সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

চাটখিলে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

নোয়াখালী ব্যুরো : চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান শরীফের বিরুদ্ধে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫) কে পুলিশ পরিচয়ে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামীকে বাদ দিয়ে পুলিশ একটি মামলা নিয়েছে বলেও অভিযোগ ভিকটিমের পরিবারের। বুধবার বিকালে ভিকটিমের বাবা সিরাজ উদ্দিন জানান, ঘটনার কয়েকদিন আগে তার মেয়ে নোয়াখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী (১৫) সাহপুর গ্রামের ইয়াছিন হাজীর বাজার সংলগ্ন তার মামা শহিদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত ৮ ফেব্রæয়ারি মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে মজিবুর রহমান শরীফের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশের পরিচয় দিয়ে শহিদের ঘরের দরজা খুলতে বলে। কিছুক্ষণ ধাক্কাধাক্কির পর কোন সাড়া না পেয়ে তারা ঘরের দরজা-জানালা ভাঙচুর শুরু করে। এসময় নিরুপায় হয়ে তার মামী সাজু বেগম দরজা খুলে দেন। পরে হামলাকারীরা তার মেয়েকে ঘুম থেকে তুলে তার ভোটার আইডি কার্ড ও জন্ম নিবন্ধন দেখাতে বলে। সে এগুলো না দেখাতে পারায় তারা তাকে জোরপূর্বক একটি মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে একটি বাগানে নিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে এবং পরে চোখ বেঁধে বাড়ীর পাশের সড়কে ফেলে যায়। এই ঘটনা কাউকে বললে সে সহ পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকিও দিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, সকালে এ বিষয়ে মামলা করতে তিনি চাটখিল থানায় গেলেও মজিবুর রহমান শরীফের নাম থাকায় মামলা নিতে চায়নি পুলিশ। এর দুই দিন পর ১০ ফেব্রæয়ারি শরীফের নাম বাদ দিয়ে তার দুই সহযোগী কামাল (৩০) ও জামাল (২৮) নামে দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ। পরদিন ১১ ফেব্রæয়ারি তারা জেলা নারী ও শিশু স্পেশাল আদালতে হাজির করা হলে ঐদিনই আদালতের নির্দেশে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার ১১দিন পার হলেও একজন আসামীকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রতিদিনই আসামীরা তাদের মুঠোফোনে হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আসামীরা যে কোন মুহুর্তে তাদের ওপর বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে।
মামলা গ্রহণ না করতে চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে চাটখিল থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার জানান, তিনি ভিকটিমের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছেন। তবে আসামীদের ঠিক মতো সনাক্ত করতে না পারায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরো বলেন, ভিকটিম আদালতে যাদের নাম বলেছে তাদের গ্রেফতারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যৃবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে চাটখিল উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ উল্যাহ পাটোয়ারী বলেন, ঘটনায় তদন্ত করে যে দোষী প্রমাণিত হবে সে যে দলেরই হোকনা কেন তার বিচার হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন