জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন
২০০৫ সাল থেকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে এনটিআরসিএ গঠিত হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে হাজার হাজার জাল সনদ বিক্রি করেছে এবং জাল সনদধারীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে। যার প্রভাব পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর। সম্প্রতি দুদক শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে ২০১৮ সালের প্রথম দিক থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। ঠিকমতো কাজ করলে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি কমে যাবে। ইতিমধ্যে কিছু জাল সনদধারীকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে কাজ শুরু করেছে দুদক। অন্যদিকে বিতর্কিত এনটিআরসিএ প্রতিষ্ঠানটি জাল সনদ যাচাই গত ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু করেছে। গত দু’দিনে অনেক জাল সনদ চিহ্নিত করা হয়েছে, যে সনদে চাকরিরত আছেন ভুয়া শিক্ষকরা। যাচাইকৃত সনদগুলো এনটিআরসিএ তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে আপলোড দিচ্ছে। এমনকি জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুপারিশ করা হয়েছে। এভাবে জাল সনদধারীদের চিহ্নিত করে চাকরিচ্যুত করা হলে অনেক পদ শূন্য হবে। অনেক মেধাবী বৈধ নিবন্ধন সনদ থাকা সত্তে¡ও বেকার জীবনযাপন করছেন। তাই অবৈধভাবে পাওয়া জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বৈধ সনদধারীদের নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি), মোহাম্মদনগর উচ্চ বিদ্যালয়
ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ
টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চাই
সঠিক ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে দেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। নীতিগত দিক দিয়ে বিবেচনা করলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো আইন দেশে নেই। রাজধানী ঢাকাসহ পৌর শহরগুলোর মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের হাজার হাজার টন বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শিল্পকারখানার বর্জ্য, ইলেকট্রনিক বর্জ্য, চিকিৎসা বর্জ্য, গৃহস্থালি বর্জ্য, পয়ঃবর্জ্য প্রভৃতি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দিকে এখনই নজর না দিলে এবং সচেতন না হলে এমন একসময় আসবে, যখন প্রাকৃতিক পরিবেশ, মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবন হুমকিতে পড়বে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে নগরের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি জড়িত। শহর এলাকার জনসংখ্যা যেমন বেশি, তেমনি বিভিন্ন ধরনের বর্জ্যরে উৎপাদনও বেশি। সিটি করপোরেশন এলাকার জৈব বর্জ্যকে বায়োগ্যাস ও জৈব সারে রূপান্তর করতে পারলে তা দিয়ে জ্বালানির জোগানসহ জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করা সম্ভব। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য সংগ্রহ করে নিদিষ্ট ভাগাড়ে রাখা হয়। তারপর সেগুলো পরিশোধন বা রিসাইক্লিং করে অন্য প্রয়োজনীয় জিনিস তৈরি করা হয়। তাই স্বাস্থ্যকর ও বাসযোগ্য পরিবেশের কথা চিন্তা করে হলেও আজ কিংবা কাল টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতেই হবে। ফলে সম্পদের পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে যেমন লাভবান হওয়া যাবে, তেমনি পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিও রোধ করা সম্ভব হবে।
সাধন সরকার
শিক্ষার্থী, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন