ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কুমিল্লা উত্তর সংবাদদাতা : মেঘনা উপজেলা রাধানগর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেনকে গত বুধবার সকালে হত্যার চেষ্টায় একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এসময় সন্ত্রাসীরা আক্তারকে রামদা দিযে কুপিয়ে শরীর ক্ষত-বিক্ষত করে দেয় এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয় ও পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় আক্তারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার আশঙ্কাজনক অবস্থায় পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন। হামলার ঘটনায় আহতের বড় ভাই মোঃ দেলোয়ার হোসেন মেম্বার বাদী হয়ে রাধানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল বাতেনকে প্রধান আসামী করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মেঘনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন। মেঘনা থানার ওসি দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, হামলার ঘটনায় চেয়ারম্যান বাতেনকে প্রধান আসামী করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার করার অভিযান চলছে বলে জানান। মামলার খবর পেয়ে সন্ত্রাসীরা এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মামলার বিবরণে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো যুবলীগ নেতা আক্তার হোসেন বুধবার সকালেও বেয়াম করতে বের হয়ে মুঘারচর সিএনজি স্ট্যান্ডে পৌছার সাথে সাথে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত আক্তারের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। সন্ত্রাসীরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আক্তারের হাত-পা ভেঙে দেয় এবং রামদা দিয়ে কুপিয়ে সমস্ত শরীর ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়েছে। এসময় এলাকার শত শত লোকজন এই দৃশ্য দেখলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। যুবলীগ নেতা আক্তারকে হত্যার মিশন সাকসেস বলে মিছিল করতে করতে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে এলাকার লোকজন আক্তারকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতারে নিলে ডাক্তার আশঙ্কাজনক অবস্থায় পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন। প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানায়, ঘটনাস্থলে বাতেন চেয়ারম্যন উপস্থিত থেকে সন্ত্রাসীদেরকে হুকুম দিচ্ছে আক্তারকে মেরে ফেল, মেরে ফেল । এলাকার লোকজন বলছেন, চেয়ারম্যানের এই দৃশ্য দেখে আমরা হতবাক হয়েছি। কিভাবে একজন জনপ্রতিনিধি মানুষ হত্যার হুকুম দিতে পারে তা আমাদের বোগম্য নয়। তারা বলছেন এই হামলার মিশনে বাতেন চেয়াম্যানের ৪জন পুত্রকেও দেখা গেছে বলে তারা জানান। এলাকাবাসী বলছেন, বাতেন চেয়ারম্যানের ছেলে নওশাদ ও এরশাদ এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। এরই প্রতিবাদ করে আসছিল যুবলীগ নেতা আক্তার হোসেন। এর জের ধরেই এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। কেউ কেউ বলছে, চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় আক্তারের উপর হামলা হয়েছে। এসব নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরেই এখানকার দু’গ্রæপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে বলেও স্থানীয় রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন