শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রাস্তা মেরামতে পরিকল্পনা চাই
এবার বর্ষাকালের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সারাদেশে রাস্তাঘাটের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। মানুষের কষ্টগুলো ছিল সহ্যের অনেক বাইরে। আমার এলাকা গাজীপুরের শ্রীপুরে অনেক রাস্তার অবস্থা এমন ছিল, যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। কোনো মানুষ হেঁটে যাওয়ার মতোও অবস্থায় ছিল না অনেক রাস্তা। কেউ অসুস্থ হলে তাদের কোলে করে খারাপ রাস্তা পার করে তারপর গাড়িতে চড়ানো হতো। বৃষ্টিও সীমাবদ্ধতা তৈরি করে দিয়েছিল অনেকটুকু। এখন শুকনো মৌসুম শুরু হয়েছে। আশার কথা, সারা বাংলাদেশেই রাস্তার উন্নয়ন কাজ শুরু হচ্ছে। দেখতে ভালো লাগলেও অনিশ্চয়তা মনে ভিড় করে। রডের পরিবর্তে বাঁশ দিয়ে রাস্তা তৈরি, মাটির ওপর সরাসরি কার্পেটিংয়ের নজিরও রয়েছে! রাস্তার এই উন্নয়নে সরকার বরাদ্দ করেছে। যেহেতু দুর্নীতির একটা বদনাম আছে, তাই স্বচ্ছ থাকা প্রয়োজন। এ জন্য সরকার তদারকি টিম গঠন করতে পারে এবং রাস্তার জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট ও প্রস্তাবিত ব্যয়ের পরিমাণ প্রতিটি রাস্তার শুরুতে লিখে দিতে পারে। এতে করে দুর্নীতি কমে যেতে পারে অনেকাংশে। এর সঙ্গে সরকার কর্তৃক একটি রাস্তা কী ধরনের মেরামত হবে, তার পরিকল্পনাও দিয়ে দিতে পারে। আশা করি, এ বিষয়গুলো নিয়ে সরকার ও সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
সাঈদ চৌধুরী, গাজীপুর


মহাখালী বাস টার্মিনাল স্থানান্তর
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা মহাখালীর বাস টার্মিনালটি যানজট ও জনদুর্ভোগের কারণে বর্তমান অবস্থান থেকে অন্যত্র সরানো হোক। শুধু রোজা ও কোরবানির ঈদের আগে-পরে নয়, প্রতিদিন দিন-রাত টার্মিনালের ভেতরে নয়, রাস্তার ওপর শত শত বাস যত্রতত্রভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। রাস্তাকে তারা বাসের গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহার করছে, দেখার কেউ নেই। এ ক্ষেত্রে পুলিশের অবহেলা সত্যিই দুঃখজনক। নগরীর ব্যস্ততম রাস্তার ওপর অবস্থিত মহাখালীর বাসস্ট্যান্ডটি একেবারে বেমানান। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ওপর টার্মিনালটি যানবাহন, যাত্রী, পথচারী ও এলাকাবাসীকে দীর্ঘদিন ভীষণ কষ্ট ও দুর্ভোগ দিয়ে আসছে। বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী, ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা

পার্কিং স্থান নির্ধারণ করুন
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সড়ক-মহাসড়কে যত্রতত্র গাড়ি রাস্তার ওপরে পার্কিং করে। এতে জনসাধারণ নিত্যদিনের দুর্ভোগের মুখোমুখি হচ্ছে। সমীকরণে দেখা যায়, সড়কের প্রায় এক-তৃতীয়াংশজুড়ে থাকে গাড়ি পার্কিং। রাস্তায় যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে পড়ে থাকতে হয় স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, পথচারী ও অফিসগামী মানুষকে। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং যেন দিন দিন বিষফোঁড়ায় রূপান্তরিত হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই আমরা। জনগণের এই দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সর্বাজ্ঞে নাগরিক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে এবং প্রতিটি নতুন ভবন করার আগে নির্দিষ্ট পরিমাণ পার্কিংয়ের জায়গা করতে হবে। সড়ক-মহাসড়কের পাশে যাতে কোনো ধরনের গাড়ি পার্কিং না করে সে ব্যাপারে সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নজরদারি দিতে হবে। নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করলেই নাগরিক বিড়ম্বনা সৃষ্ট জ্যাম দূর হবে এবং যত্রতত্র গাড়িং পার্কিং বন্ধ হবে।
আলতাফ হোসেন হৃদয় খান,
অক্সিজেন, চট্টগ্রাম

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন