বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

খালের নাম আম্বুরিয়া

ছোট্ট একটি খাল। নাম আম্বুরিয়া। ভাওয়ালের উঁচু ভূমি (স্থানীয় নাম টিলা) থেকে সৃষ্ট ঝরনা থেকে প্রথমে নালা ও পরে বৃষ্টির পানির প্রবল স্রোত আম্বুরিয়া খালের জন্ম দিয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ছোট এ খাল পূর্বদিকে ভাওয়ালের শালবন থেকে উৎপন্ন হয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার আঁকাবাঁকা পথে পশ্চিমে শালদহ নদীতে মিশেছে। এ খাল গাজীপুর জেলার রাথুরা মৌজায় ভেরামতলী ও পিরুজালী গ্রামের সীমানা নির্ধারণ করেছে। খালের উত্তরে শ্রীপুর উপজেলার ভেরামতলী গ্রাম ও দক্ষিণে গাজীপুর সদরের পিরুজালী গ্রাম। খালটি যেখানে শালদহ নদীতে মিশেছে, সেখানে এসে সংযুক্ত হয়েছে গাজীপুরের তিনটি উপজেলা শ্রীপুর, কালিয়াকৈর ও গাজীপুর সদর। এ তিন উপজেলা একসঙ্গে মিশে তেমাথার সৃষ্টি করেছে। আকর্ষণীয় এ স্থানটি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ঘন গজারি বনের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটির রূপ-সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত হতে হয়। আম্বুরিয়া খালঘেঁষেই ভেরামতলী গ্রাম। এ গ্রামেই আমার জন্ম হয়েছে। ছেলেবেলায় আম্বুরিয়া খালে সাঁতার কেটে, মাছ ধরে সময় কেটেছে আমার। এ খালটি এক সময় এলাকাবাসীর জীবন-জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। বর্তমানে মাটি ভরাট ও দখলের শিকার হয়ে আম্বুরিয়া অনেকটা মরা খালে পরিণত হয়েছে। একতরফা বাঁধ নির্মাণের কারণে খালটি নাব্যতা হারিয়েছে। আগে আম্বুরিয়া খালে শত শত ঝরনা ছিল। এখন স্বচ্ছ পানির ঝরনা চোখেই পড়ে না। শুষ্ক মৌসুমে খালের পানি একেবারেই শুকিয়ে যায়। পারাপারের জন্য খালটির ওপর তিন স্থানে বাঁশের সাঁকো ও এক স্থানে ছোট ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ভুল নকশায় সাত বছর আগে নির্মিত ব্রিজটি নিচু হওয়ায় সব ধরনের নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ব্রিজটি পুনর্র্নিমাণের জন্য লেখালেখি করেও কোনো লাভ হয়নি।
ব্রিজ নির্মাণের আগে এ খাল দিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ নৌকাযোগে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতেন। শুষ্ক মৌসুমে পানির প্রবাহ স্থির থাকলেও বর্ষার সময় খালটি কানায় কানায় ভরে যায়। দু’পাশে গজারি বন থাকায় জলরাশিতে পূর্ণ আম্বুরিয়া তখন নতুন রূপ ধারণ করে। তাকে অসম্ভব সুন্দর ও মনোরম দেখায়। বলার অপেক্ষা রাখে না, খালে পানি থাকলে সেচের মাধ্যমে কৃষকরা বোরো আবাদ করতে পারবে। মাছ শিকারও সহজ হবে। তবে খালটি মাটিতে ভরে যাওয়ায় এসবই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আম্বুরিয়ার প্রকৃত রূপ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেয়া জরুরি। সঠিক সীমানা নির্ধারণের পর যথাযথভাবে খনন কাজ সম্পন্ন হলে কৃষক সেচ সুবিধা পাবে। জেলেরা পাবে মাছ শিকারে সুযোগ। আর আম্বুরিয়াও ফিরে পাবে তার রূপ-যৌবন ও স্বকীয়তা।
জয়নুল আবেদীন স্বপন,
ভেরামতলী, গাজীপুর


গ্রামে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন
দেশের মানুষের অসুস্থতায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ার কারণ যোগ্য চিকিৎসকের অভাব, বিশেষ করে পল্লী এলাকায়। এ পরিস্থিতিতে আরও বেশিসংখ্যক মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন অত্যাবশ্যক। সব নির্বাচিত সরকারেরই অঙ্গীকার থাকে শহর ও পল্লী অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা। কিন্তু পল্লী অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসকদের পাঠানো সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা সব জেলা শহরে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করলে এর সমাধান পেতে পারি। দেশের সাত প্রশাসনিক বিভাগে সাতটি চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যেতে পারে, যাতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে চিকিৎসা শিক্ষা প্রদান করা যায়। এসব চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক পর্যায়ের চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ কোর্স প্রবর্তন করতে পারে, যাতে তারা বিশেষ রোগের ক্ষেত্রে পারদর্শী হয়ে ওঠেন।
মো. আশরাফ হোসেন,
কোম্পানি সচিব, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, ঢাকা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন