নবাব সলিমুল্লাহর কথা কেউ স্মরণ করে না
গত ১৬ জানুয়ারি ছিল ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা নবাব স্যার সলিমুল্লাহর মৃত্যুবার্ষিকী। অতি নিরবেই দিনটি চলে গেছে, এতটা অকৃতজ্ঞ এই জাতি কীভাবে হতে পারে তা ভাবতে অবাক লাগে। তার দান করা ৬০০ একর জমির উপর আজকের ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল ও বুয়েটের মত শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানগুলো দাঁড়িয়ে আছে। অথচ তার মৃত্যুবার্ষিকীতে এসব প্রতিষ্ঠানে তার জন্য কোনো দোয়ার অনুষ্ঠান করা হয়নি, হয়নি কোনো স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান। অনেকেরই জন্মবার্ষিকী বা মৃত্যুবার্ষিকী খুব ধুমধামের সাথে পালন করা হয়। অথচ তার মধ্যে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ নেই। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা ও রূপকার যে তিনি সেটা আজ অনেক শিক্ষার্থী জানে না, তা ভাবতে অবাক লাগে। ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ১৮৭১ সালের ৭ জুন জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকে তিনি যেমন ছিলেন ধর্মপরায়ণ, তেমনি অভিজাত পরিবারের সন্তান হয়েও সাধারণ মানুষের কাছাকাছি অবস্থান করে তাদের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি অকাতরে দান-খয়রাত করতেন।
তিনি সর্বপ্রথম পানীয় জল, ইলেক্ট্রিসিটি ও টেলিফোন ব্যবস্থার মাধ্যমে আধুনিক ঢাকার জন্ম দেন। তিনি জীবনের প্রথম দিকে নবাবীর প্রতি লোভ না করে জনগণের কথা চিন্তা করে মোমেনশাহীর ম্যাজেস্ট্রেসির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯০৩ সালে বড়লাট লর্ড কার্জন ঢাকা সফরে এলে নবাব সলিমুল্লাহ পূর্ব বাংলার সমস্যাগুলো তার কাছে তুলে ধরেন। তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ঢাকার রমনা এলাকায় নিজ জমি দান করে বাবার নামে আহসানুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল (আজকের বুয়েট) প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি ১৯০৬ সালে ব্রিটিশ সা¤্রাজ্যবাদী ও তাদের দোসরদের ক্রমাগত আগ্রাসন থেকে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষা ও ধর্ম রক্ষায় ছয় মাসের প্রচেষ্টায় অল-ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি তার সম্পদ মানুষের জন্য অকাতরে বিলিয়ে দিয়ে ঋণী হয়েছিলেন । সোনালী ব্যাংক সদরঘাট শাখায় এখনও তার বন্ধক রাখা দরিয়া-ই-নূর রক্ষিত আছে। আজ এই মহান ব্যক্তিকে কেন এত অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে? তিনি ঢাবি প্রতিষ্ঠা না করলে কে ভাষা এনে দিত বা কে স্বাধীনতা এনে দিত এমনকি এই বুয়েট না থাকলে কীভাবে বিশ^মানের ইঞ্জিনিয়ার জন্ম হতো? এটা কেউই উপলব্ধি করছে না। কথিত আছে ঢাকার নবাবদের অনেকেই ব্রিটিশদের দালালি করলেও একমাত্র নবাব সলিমুল্লাহ ব্যতিক্রম হয়েও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে ব্রিটিশ লাট ও তৎকালীন হিন্দু সমাজের সাথে তার বাদানুবাদ হয়। জাতির এই মহান পথ প্রদর্শকের স্মরণ করা, তার সম্পর্কে জানা কি জাতির কর্তব্য নয়?
মো. ইয়ামিন খান
ফরিদপুর ।
ব্যস্ততম সড়কে যাত্রী চলাচলে ব্যবস্থা চাই
মহানগরীর ব্যস্ত মানুষ দ্রুত রাস্তা পার হতে চায়। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, জিইসি মোড়, ২নং গেট (ষোলশহর), ১নং গেট (মুরাদপুর) এবং এ জাতীয় মোড়গুলোতে খুব বেশি গাড়ি চলাচল করে। এজন্য অনেকে সময় বাঁচাতে গিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কোনো রকমে এমনকি চলন্ত গাড়ির ফাঁকফোকর দিয়ে রাস্তা পার হন। এতে থাকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। কিন্তু ওভারপাস-আন্ডারপাস থাকলে জনতা সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা না করে কিংবা ঝুঁকি না নিয়ে অনায়াসে-নিশ্চিন্তে রাস্তা পার হতে পারতেন।
সিটি করপোরেশন অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। ভেবে আশ্চর্য হতে হয়, এ গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে এখনও ওভারপাস-আন্ডারপাস নির্মিত হয়নি। তাই সময় ও জীবন বাঁচাতে তথা জনকল্যাণার্থে এ মোড়গুলোতে শিগগির ওভারপাস-আন্ডারপাস নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মেয়র মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রুমী ভূঁইয়া ও হেলাল
গোলাবাড়িয়া, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন