শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

গ্রামে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন

দেশের মানুষের অসুস্থতায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ার কারণ যোগ্য চিকিৎসকের অভাব, বিশেষ করে পল্লী এলাকায়। এ পরিস্থিতিতে আরও বেশিসংখ্যক মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন অত্যাবশ্যক। সব নির্বাচিত সরকারেরই অঙ্গীকার থাকে শহর ও পল্লী অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা। কিন্তু পল্লী অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসকদের পাঠানো সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা সব জেলা শহরে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করলে এর সমাধান পেতে পারি। দেশের সাত প্রশাসনিক বিভাগে সাতটি চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যেতে পারে, যাতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে চিকিৎসা শিক্ষা প্রদান করা যায়। এসব চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক পর্যায়ের চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ কোর্স প্রবর্তন করতে পারে, যাতে তারা বিশেষ রোগের ক্ষেত্রে পারদর্শী হয়ে ওঠেন।
মো. আশরাফ হোসেন,
কোম্পানি সচিব, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, ঢাকা

 

ঢাকায় দুর্বিষহ যানজট
ঢাকায় দিন দিন যানজট বেড়েই চলেছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে এ পর্যন্ত কম প্রচেষ্টা চালানো হয়নি; কিন্তু কার্যত সব চেষ্টাই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। যানজট নিরসনের লক্ষ্যে এত ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হলো তবুও কোনো সুফল মিলল না! আসলে গলদ অন্যত্র। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানো না গেলে এ থেকে পরিত্রাণ মিলবে না। তা ছাড়া এ ক্ষেত্রে রয়েছে সমন্বয়ের অভাব। এই অভাব দূর করতে হবে। জনদুর্ভোগ লাগবে এ ব্যাপারে ত্বরিত পরিকল্পিত সমন্বিত কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এ ব্যাপারে কথা হয়েছে বিস্তর। এবার কাজের কাজটুকু হোক।
শফিকুল হাসান,
মিরপুর, ঢাকা

 

ডাক বিভাগের ২৩৩ জন ইডিএসপিএমের আবেদন
আমরা ডাক বিভাগের ২৩৩ ইডিএসপিএম একজন সরকারি এসপিএমের মতো দায়িত্ব পালন করেও শুধু বেতন-বৈষম্যের কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছি। একজন সরকারি এসপিএম যেভাবে অফিসের কাজ করে যেমন- এমও ইস্যু, ইএমও ইস্যু ও বিলি, সেভিং ব্যাংকে জমা উঠানো, রেজি., পার্সেল ইস্যু ও অন্যান্য কাজ, আমাদেরও অনুরূপ করতে হয়। উপরোক্ত প্রত্যেকটি ইডিএসও একটি ট্রানজিট অফিস। অন্যান্য শাখা অফিসের ডাক অদল-বদল করতে হয়। সকাল ৯টা থেকে একটানা বিকেল ৩টা পর্যন্ত অফিস সময় হওয়ায় পার্টটাইমে অন্য কোনো কাজও করা যায় না। তা ছাড়া আমাদের অধীন সরকারি চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী যেখানে মাসে ২০-২৫ হাজার টাকা বেতন পান, তদুপরি তাদের ঈদ বোনাস ও বৈশাখী ভাতাও দেওয়া হয়। সেখানে আমরা অফিসপ্রধান হয়েও সর্বসাকল্য ৩ হাজার ৩০০ টাকা বেতনের নামে সম্মানী ভাতা পেয়ে থাকি। কোনো বোনাস পাই না।
প্রতিযোগিতামূলক লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমান ঊর্ধ্বমূল্যের বাজারে এই সম্মানী ভাতায় সংসার কীভাবে চলে? মানবিক দিক বিবেচনা করে এই ২৩৩ ইডিএসপিএমের সম্মানী ভাতা বা বেতন ৩ হাজার ৩০০ টাকার স্থলে ১৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করার জন্য সংশ্নিষ্ট মন্ত্রীর প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
মো. মিজানুর রহমান,
সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন