স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কারিগরী সহযোগিতায় ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (বøাস্ট) ব্যবস্থাপনায় রাজধানীর বিভিন্ন বস্তি থেকে তুলে আনা ফুটবলারদের নিয়ে ‘সখি ৩য় নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট আগামীকাল থেকে শুরু হবে। ছয়টি দল নিবে এ আসরে। দলগুলো হল- দুর্বার মোহাম্মদপুর, তেজস্বিনী মহাখালী, অনির্বাণ মিরপুর, অরুনোদয় মহাখালী, অনিরুদ্ধ মহাখালী এবং দুরন্ত মহাখালী। কাল শুরু হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ হবে আগামী ৮ মার্চ। খেলা হবে তেজগাওয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংকেন্দ্রীয় খেলার মাঠে।
সখি ৩য় নারী আসরকে সামনে রেখে গতকাল বাফুফে ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বøাস্টের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাফুফে ও এএফসি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ফিফা কাউন্সিলর মাহফুজা আক্তার কিরণ, আয়োজক বøাস্টের ডিরেক্টর মাহবুবা আক্তার ও প্রজেক্ট ম্যানেজার আব্দুল মালেকসহ ছয় দলের অধিনায়করা। সম্মেলনে মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘বাফুফে এই টুর্নামেন্টে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিচ্ছে। আমাদের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন মেয়েদের কয়েকদিনের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন বস্তিতে অনেক ট্যালেন্ট লুকিয়ে আছে। এই টুর্নামেন্টে যদি এমন কাউকে পাই তাহলে তাকে আমাদের ক্যাম্পে নিয়ে আসব। তাকে সব ধরনের সহযোগিতা দেব।’
দেশের নারী ফুটবলের উন্নতি উল্লেখ করার মতোই। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। দক্ষিণ এশিয়ার গন্ডি পেরিয়ে এএফসির মতো বড় আসরেও চ‚ড়ান্তপর্বে খেলেছে তারা। কৃষ্ণ, সানজিদা, আঁখি, মারিয়া, মার্জিয়ারা আজ নারীদের আইকন। কৃষ্ণাদের দেখে আজ অনেক মেয়েই ফুটবলের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। সখি টুর্নামেন্টের অংশ নেয়া মেয়েরাও এর ব্যতিক্রম নয়। কাল অনিরুদ্ধ মহাখালীর অধিনায়ক ফারজানা আক্তার সুমি বলেন, ‘আমরা বস্তিতে বাস করি। ছেলেদের জন্য খেলার তেমন সুযোগ পায়নি। সখি টুর্নামেন্টের মাধ্যমে আমাদের ফুটবল খেলার সুযোগ হয়েছে। এই টুর্নামেন্টে আমরা ভালো খেলতে চাই। আমরাও জাতীয় দলের ফুটবলারদের মতো হতে চাই।’ সুমির কথায় সুর মিলিয়েছেন দুর্বার মোহাম্মদপুরের স্বপ্নাও। কৃষ্ণা, আঁখিদের মতো একদিন সেও বড় ফুটবলার হতে চায়। পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন তার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন