শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ান
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করতে সময় লেগেছে প্রায় সাড়ে ৮ বছর, যা শেষ হওয়ার কথা ছিল পাঁচ বছরে। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে আমার যে বন্ধু বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনকি কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি হয়েছিল, তারা যথাসময়ের মধ্যে চাকরির নিয়োগ প্রস্তুতি শেষ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করেছে। অনেকে আবার পদোন্নতিও পেয়েছে! আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালেয়র শিক্ষার্থী তো বটেই কিছু কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও সেশনজটে অভিশপ্ত।
তাই আজ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছরে উন্নীত করা হোক। এ দাবি আমার মতো সারাদেশের লাখো চাকরিপ্রত্যাশী তরুণের। এটি অযৌক্তিক দাবি নয়। কারণ সেশনজট ছাড়াও দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে চাকরির পরীক্ষা পুরোপুরি অসামঞ্জস্যপূর্ণ! তাই চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেই দুই-তিন বছর চলে যায়।
আমরা যারা ২৭-২৮ বছরে স্নাতকোত্তর শেষ করছি, তারা তো চাকরির পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আগেই সময়সীমা পার করে ফেলছে। তার ওপর কোটা পদ্ধতি, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিলম্বসহ নানা রকম অনিয়মের কারণে যথাসময়ে চাকরিতে প্রবেশ করা সম্ভব হয় না। এমতাবস্থায় সব চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিকল্প নেই।
নিহারীকা চৌধুরী
শিক্ষার্থী, নোয়াখালী সরকারি কলেজ।


ব্যস্ততম সড়কে যাত্রী চলাচলে ব্যবস্থা চাই
মহানগরীর ব্যস্ত মানুষ দ্রæত রাস্তা পার হতে চায়। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, জিইসি মোড়, ২নং গেট (ষোলশহর), ১নং গেট (মুরাদপুর) এবং এ জাতীয় মোড়গুলোতে খুব বেশি গাড়ি চলাচল করে। এজন্য অনেকে সময় বাঁচাতে গিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কোনো রকমে এমনকি চলন্ত গাড়ির ফাঁকফোকর দিয়ে রাস্তা পার হন। এতে থাকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। কিন্তু ওভারপাস-আন্ডারপাস থাকলে জনতা সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা না করে কিংবা ঝুঁকি না নিয়ে অনায়াসে-নিশ্চিন্তে রাস্তা পার হতে পারতেন। সিটি করপোরেশন অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। ভেবে আশ্চর্য হতে হয়, এ গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে এখনও ওভারপাস-আন্ডারপাস নির্মিত হয়নি। তাই সময় ও জীবন বাঁচাতে তথা জনকল্যাণার্থে এ মোড়গুলোতে শিগগির ওভারপাস-আন্ডারপাস নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মেয়র মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রুমী ভূঁইয়া ও হেলাল
গোলাবাড়িয়া, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম।


সড়ক প্রশস্ত করুন
দেশের দক্ষিণের জেলা শহর পিরোজপুর। সময়ের পরিবর্তনে এই শহরে বেড়েছে যানবাহন সংখ্যা, বেড়েছে জনসংখ্যা। সব ধরনের যানবাহনই এই শহরের সদর রাস্তা হয়ে চলাচল করে; যেমনথ জিপ, ট্যাক্সি, অটো, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, ট্রাক ইত্যাদি। যানবাহন আর জনসংখ্যা এত বেড়েছে সে তুলনায় সদর রাস্তার প্রশস্ততা না বাড়ায় আর বিরামহীনভাবে যানবাহন চলাচলের কারণে জনসাধারণ যে রাস্তার পাশ দিয়ে ঁেহটে চলাচল করবে, সেই জায়গাটুকুও খুঁজে পায় না। এতে ঘটছে দুর্ঘটনা। সদর রাস্তা দিয়ে সারাক্ষণ চলছে নানা ধরনের যানবাহন। এ অবস্থায় রাস্তার দুই পাশে ফুটপাত থাকা খুবই জরুরি। এ অবস্থায় প্রত্যাশা করব, যেহেতু যানবাহন ও জনসংখ্যা বেড়েছে এসব ভাবনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এখনই যে ভাবতে হবে। কর্তৃপক্ষ পিরোজপুরের সদর রাস্তার প্রশস্ততা বাড়াবে ও ফুটপাত তৈরির উদ্যোগ নেবে বলে আশা রাখি।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন