কে এস সিদ্দিকী
২২ জমাদিউস সানি হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর ওফাতবার্ষিকী দিবস। মানবের ইতিহাসে আম্বিয়ায়ে কেরামের মধ্যে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ মানব, সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল। আম্বিয়ায়ে কেরামের পর মুসলমানদের প্রথম খলিফা হজরত সিদ্দিকে আকবর (রা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। তার জন্মতারিখ সঠিকভাবে জানা না গেলেও তার ওফাত দিবস সম্পর্কে কোনো মতভেদ নেই। নির্ভরযোগ্য সব সিরাত গ্রন্থে এ তারিখ বর্ণিত হয়েছে। সুতরাং ইসলামের ইতিহাসে ২২ জমাদিউস সানি তারিখের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। এ দিন তার ওফাতবার্ষিকী হিসেবে উদযাপনের, তাকে স্মরণ করার এবং তার জীবনাদর্শের অনুকরণ-অনুসরণ মুসলমানদের কর্তব্য, যদিও সারা বছরই তার জীবনচরিত ও আদর্শ স্মরণ করার প্রয়োজন। অনস্বীকার্য ব্যক্তিত্ব-মনীষীদের জন্ম ও মৃত্যুদিবস পালন করার সংস্কৃতি চর্চার ব্যাপকতার যুগে হজরত সিদ্দিকে আকবর (রা.)-এর ওফাতবার্ষিকী উদযাপন করাও সময়ের দারি। কেননা হজরত সিদ্দিকে আকবর (রা.) ছিলেন এমন মহান ব্যক্তিত্ব, যার জীবন বৈশিষ্ট্যের সাথে অন্য কারো তুলনা হতে পারে না। তিনি ছিলেন বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী, মুসলমানদের প্রথম খলিফা, কোরআনের প্রথম সংকলন, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মেরাজের সত্যতা স্বীকার করে খোদ রাসূলের (সা.) জবানী সিদ্দিক উপাধিপ্রাপ্ত, তার সঙ্গে সব যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী, তার অন্তরঙ্গ সঙ্গী, হিজরতের সময় সত্তর গুহায় সঙ্গী, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) পরামর্শদাতা ও সার্বক্ষণিক মদদগার এবং যার সম্পর্কে কোরআনে ১৭টি স্থানে আভাস রয়েছে। তাছাড়া তিনি ছিলেন উম্মুল মোমেনীন হজরত আয়েশা সিদ্দিক (রা.)-এর মহান পিতা, হুজুর (সা.)-এর শ্বশুর। তার আরো একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি ছিলেন ইসলামের ত্রাণকর্তা। উদীয়মান বিজয়ী শক্তির সমূলে বিনাশ সাধনের উদ্দেশ্যে ইসলামে কিছু মোনাফেক খলনায়কের অনুপ্রবেশ ঘটেছিল ইহুদি প্রভাবিত মদিনায়। তাদের ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে হত্যা করাও ছিল একটি। কিন্তু রাসূল (সা.)-এর যুগে তারা শুধু ব্যর্থই হয়নি, মদিনা থেকে বিতাড়িতও হয়েছে। রাসূল (সা.)-এর শেষ জীবনে মোমায়লাতুল কাজ্জাব নামক এক মিথ্যাবাদী ভুয়া নবী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল এবং তার স্পর্ধা এতই বেড়ে গিয়েছিল যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নামে প্রেরিত এক পত্রে সে ধৃষ্টতা প্রদর্শন করে দাবি জানিয়েছিল, তিনি যেন এ কাজ্জাবকেও তার নবুওয়তের অংশীদার করেন। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কড়া জবাব পেয়ে কাজ্জাব সেদিকে আর অগ্রসর হওয়ার দুঃসাহস করেনি, তখনকার মতো বিষয়টি থেমে যায়।
কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওফাত হয়ে যাওয়ায় মোমায়লাতুল কাজ্জাব আবার নবুওয়তের স্বপ্ন দেখতে থাকে। হযরত সিদ্দিকে আকবর (রা.) খলিফাতুল মুসলিমীন। ইতোমধ্যেই জাকাত অস্বীকারকারীদের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রায় একই সময় আরবের বিভিন্ন স্থানে কতিপয় ভ- নবী মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। মোমায়লাতুল কাজ্জাব ছাড়াও আরো যেসব ভ- নবীর উদ্ভব ঘটে তাদের মধ্যে রয়েছে তালিহা আসাদী, আসওয়াত আনাসী এবং সাজাহ তাইসিয়া। অপরদিকে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওফাতের ফলে মুলতবি হয়ে যাওয়া ওসামা বাহিনী প্রেরণের বিষয়টিও নতুন খলিফার সামনে উপস্থিত। এটি ছিল এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা খলিফাকে দারুণভাবে বিচলিত করছিল। খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের পর উদ্ভূত এ ত্রিমুখী সমস্যার মোকাবিলা করার বিষয় সামনে উঠে আসে। তিনটি মহাসংকটের মোকাবিলা করা সহজসাধ্য ব্যাপার নয়। জাকাতের সাথে যেমন ইসলামের মৌলিকত্ব জড়িত, তেমনি নবুওয়তও অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত। ওসামা বাহিনীর জয়-পরাজয়ের সাথেও ইসলামের অস্তিত্বের প্রশ্ন জড়িত। তিনটি বিষয় আলাদা আলাদা বিবেচনার দাবি রাখে। সিরাত লেখক ও ঐতিহাসিকদের মতে, হযরত আবুবকর সিদ্দিক (রা.) ইসলামের প্রথম খলিফা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমে যে সমস্যাটি প্রকট হয়ে দেখা দেয় তা হচ্ছে জাকাত অস্বীকারকারী দলের উদ্ভব। আরবের মরু এলাকাসমূহ বিশেষ করে নজদ ও ইয়েমেনে বেদুইনদের মধ্যে ইসলামের প্রভাব ছিল নিতান্ত কম। তারা ছিল নামে মুসলমান। প্রকৃতপক্ষে তাদের ইসলামের প্রতি কোনো আকর্ষণ ছিল না। তারা ইসলামের শান শওকত দেখেই মুসলমান হয়েছিল। তারা যখন জানতে পারে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওফাত হয়েছে, তখন এ ঘটনাকে তারা এক অপূর্ব সুযোগ মনে করে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইসলামের আরোপিত ফরজ কর্মগুলো ত্যাগ করতে চায়। এসব ফরজের মধ্যে জাকাতকে তারা খুবই কষ্টসাধ্য মনে করতে থাকে। কেননা জাকাতের সম্পর্ক অর্থ সম্পদের সাথে। তারা মনে করত জাকাত এক প্রকারের জিজিয়া যা উসুল করার জন্য তাদের প্রতি জুলুম-নির্যাতন করা হয়, যেমন একজন রাজা তার প্রজাদের ওপর চালিয়ে থাকে। তারা এই সত্য অবগত ছিল না যে, জাকাত কোনো প্রকারের জিজিয়া বা ক্ষতিপূরণ নয়, বরং তা হচ্ছে অনুদান, যা ধনীদের কাছ থেকে নিয়ে দরিদ্র অভাবীদের প্রদান করা হয়। আর তা কেবল সেসব লোকের কাছ থেকে উসুল করা হয়, যাদের আল্লাহতায়ালা ধন-সম্পদ দান করেছেন এবং প্রাচুর্যের অধিকারী করেছেন। জাকাত উসুলের লক্ষ্য হচ্ছে, কোনো লোক যেন দরিদ্র অভাবী ভুখা-নাঙ্গা না থাকে এবং দরিদ্র শ্রেণীর লোকেরা তাদের অপর মুসলমান ভ্রাতার সাথে সুখস্বাচ্ছন্দ্যের সমঅংশীদার হতে পারে। মরু অঞ্চলের বেদুইনরা এ পার্থক্যটি বুঝতে পারেনি। তারা অবাধ্য হয়ে বিদ্রোহ শুরু করে এবং দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হয় যে, তারা কোনো অবস্থাতেই জাকাত দেবে না। খলিফার সামনে ছিল এটা এক জটিল সমস্যা, যার সমাধান করাও খুব সহজ ব্যাপার ছিল না। জাকাত অস্বীকারকারীরা ইসলাম ত্যাগ করে। তাদের সম্পর্কে হজরত সিদ্দিকে আকবর (রা.) দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেন : ‘আল্লাহর শপথ এসব লোক যদি আমাকে একটি রশির টুকরা প্রদানেও অস্বীকার করে যা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে প্রদান করে আসছিল, তা হলে আমি সেই টুকরার জন্যও যুদ্ধ করব।’ এটি এমন সময়ের ঘটনা যখন ওসামা অভিযান পরিচালনার বিষয়টি বিবেচনাধীন ছিল। সেই বিষয়টি ছিল এই যে, রাসূলূল্লাহ (সা.) তার ওফাতের পূর্বে জীবনের সর্বশেষ অভিযান হিসেবে হজরত ওসামা ইবনে জায়দকে (রা.) অভিযানের সেনাপতি মনোনীত করেছিলেন। তার পিতা জায়দ ইবনে হারেস (রা.) আজাদকৃত গোলাম। ‘মুর্তা’ যুদ্ধে রূমকদের হাতে শাহাদতবরণ করেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) এতে অত্যন্ত মর্মাহত হন। এ যুদ্ধে সিরীয় সীমান্তে বসবাসকারী কোজাআ গোত্রগুলো রূমকদের সাহায্য করেছিল এবং তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। রাসূলুল্লাহ (সা.) ওফাতের পূর্বে ওসামা ইবনে জায়দের নেতৃত্বে তার পিতার শাহাদতের প্রতিশোধের জন্য একটি বাহিনী প্রস্তুত করা হয় এবং তা সিরিয়া অভিমুখে যাত্রার জন্য হুজুর (সা.) নির্দেশও দিয়েছিলেন। এ বাহিনীতে হজরত আবু বকর (রা.) ও হজরত উমর (রা.)সহ সকল প্রধান সাহাবায়ে কেরাম অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এ সময় হুজুর (সা.) অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওসামা বাহিনী মদিনা হতে যাত্রা করে কিছু দূর যাওয়ার পর এ খবর শুনে যাত্রা স্থগিত করে। মদিনার বাইরেই বাহিনী অবস্থান নিয়ে হুজুর (সা.)-এর অবস্থা জানতে অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু হুজুর (সা.)-এর ওফাতের দূরসংবাদ পেয়ে ওসামা বাহিনী অগ্রসর হতে বিরত থাকে।
হুজুর (সা.)-এর ওফাতের পর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ওসামা বাহিনীকে সিরিয়া প্রেরণের সিদ্ধান্ত করেন। এ ব্যাপারে সৃষ্ট সকল মতবিরোধকে উপেক্ষা করে তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। অপরদিকে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওফাতের পর বেদুইন গোত্রগুলো মোরতাদ হয়ে যায়। আর এ ঘটনায় সাবাহাগণের মধ্যে অনেকে নতুন খলিফাকে ওসামা বাহিনী প্রেরণ মুলতবি করার পরামর্শ দেন। তাদের যুক্তি ছিল, সৃষ্ট নাজুক পরিস্থিতিতে মদিনা বহিঃ আক্রমণের শিকার হতে পারে, ওসামা বাহিনী চলে গেলে মদিনা হয়ে যাবে অনিরাপদ। খলিফা কঠোরভাবে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, পরিণতি যাই হোক না কেন, ওসামা বাহিনী অবশ্যই সিরিয়া অভিমুখে যাত্রা করবে। কেননা রাসূলুল্লাহ (সা.) ওফাতের পরে রোগশয্যা থেকে ওসামা বাহিনী প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করতে পারি না। ওসামা বাহিনী প্রেরণ মুলতবি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর কেউ কেউ খলিফার নিকট অনুরোধ জানান যে, ওসামা কম বয়সী যুবক, তার পরিবর্তে অপর কোনো প্রবীণ সাহাবিকে সৈন্য বাহিনীর প্রধান করা হোক। এ প্রস্তাব হজরত উমর (রা.)ও সমর্থন করেন। এতে খলিফা ভীষণভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন : আবু কোহাফার পুত্র আবু বকরের কি শক্তি থাকতে পারে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) যাকে সর্দার বানিয়েছেন, তাকে বরখাস্ত করা? এ কথা বলে তিনি ওসামা বাহিনীকে যাত্রা করার নির্দেশ দেন। এ বাহিনীতে হজরত উমর (রা.)ও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। কিন্তু তখন মদিনায় হজরত উমর (রা.)-এর অবস্থান খলিফা জরুরি মনে করেন, যাতে এ নাজুক পরিস্থিতিতে তিনি খলিফাকে সাহায্য করতে পারেন। কিন্তু এ ব্যাপারে তিনি নির্দেশ প্রদানের পরিবর্তে সেনাপতি ওসামার অনুমতিকে প্রাধান্য দেন। এ ব্যাপারে তিনি রীতিমতো ওসামাকে অনুরোধ জানান এবং তিনি অনুমতি দেয়ার পর হজরত উমর (রা.)কে খলিফা মদিনায় অবস্থানের নির্দেশ দেন। ওসামা বাহিনী যাত্রার পূর্বে মদিনার বাইরে অবস্থান করছিল। খলিফা এ বাহিনীকে বিদায় জানানোর জন্য সেখানে গমন করেন। হজরত ওসামা ঘোড়ায় আরোহণ করছিলেন। খলিফা পদব্রজে তার সাথে চলছিলেন। এতে ওসামা বললেন : হয় আপনি ঘোড়ায় আরোহণ করুন, নতুবা আমি নেমে পড়ি। খলিফা বলেন : আল্লাহর শপথ। তুমি অবতরণ করবে না এবং আমিও আরোহণ করব না। কী হবে যে, আল্লাহর রাস্তায় আমার পায়ে ধুলা মিশ্রিত হবে। ওসামা বাহিনীকে বিদায় দেওয়ার সময় হজরত সিদ্দিকে আকবর (রা.) ওসামার উদ্দেশে যে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করেন তা নি¤œরূপ : আমি তোমাকে নি¤েœাক্ত বিষয়গুলোর উপদেশ দান করছি, তা স্মরণ রাখবে এবং তার বিরুদ্ধাচরণ কিছুতেই করবে না। আমানতে খেয়ানত করবে না। অর্থ গোপন করবে না। ওয়াদা ভঙ্গ করবে না। মোর্ছলা করবে না। যুদ্ধে নিহতদের অঙ্গহানি তথা নাক-কান কর্তন করবে না। শিশু-নারী ও বৃদ্ধদের হত্যা করবে না। খেজুর ও ফলবান বৃক্ষ কাটবে না, জ্বালাবে না। ভেড়া-বকরি-গরু এবং উট আহার করার পরিবর্তে অন্য কোনো কাজের জন্য জবাই করবে না। তোমরা এমন লোকদের কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে যারা দুনিয়া ত্যাগ করে গির্জাগুলোতে অবস্থান করছে এবং তাদের প্রতি কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না, তাদেরকে তাদের অবস্থায় থাকতে দেবে। তোমরা এমন লোকদের কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে, যারা তোমাদের সামনে নানা প্রকারের খাবার পেশ করবে, যখন তোমরা ওইসব খাবার খাবে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করবে। এবার তোমরা আল্লাহর নাম স্মরণ করে যাত্রা শুরু কর, তিনি তোমাদেরকে দুশমনদের তীর ও মহামারী হতে রক্ষা করবেন।
ইতিহাসবিদদের বর্ণনা অনুযায়ী ওসামা বাহিনী হিজরি একাদশ সালের ১ জমাদিউস সানি মদিনা থেকে যাত্রা করে এবং সিরীয় সীমান্তে পৌঁছে কোজাআ এলাকায় অভিযান চালায় এবং বিপুলমানে গণিমতের মালমাত্তা নিয়ে চল্লিশ দিন পর বিজয়ী বেশে মদিনায় প্রত্যাবর্তন করে। মুসলিম বাহিনীতে সৈন্য সংখ্যা ছিল পঞ্চাশ হাজার। তাদের মধ্যে দেড় থেকে দুই হাজার ছিল আনসার ও মোহাজেরীন এবং বাকি সবাই ছিল কোরেশের বিভিন্ন গোত্রের, যারা পরবর্তী সব যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। (চলবে)
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন