বিএনপির নেতাকর্মী নয়, ভিডিও ফুটেজ দেখে সন্ত্রাসীদের ধরা হচ্ছে। এর মধ্যে রাজনীতির কিছু নেই। গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ-২০১৮ উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ সব কথা বলেন।
বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে দলটির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করার অভিযোগ নাকচ করে তিনি বলেছেন, যারা বিশৃঙ্খলা ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত, প্রমাণসাপেক্ষে তাদেরেই গ্রেফতার করছে পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, এখানে কোনো রাজনৈতিক ব্যাপার নাই। আমরা সন্ত্রাসীদের ধরছি। যারা ভাংচুরের সাথে জড়িত ছিল, যারা রাইফেল ছিনতাই করতে যাচ্ছিল, যারা পুলিশের ভ্যান থেকে অপরাধীদের ছিনিয়ে নিতে চাচ্ছিল তাদেরকে আমরা ধরার চেষ্টা করছি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় সামনে রেখে দেশে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে গত ৩০ জানুয়ারি হাই কোর্ট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপিকর্মীরা। বেধড়ক পিটুনির শিকার হন কয়েকজন পুলিশ সদস্য, ভাংচুর হয় তাদের গাড়ি ও আগ্নেয়াস্ত্র। ওই ঘটনায় শাহবাগ থানায় দুটি এবং রমনা থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। সেখানে বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমানউল্লাহ আমান, নাজিমউদ্দিন আলম, আজিজুল বারী হেলাল, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, আনিসুর রহমান খোকন, হাসান মামুন, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, মতিউর রহমান মন্টুসহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে গত কয়েক দিনে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই সরকার এই গণগ্রেফতার শুরু করেছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে দলটির পক্ষ থেকে। এ অভিযোগ অস্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন তো অনেক দূরে রয়েছে। তার আগে আপনারা দেখছেন বেগম খালেদা জিয়া যখন আদালতে যাচ্ছেন, সেখানে যাওয়ার পথে আসার পথে যে ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে এবং আপনারা দেখেছেন পুলিশের রাইফেল ভেঙে ফেলেছে। আপনারা দেখেছেন প্রিজন ভ্যান থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ২০১৪ সালে রাজশাহীতে পুলিশকে কীভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল তাও আপনারা দেখেছেন। ঠিক সিমিলার ঘটনা এখানেও ঘটছে। ওই হামলায় যারা অংশ নিয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের পুলিশ ধরার চেষ্টা করছে বলে জানান মন্ত্রী।
ডিএমপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গতকাল বিকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে পুলিশ তৈরি হয়েছে, সেই পুলিশ আর আগের পুলিশ এক নয়। এখন মানুষ পুলিশকে আর ভয় পায় না, ভালোবাসে। ডিএমপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে ছিল বর্ণাঢ্য সব আয়োজন। মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে পুলিশ কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনের পরই প্রমাণ্যচিত্রে তুলে ধরা হয় ডিএমপি’র নানা অর্জন। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সদ্য দায়িত্বভার গ্রহণ করা মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা নিয়ে পুলিশকে আগেও দায়িত্ব পালনে দেখা গেছে, আগামীতেও দেখা যাবে। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ সফল হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন