অভিবাসন ব্যয় কমাতে বড় পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন বিন ইসমাইল। ইসমাইল বলেন, তার সরকার অভিবাসন ব্যয় কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনতে চাচ্ছি। আজ রোববার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আগামী দিনে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বসবেন। তারা রিভিউ করবেন যে সমঝোতা চুক্তিতে পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে কিনা।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আগের করা সমঝোতা চুক্তি নিয়ে কথা বলেছি। আজকের আলোচনার একটা বড় অংশ নিয়ে ছিল এই চুক্তি। মালয়েশিয়া সরকার এই প্রক্রিয়াকে সহজতর করতে চায়, যেন মূল লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, চাহিদা পূরণ করা, ব্যয় কমানো, বিদেশি কর্মীদের সম্মান রক্ষা করা। যদি বর্তমান প্রক্রিয়ায় সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো না যায়, আমরা পরিবর্তন আনতে প্রস্তুুত। সেজন্য আমরা আলোচনায় বসবো।
মালয়েশিয়ায় বর্তমানে ১৫ লাখ বিদেশি কর্মী আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মধ্যে সাড়ে চার লাখ বাংলাদেশি কর্মী। সে কারণেই বাংলাদেশ ১৫টি সোর্স কান্ট্রির মধ্যে প্রথম স্থানে আছে। বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। মালয়েশিয়ার মন্ত্রী বলেন, আমাদের আজ দুটি বিষয়ে ফলপ্রসূ আলাপ হয়েছে। প্রথমত রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম আরও দ্রুত করার বিষয়ে। দ্বিতীয়ত মালয়েশিয়া সরকার অভিবাসন ব্যয় কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রিক্যালিব্রেশন গ্রোগ্রাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় অনেক অবৈধ কর্মী আছেন। একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে তাদের বৈধ করা হচ্ছে। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে এই প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। আমি জানাতে চাই যে, এক সপ্তাহে বৈধকরণের যা অনুমোদন আমরা দিয়েছি তার ৫৫ শতাংশ বাংলাদেশি। আমি মন্ত্রী ইমরান আহমেদকে অনুরোধ জানিয়েছি সহযোগিতার জন্য। বাংলাদেশ যেন তাদের অংশটুকু পালন করে, যেন আমরা আমাদের কর্মীর চাহিদা পূরণ করতে পারি। তিনি বলেন, আমরা অনুমোদন দেয়ার সময় কমিয়ে এনেছি। আগে ২০-৩০ দিন সময় নেয়া হতো। এখন ২-৩ দিনে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। এটি একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনসহ দুই দেশের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন