দিয়ে মুদ্রাবাজার অচল করে দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা সহ কোটি খানেক বাঙালি তাদের দুঃসময়ের আশ্রয়স্থল ভারত থেকে নিজ ভূমে ফেরত আসা শুরু করেছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপণ্যের দাম হঠাৎ করেই বেড়ে আকাশচুম্বী হয়েছে। অন্য অনেক দেশের মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে আকাল। এমনি একটি দুঃসময়ে সেই মহামানব বন্দিদশা থেকে ফিরে এলেন নিজ ভূমিতে, যার জন্য অধীর আগ্রহে থেকেছেন বাংলাদেশের যুদ্ধক্লান্ত নিপীড়িত সর্বহারা মানুষগুলো।
রেসকোর্স ময়দানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। চারদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ। সেই মানুষের ভীড়ে আমিও ছিলাম একজন, ঠিক মঞ্চের সামনে যেখানে বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। সাথে ছিলো জিন্নাহ হলের (পরবর্তীতে মাস্টারদা সূর্যসেন হল) অনার্স ফাইনাল ইয়ারের তিন জন সহপাঠি। অধীর আগ্রহে আমরা অপেক্ষা করছিলাম কখন সেই জীবন্ত ইতিহাসের মহানায়ক আসবেন আমাদের সামনে, কখন দেখতে পাব তাঁকে, কখন শুনবো তাঁর অমিয় ভাষণ ঠিক সেই দিনের (৭ মার্চ ১৯৭১) মতো যেদিন তিনি একই জায়গার মঞ্চেই কাব্যিক অলিখিত ভাষণটি দিয়েছিলেন (যা ২০১৭ সালে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃত)। ভাবনা তখন আমার যেন পাখা মেলে ভাসছে: রাজনীতির কবি কি ৭ মার্চের মতই অলিখিত ভাষণ দেবেন, তিনি আজ স্বাধীন বাংলাদেশে কি আগের মতই অগ্নিঝরা বক্তব্য রাখবেন, তাঁর সেই বজ্রকণ্ঠ কি আজো আগের মতই তেজোদীপ্ত আছে, আজো কি তাঁর কণ্ঠ থেকে ভেসে আসবে আগুনের ফুলকি, তাঁর কাছ থেকে কি আমরা আগের মতই কাব্যিক গদ্য-ভাষণের অনুরণন শুনবো, তিনি কি আজ লক্ষ লক্ষ সমাগতদের জরাজীর্ণ দেশটির পুনর্গঠনের জন্য আশা জাগানিয়া নির্দেশনা দেবেন, তাঁর আজকের ভাষণের মধ্য দিয়েই কি বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের আরেকটি আলোকিত অধ্যায় রচিত হবে? শুধুই ভাবনা, রাজনীতির মুকুটহীন সম্রাট আজ আসলে কী বলবেন! বিজয়ের মাত্র ২৫ দিন পর আমরা কি প্রবেশ করতে যাচ্ছি নবগঠিত রাষ্ট্রটির এক আলোকিত অধ্যায়ে? চতুর্দিকে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগানে মুখরিত ময়দানে আমার ভাবনাগুলোও মনে হয় যেন গগন জুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। এ ভাবনার মধ্যেই বিকেলের পড়ন্ত বেলায় হঠাৎ কানে এলো গগন-বিদারী হর্ষোল্লাস, যা গড়িয়ে পড়ছে সারা ময়দানের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত।
তিনি এলেন বীরের বেশে, মঞ্চে উঠলেন, ভেজাকণ্ঠে সবাইকে অভিবাদন জানালেন। চোখ মুছতে মুছতে অশ্রুবিগলিত কণ্ঠে অনেক কথার মাঝে স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠনের রূপরেখা ব্যাখ্যার পর সবাইকে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগের আহবান জানালেন। সেই আগের মতই দৃঢ় কণ্ঠ। ভাষণ সংক্ষিপ্ত কিন্তু সে ভাষণে প্রষ্ফূটিত রাষ্ট্রনায়কোচিত দূরদৃষ্টি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা স্বাধীনতার বিষয়টাকে মেনে নিতে পারেনি তারা বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসাটাকে সহজভাবে নেয়নি। তারা এবং আরও কিছু আপন-স্বার্থে অন্ধ লোকেরা স্বীকার করতে চাইলেন না যে, বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ এর নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন সত্য কিন্তু নির্বাচন-পরবর্তীতে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সারা বাংলার জাতীয় নেতা আর স্বাধীনতার পর জাতির পিতা। জাতির পিতা হিসেবে তিনি কোন দলের নন, তিনি এদেশের আপামর জণগণের নেতা। বঙ্গবন্ধুর এতো অবদানের কোন মূল্যায়ন না করেই স্বাধীনতা-বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর ভাবমর্যাদাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে, ইতিহাস থেকে তার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে, জাতির পিতার আসন থেকে তাঁকে নামানোর ঘৃণ্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরের মাথাতেই তাঁকে সপরিবার নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তাদের সাথে হাত মিলিয়েছিল ঘরের শত্রæ বিভীষণরা। তবে তারা ভুলে গিয়েছিল, হিমালয়কে কাটাছেঁড়া করা যায়, তাকে উপড়ে ফেলা যায় না। বাংলার হিমালয় ছিলেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতা-বিরোধীদের হাতে বুলেটবিদ্ধ হয়েছেন তিনি কিন্তু নিঃশেষ হয়ে যাননি। তিনি আমাদের মাঝে অমর হয়ে আছেন। তা-ই থাকবেন চিরকাল। অমর থাকবেন তিনি বাংলার মাটিতে। তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশকেও তারা রুখতে পারবে না। অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ তাঁরই কন্যার হাতে এগিয়েছে বহুদূর, এগিয়ে যাবে আরও অনেক দূর, আপন মহিমায় দাঁড়াবে উন্নত দেশের কাঁতারে ২৪ বছর পরে বা তারও আগে। দরকার শুধু স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির প্রশাসনের ধারাবাহিক অব্যাহত চলার গতি।
জীবন্ত কিংবদন্তি জাতির পিতা সকল বাঙালির মুক্তির দিশারী স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ঘৃণ্য পশুতুল্য বিভীষণদের চক্রান্তে অকালে শহীদ হয়েও আমাদের মাঝে আছেন অমর হয়ে। তিনি থাকবেন সবার হৃদয়ে চিরকাল ধরে; শুধু তাদের হৃদয়ে নয় যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসতে পারেনি, পারেনি এদেশটিকে নিজের করে নিতে, যাদের হৃদয়ে এখনও ভাসে পাকিস্তানের পতাকা আর ছন্দিত হয় ‘পাক সার জমিন ছাদোবাদ’। বাংলার মানুষ কখনো ভুলবে না এ মহামানবকে যত দিন সূর্য উঠবে পূর্বদিকে, লোনা জলরাশিতে সিক্ত থাকবে সাগর-মহাসাগর, নীল গগনের বিস্তৃত জমিনে জ্বলজ্বল করতে থাকবে লক্ষ তারা, থাকবে মৌসুমী হাওয়ায় ধবল-কৃষ্ণ মেঘের আনাগোনা, ঝরো ঝরো বৃষ্টিতে নদীতে নাচবে জল-তরঙ্গ। তিনি থাকবেন কবির কবিতায়, শিল্পীর ক্যানভাসে, গায়কের কণ্ঠে, লেখকের লেখনীতে, স্থপতির ভাস্কর্যে, ভাটিয়ালির সুরে, মাঝির বৈঠার বাজনায় আর ইতিহাসের ছত্রে ছত্রে। ব্যক্তিগতভাবে মাগফিরাত কামনা করছি এই মহামানবের বিদেহী আত্মার যাঁর অকৃত্রিম আত্মত্যাগ ও বিশাল নেতৃত্ব আমাকে এনে দিয়েছে স্বাধীন বাংলায় আজকের অবস্থানে।
লেখক: উপাচার্য, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন