যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?
দেশের বিভিন্ন যানবাহনে যাত্রীদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। সড়কপথ, রেলপথ এমনকি জলপথেও এর প্রমাণ মেলে। সড়কপথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামের মধ্যে যাত্রীরা আটকে থাকে। ভাড়া নিয়েও যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। রেলপথে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী ট্রেনে ওঠায় যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। জলপথে তো আরও সমস্যা। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহনে তাদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ে। তাই যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
মকবুল হামিদ, চাঁদপুর সদর
সবজি উৎপাদনে কৃষক লাভবান হোক
দেশের মানুষের খাদ্যের জোগান দিতে কৃষকরা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে। তারা নিজের টাকা বিনিয়োগ করে ফসল ফলায়। বিশেষ করে সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে কৃষকের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু এতে কৃষক সমাজ কতটা উপকৃত হচ্ছে? চড়া দামে সবজি কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। লাভবান হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। ব্যবসার ফাঁদে পড়ে কৃষক হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। ঠকবাজের থাবা থেকে কৃষকদের বাঁচাতেই হবে। বিষয়টি ভেবে দেখতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মো. আজিনুর রহমান লিমন, আছানধনী মিয়াপাড়া, ডিমলা, নীলফামারী
পৈথারা-জামমুড়া সড়কের করুণ অবস্থা
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পৈথারা-জামমুড়া সড়ক। এটি একটি সীমান্ত সড়ক। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই সীমান্ত সড়ককে গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করা হয়। এ সড়কটির পূর্ব পাশে অবস্থিত পৈথারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি এ এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আশপাশের আট-দশ গ্রামের শত শত শিক্ষার্থীর শিক্ষালাভের একমাত্র মাধ্যম। এ ছাড়া সড়কের পশ্চিম পাশে রয়েছে বিজিবি ক্যাম্প। জরুরি যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিজিবির সদস্যদের চলাচলেরও একমাত্র রাস্তা এটি। রাষ্ট্র ও এলাকার স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে সড়কটির গুরুত্ব অপরিসীম। এর বাইরে মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ২০-২৫টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ সড়কটি। মুন্সিরহাট বাজার, উপজেলা সদর এবং জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে স্থানীয় বাসিন্দারা এ সড়কটি ব্যবহার করে থাকে। জরুরি মুহূর্তে হাসপাতালে রোগী আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে সড়কটি এখন একটি বিরাট সমস্যা। কারণ বছরের পর বছর ধরে সংস্কারহীন অবস্থায় পড়ে আছে এটি। পিচঢালা এ সড়কটির পিচ উঠে গেছে বহুকাল আগেই। সড়কজুড়ে কেবল খানাখন্দ। এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ ও হতাশ। এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে এ সড়কটি মেরামত করার।
মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, পৈথারা, মুন্সিরহাট, ফেনী
গ্রামে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন
দেশের মানুষের অসুস্থতায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ার কারণ যোগ্য চিকিৎসকের অভাব, বিশেষ করে পল্লী এলাকায়। এ পরিস্থিতিতে আরও বেশিসংখ্যক মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন অত্যাবশ্যক। সব নির্বাচিত সরকারেরই অঙ্গীকার থাকে শহর ও পল্লী অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা। কিন্তু পল্লী অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসকদের পাঠানো সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা সব জেলা শহরে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করলে এর সমাধান পেতে পারি। দেশের সাত প্রশাসনিক বিভাগে সাতটি চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যেতে পারে, যাতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে চিকিৎসা শিক্ষা প্রদান করা যায়। এসব চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক পর্যায়ের চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ কোর্স প্রবর্তন করতে পারে, যাতে তারা বিশেষ রোগের ক্ষেত্রে পারদর্শী হয়ে ওঠেন।
মো. আশরাফ হোসেন,
কোম্পানি সচিব, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, ঢাকা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন