শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলনের প্রথম সাংগঠনিক প্রয়াস

| প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

এম আর মাহবুব:
বাংলাকে মাতৃভাষা ও রাষ্ট্রভাষা করা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় সুপ্রাচীনকাল থেকেই। পাকিস্তান সৃষ্টির পূর্ব হতেই লেখক, চিন্তাবিদ ও সুধীমহলে রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নটি আলোচিত হতে থাকে। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে অনেকে অনেক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। লেখক, চিন্তাবিদরা সংবাদপত্র, পুস্তক-পুস্তিকা ও আলোচনার মাধ্যমে একটি প্রতিকূল পরিবেশে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার তত্ত¡গত বিষয়টি তুলে ধরেন।
লেখালেখির মাধ্যমে এই প্রচেষ্টা শুরু করেছিলেন এ দেশের চিন্তাবিদ, সাংবাদিক ও লেখক স¤প্রদায়। ভাষা-আন্দোলনের প্রস্তুতিরূপে লেখকদের এই প্রয়াস ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লেখকদের এই প্রয়াসকে রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলনের মনস্তাত্তি¡ক পর্ব বলেও চিহ্নিত করা যায়।
‘আন্দোলন’ বলতে ােঝায় কোনো লক্ষ্য অর্জনের নিমিত্তে একটি দল বা সংগঠনের মাধ্যমে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় বক্তৃতা, সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ-মিছিল, শোভাযাত্রা, হরতাল ও অন্যান্য কর্মসূচির মাধ্যমে ধারাবাহিক প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ গড়ে তোলা। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর শাসকচক্র পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মাতৃভাষা বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্র শুরু করে। এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তাকে সংক্ষেপে ভাষা-আন্দোলন বলে। আন্দোলন বা গড়াবসবহঃ বা ‘ভাষা-আন্দোলন’ সংজ্ঞাটির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো সংগঠন তখনও গড়ে ওঠেনি, ছিল না কোনো সংঘবদ্ধ জনসমষ্টির সাংগঠনিক প্রয়াস। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রশ্নে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সর্বপ্রথম এরকম একটি সংঘবদ্ধ ধারাবাহিক আন্দোলনের জন্ম দেয় ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর গঠিত ‘তমদ্দুন মজলিস’ নামক একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। তারাই প্রথম লেখক স¤প্রদায় কর্তৃক উত্থাপিত রাষ্ট্রভাষা বাংলার বুদ্ধিবৃত্তিক দাবিকে সভা- সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভের মাধ্যমে রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলনের গোড়াপত্তন করে।
তমদ্দুন মজলিস গঠনের পূর্বে ১৯৪৭ সালের জুন মাসে ঢাকায় ‘গণআজাদী লীগ’ নামে একটি ক্ষুদ্র সংগঠন জন্মলাভ করে। ঢাকাস্থ মুসলিম লীগ কর্মীদের অন্যতম প্রধান নেতা কামরুদ্দীন আহমদ গণআজাদী লীগের আহবায়ক নিযুক্ত হন। তারা ‘আশু দাবি কর্মসূচি আদর্শ’ নামে একটি ম্যানিফেস্টো প্রকাশ করে। এতে ভাষা সম্পর্কে তাদের অভিমত প্রকাশ করা হয়। আলোচ্য ম্যানিফেস্টোতে বলা হয় :
“...বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। এই ভাষাকে দেশের যথোপযোগী করিবার জন্য সর্বপ্রকার ব্যবস্থা করিতে হইবে। বাংলা হইবে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।” সূত্র : পূর্ববাংলার ভাষা-আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি (প্রথম খন্ড) : বদরুদ্দীন উমর, মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা, পৃ. ১৮
ভাষা-আন্দোলন গবেষক, লেখক বদরুদ্দীন উমরের ভাষায়-
“গণআজাদী লীগের ম্যানিফেস্টোটি কোনো শক্তিশালী সংগঠনের ঘোষণা ছিল না এবং বাংলা পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে এর দ্বারা গণআজাদী লীগের মুখপাত্ররা কি বলতে চেয়েছেন তা খুব স্পষ্ট নয়।” সূ ত্র: পূর্ববাংলার ভাষা-আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি (প্রথম খÐ) : বদরুদ্দীন উমর, মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা, পৃ. ১৮
গণআজাদী লীগ সম্পর্কে ভাষাসংগ্রামী ও লেখক আবদুল মতিন ও আহমদ রফিক ‘ভাষা-আন্দোলন ইতিহাস ও তাৎপর্য’ শীর্ষক গ্রন্থে (পৃ. ২৮) বলেন :
“...প্রকৃতপক্ষে গণআজাদী লীগ তাদের গঠনতন্ত্রে বাংলা রাষ্ট্রভাষার দাবি উত্থাপন করেই ক্ষান্ত থেকেছে। গণআজাদী লীগ এদেশে গণতান্ত্রিক চেতনা বিকাশের উদ্দেশ্যে গঠিত হলেও জনচেতনা বিকাশের জন্য গণ-আন্দোলন বা ভাষাবিষয়ক কোনো আন্দোলন ঘটাতে পারেনি কিংবা ঘটাতে চেষ্টা করেনি।”
গণআজাদী লীগ এবং গণতান্ত্রিক যুবলীগ সংগঠন হিসেবে প্রথম বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার কথা থাকলেও তারা পরিকল্পিত ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি গ্রহণ বা কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেননি। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের রাষ্ট্রভাষা কী হবে এ ব্যাপারেও নীরব ভূমিকা পালন করে।
এ প্রসঙ্গে গণআজাদী লীগের আহবায়ক কামরুদ্দীন আহমদ বলেন :
“... বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে বিভক্ত হবার পূর্বেই মুসলিম লীগের বামপন্থী দলটি উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভ্যপদ ত্যাগ করে ‘পূর্ব পাকিস্তান গণআজাদী লীগ’ সৃষ্টি করেছিল। তাদের ধর্মনিরপেক্ষ কর্মসূচি ছিল এবং তাতে আর্থিক সমস্যাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল। ‘আজাদী লীগ’ সৃষ্টি করার অব্যবহিত পরেই পূর্ববাংলার যুব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো এবং সেখানে স্থাপিত হলো ‘গণতান্ত্রিক যুবলীগ’। সরকার এই যুবলীগকে কমিউনিস্ট সমর্থিত প্রতিষ্ঠান ঘোষণা করে এর নেতাদের গ্রেফতার করতে লাগলেন। এর ফলে শেষ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্তি ঘটল। ইসলামি ভাবধারায় পুষ্ট কতিপয় যুবক ‘তমুদ্দন মজলিস’ আখ্যা দিয়ে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করল। আদৌ বামপন্থী না হয়েও ১৯৪৭ ও ১৯৪৮ সালের প্রত্যেকটি আন্দোলনে এই প্রতিষ্ঠানের সভ্যরা দেশের গণশক্তির সঙ্গে হাত মেলালেন। বাংলাকে শিক্ষার মাধ্যমরূপে এবং সরকারি ভাষারূপে স্বীকৃতিদানের জন্য পূর্ব পাকিস্তানে যে আন্দোলন হয়, তমদ্দুন মজলিসহ ছিল তার উদ্যোক্তা।” সূত্র : পূর্ববাংলার সমাজ ও রাজনীতি : কামরুদ্দীন আহমদ, মাওলা ব্রাদার্স, জানুয়ারি ১৯৭০, পৃ. ৯৫-৯৬
রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলনের প্রথম সংগঠন ‘তমদ্দুন মজলিস’-এর ভাষা আন্দোলন সংক্রান্ত বহু কাজে সাহায্য ও সমর্থন করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. মযহারুল ইসলাম ‘ভাষা আন্দোলন ও শেখ মুজিব’ গ্রন্থে বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান এই মজলিসকে রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত বহু কাজে সাহায্য ও সমর্থন করেন।’
এ প্রসঙ্গে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন :
“পাকিস্তান হওয়ার পর কোনো চড়ষরপু উবপষধৎব না করেই তারা এখানে উর্দু চালাতে শুরু করল। স্ট্যাম্প, রেল টিকিট, টাকা, মানিঅর্ডার ফরম ইত্যাদিতে। এই সময় আবুল কাসেম, এ কে এম আহসান দু’জন ১৯ আজিমপুরে একসাথে থাকতেন। তারাই এ ব্যাপারে প্রথম উদ্যোগ নেন।” সূত্র : ভাষা-আন্দোলন প্রসঙ্গ : কতিপয় দলিল (দ্বিতীয় খন্ড), কৃত-বদরুদ্দীন উমর, ঢাকা, বাংলা একাডেমি, ১৯৮৫, পৃ. ২৯৮
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ বলেন :
“কাসেম সাহেব এই তমদ্দুন মজলিস নামে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান করেছিলেন। তারা বাংলাকে কোর্ট বা আদালতের ভাষা করা দরকার এই মর্মে আন্দোলন করেছিলেন।” সূত্র : ভাষা-আন্দোলন প্রসঙ্গ : কতিপয় দলিল (দ্বিতীয় খন্ড), কৃত-বদরুদ্দীন উমর, ঢাকা, বাংলা একাডেমি, ১৯৮৫, পৃ.২৯৫
ভাষাসৈনিক ও রাজনীতিবিদ অলি আহাদ বলেন :
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থ বিজ্ঞান এবং রসায়ন বিজ্ঞানের অধ্যাপকদ্বয় আবুল কাসেম ও নূরুল হক ভূঁইয়া ধূমায়িত অসন্তোষকে সাংগঠনিক রূপদানের প্রচেষ্টায় ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিস গঠন করেন। নবগঠিত তমদ্দুন মজলিসই ভাষা-আন্দোলনের গোড়াপত্তন করেন।” সূত্র : জাতীয় রাজনীতি : ১৯৪৫-৭৫, কৃত-অলি আহাদ, ঢাকা, ১৯৮২, পৃ. ৪০
তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ভাষাসৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক এমএলএ অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ভূঁইয়া বলেন,
“এই আন্দোলনটা শুরু হয়েছিল পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মাত্র ১৭ দিনের মাথায় ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর। এই সংগঠনটি (তমদ্দুন মজলিস) এ দেশে সর্বপ্রথম রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলনের জন্ম দেয়।” সূত্র : আজিমপুরে ভাষা-আন্দোলন-ভ‚মিকা
১৯৫২ সালের সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আহŸায়ক কাজী গোলাম মাহবুব বলেন :
“...১৯৪৭ সালে আবুল কাসেম তমদ্দুন মজলিস নামে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সূত্রপাত করেন।” সূত্র : প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম শ্রদ্ধাস্পদেষু, প্রিন্সিপাল আবুল কাসেমের জাতীয় সংবর্ধনা উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা, ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯
ভাষাসৈনিক আব্দুল মতিন বলেন :
“...আসলে ভাষা-আন্দোলন পুরোপুরি শুরুর পেছনে ছিলেন তমদ্দুন মজলিসের আবুল কাসেম। কাসেম সাহেবই প্রথম তমদ্দুন মজলিসের মাধ্যমে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।” সূত্র : দৈনিক নয়া দিগন্ত, ২১ ফেব্রæয়ারি ২০০৫ এবং প্রিন্সিপাল আবুল কাসেমের ৮৮তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্য, ৫ জুলাই ২০০৮, পাবলিক লাইব্রেরি, ঢাকা।
বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. নীলিমা ইব্রাহিম বলেন :
“...সদ্যোজাত পাকিস্তানে যখন সকলেই লুটের মাল ভাগাভাগিতে ব্যস্ত, মইয়ের দড়ি নিয়ে কাড়াকাড়ি করছেÑ এ সতেজ দীপ্ত যুবক তখন তমদ্দুন মজলিস গড়ে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাইয়ের জন্য ধ্বনি তুলেছে।” সূত্র : প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম স্মারক গ্রন্থ, চট্টগ্রাম, সেপ্টেম্বর ১৯৯১
বিশিষ্ট লেখক, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস গবেষকগণ বিভিন্ন পুস্তক-পুস্তিকায় এ প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন। বদরুদ্দীন উমর বলেন :
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় ছাত্র এবং অধ্যাপকের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর (হবে ১ সেপ্টেম্বর) তমদ্দুন মজলিস নামে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে আলাপ-আলোচনা, সভা সমিতি ইত্যাদি ব্যাপারে প্রথম থেকেই বেশ কিছুটা সক্রিয় হয়।” সূত্র : পূর্ববাংলার ভাষা-আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি (প্রথম খন্ড), বদরদ্দীন উমর, মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা, পৃ.২৬
বশীর আলহেলাল বলেন :
“ভাষা আন্দোলনের প্রথম সাংগঠনিক রূপ দিয়েছিলেন ‘তমদ্দুন মজলিস’। এ সাংগঠনিক প্রয়াসের সূচনা হয়েছিল তমদ্দুন মজলিস ও তার প্রতিষ্ঠাতা আবুল কাসেমের মাধ্যমে।” সূত্র : ভাষা-আন্দোলনের সেই মোহনায়- বশীর আলহেলাল, সূচীপত্র, ফেব্রæয়ারি ২০০৩, পৃ. ৩৫
শিক্ষাবিদ, লেখক ও ভাষাসংগ্রামী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন :
“কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের পক্ষে সুস্পষ্ট এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি প্রথম উত্থাপন করে পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিস। তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক আবুল কাসেম ছিলেন বাংলা ভাষা-আন্দোলনের পথিকৃত।” সূত্র : একুশ : ভাষা-আন্দোলনের সচিত্র ইতিহাস, সি এম তারেক রেজা, জুন ২০০৪, পৃ. ১৭
এভাবে ভাষাসৈনিক, গবেষক, রাজনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্ট সুধীজন, বিভিন্ন জাতীয় পত্রপত্রিকা, ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাসবিষয়ক পুস্তক-পুস্তিকা তমদ্দুন মজলিস প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলনে প্রথম সাংগঠনিক প্রয়াস শুরু হয় বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন। ভাষা-আন্দোলনের ওপর এ পর্যন্ত প্রকাশিত বেশির ভাগ ইতিহাস দ্বারা এ বিষয়টি সমর্থিত।
লেখক : ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস গবেষক, লেখক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন